সম্পূর্ণ নাম :
ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু।
ডাকনাম :
তিলু।
জন্ম :
১৬ ই জুন।
পিতা :
ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু, গিরিডির স্বনামধন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন। লোকে তাকে ধন্বন্তরি বলত। তিনি মাত্র ৫০ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।
শিক্ষা জীবন :
১২ বছর বয়সে গিরিডির স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৬ বছর বয়সে ফিজিক্স এবং কেমেস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বি.এস.সি পাশ করেন।
অনার্স পাশ করার পর তিনি গিরিডিতে ফিরে এলে পিতার পরামর্শ অনুযায়ী চার বছর শিল্প, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য - বড়ু চণ্ডীদাস |
কর্মজীবন :
মাত্র ২০ বছর বয়সে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক রূপে যোগদান করেন।
সর্বক্ষণের সঙ্গী :
চাকর প্রহ্লাদ, ২৭ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে রয়েছে।
পোষ্য :
বিড়াল নিউটন। বয়স ২৪ বছর। নিউটনের এত বছর বেঁচে থাকার কারণ তাঁর নিজের তৈরী মার্জারিন ঔষধ।
আবিষ্কার :
১. মিরাকিউরল – সর্বরোগনাশক বড়ি।
২. অ্যানাইহিলিন পিস্তল – যা শত্রু কে নিহত না করে নিশ্চিহ্ন করে।
৩. এয়ার কন্ডিশনিং পিল – যা জিভের তলায় রাখলে শীতকালে শরীর গরম এবং গ্রীষ্মকালে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
৪. রিমেমব্রেন – লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৫. সমনোলিন – ঘুমের অব্যর্থ বড়ি।
৬. লুমিনিম্যাক্স – উজ্জ্বল আলো দেয়।
৭. লিঙ্গুয়া গ্রাফ – অচেনা ভাষা ইংরেজি তে অনুবাদ করে।
৮. অরনিথন – পাখিদের শিক্ষা দেয়।
৯. নস্যাস্ত্র বা Snuff Gun – একবার প্রয়োগে ৩৩ ঘণ্টা হাঁচি হয়।
১০. বটিকা ইণ্ডিকা – ২৪ ঘণ্টার জন্য খিদা তেষ্টা মিটে যায়।
১১. কার্বোথিনের জামা – ইলেকট্রিক শক প্রতিরোধ করে।
সন্মাননা :
তাঁর উদ্ভাবনী প্রতিভা ও বিস্ময়কর আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স কর্তৃক তাঁকে ডক্টরেট উপাধি তে বিশেষভাবে সন্মানিত করা হয়।
অন্তর্ধান রহস্য :
১৫ বছর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ।
কেউ কেউ বলেন তিনি নাকি কী একটা ভীষণ এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে প্রাণ হারান।
আবার অনেকের মতে তিনি ভারতের কোন অখ্যাত অজ্ঞাত অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। সময় হলে আত্মপ্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন -
0 Comments