🔹 অধিকাংশ বৈষ্ণব পদাবলী ব্রজবুলী ভাষায় রচিত।
🔹 চর্তুদশ শতকে বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা হলেও ষোড়শ শতক বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের বিকাশ কাল।
🔹 বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের আদি কবিরা হলেন ➡️ বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাস। তাঁরা চতুর্দশ শতকের কবি।
🔹 বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের চতুষ্টয় বলা হয় ➡️ বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস এই ৪ জন কবিকে।
🔹 জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস ষোড়শ শতকের কবি।
🔹 বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলী রচনা করেছেন।
🔹 বৈষ্ণব পদাবালী সাহিত্যের উল্লেখ্যযোগ্য কবিগন ➡️ বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, যশোরাজ খান, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, লোচন দাস প্রমুখ।
🔹 বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য মুসলিম কবি ➡️ আলাওল, সৈয়দ সুলতান, আকবর, ফয়জুল্লাহ, আফজল, সালেহ বেগ প্রমুখ।
আরও পড়ুন : লীলা মজুমদার সম্পর্কে ।
আরও পড়ুন : বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ।
বৈষ্ণব পদাবলীর তত্ত্ব -
শ্রীকৃষ্ণ হলেন সৎ মূর্তিমান বিগ্রহ। শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী অংশ সঞ্জাত রাধা সৃষ্টি হয়েছেন তাঁরই লীলাসুখানুভবের জন্য। শ্রীরাধা আয়ান বধূ। তাই শ্রীকৃষ্ণের সাথে তাঁর প্রেম অসামাজিক। জীবও তেমনই তত্ত্বের দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণের স্বকীয় হলেও রূপ-রস-গন্ধযুক্ত জগতের সঙ্গে সে এমনই নিবিড়ভাবে আবদ্ধ যে, সে তার স্বকীয়তা ভুলে যায়। সেই ভুল ভাঙলে জীব ভগবানের ডাকে সাড়া দেয়, তখন ঘটে তার পরকীয়া অভিসার।এভাবেই তৈরী হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলীর তত্ত্ব।
আরও পড়ুন : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ।
আরও পড়ুন : কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু ।
বৈষ্ণব পদাবলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি -
০১. “রূপানুরাগ” ➡️ জ্ঞানদাস
০২. “মান পর্যায়” ➡️ জ্ঞানদাস
০৩. “আক্ষেপানুরাগ” ➡️ চণ্ডীদাস
০৪. “নিবেদন পর্যায়” ➡️ চণ্ডীদাস
০৫. “পূর্বরাগ পর্যায়” ➡️ চণ্ডীদাস
০৬. “অভিসার পর্যায়” ➡️ গোবিন্দদাস
০৭. “গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ” ➡️ গোবিন্দদাস
০৮. “মাথুর পর্যায়” ➡️ বিদ্যাপতি
০৯. “ভাবসন্মিলন পর্যায়” ➡️ বিদ্যাপতি
১০. “প্রাথনা পর্যায়” ➡️ বিদ্যাপতি
১১. “বাৎসল্য রস পর্যায়” ➡️ বলরাম দাস
১২. “গৌরচন্দ্রিকা পর্যায়ের পদ” ➡️ রাধামোহন ঠাকুর
0 Comments