🔹 ‘ধর্মমঙ্গল’ রাঢ়বঙ্গের মহাকাব্য।
🔹 ডঃ সুকুমার সেন তাঁর “রূপরামের ধর্মমঙ্গল” কাব্যের ভূমিকায় বলেছেন 👉
“প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যে মহাকাব্য বলিয়া যদি কিছু থাকে তবে তাহা ধর্মমঙ্গল”।
🔹 “ধর্মমঙ্গল” কাব্যে পাল যুগের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।
🔹 “ধর্মমঙ্গল” কাব্যের নায়ক 👉 লাউসেন।
[ আরও পড়ুন : আরাকান রাজসভার কবি ]
ঘনরাম চক্রবর্তী : “শ্রীধর্ম্মমঙ্গল”
🔹 “ধর্মমঙ্গল” কাব্য মূলত বীররসাত্মক কাব্য। তাই এই কাব্যেও বীররসের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।🔹 সপ্তদশ শতকের ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের কবি হলেন 👉 ঘনরাম চক্রবর্তী।
🔹 ঘনরাম চক্রবর্তীর “ধর্মমঙ্গল” সমস্ত ধর্মমঙ্গল কাব্যের মধ্যে প্রথম মুদ্রিত হয়।
🔹 ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম 👉 “শ্রীধর্ম্মমঙ্গল”।
🔹 ঘনরাম চক্রবর্তী তাঁর ভণিতায় তাঁর ধর্মমঙ্গল কাব্যকে 👉 “অনাদিমঙ্গল”, “শ্রীধর্মসঙ্গীত”, “মধুরভারতী”, “ধর্মকীর্তন”, “ধর্মইতিহাস” ইত্যাদি নানান নামে চিহ্নিত করেছেন।
[ আরও পড়ুন : প্রথম মুদ্রিত “মনসামঙ্গল” কাব্য ও রচয়িতা ]
🔹 জন্ম 👉 কাইয়ড় বা কোয়োড় পরগনার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর গ্রামে, ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে।
🔹 পিতামহ 👉 ধনঞ্জয়।
🔹 পিতা 👉 গৌরীকান্ত (তিনি শ্রীরামের ভক্ত ছিলেন তাই তিনি পুত্রের নাম রাখেন ঘনরাম)।
🔹 মাতা 👉 সীতাদেবী (ডঃ সুকুমার সেনের মতে মহাদেবী)।
🔹গুরু 👉 রামদাস।
🔹 সন্তান 👉 ৪ পুত্র। যথা - রামরাম, রামগোপাল, রামগোবিন্দ, রামকৃষ্ণ।
[ আরও পড়ুন : বাংলা ভাষার প্রথম চৈতন্য জীবনীগ্রন্থ ]
🔹 আবার কোন কোন সমালোচকের মতে, রামবাটী গ্রামের টোলের শিক্ষাগুরুর নির্দেশেই কবি কাব্যটি রচনা করেন।
🔹 কবির “ধর্মমঙ্গল” কাব্যে ধর্মদেবতা শ্রীরামচন্দ্র রূপে জন্ম গ্রহণ করেন।
🔹 কবির শিক্ষাগুরু কবিকে ‘কবিরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
🔹 কবি রচিত “ধর্মমঙ্গল” কাব্যটি প্রকাশ করেন মহেন্দ্রনাথ ঘোষ।
[ আরও পড়ুন : আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ ]
🔹 কবির কাব্য ২৪ টি স্বর্গে বিভক্ত।
🔹 কাব্যে মোট শ্লোক সংখ্যা 👉 ৯,১৪৭ টি।
🔹 কাব্যের কাহিনী ২ টি অংশে বিভক্ত। যথা - ১. হরিশ্চন্দ্র ও লুইচন্দ্রের কাহিনী এবং ২. লাউসেনের কাহিনী।
🔹 কাব্যে কবি শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রের আধারে লাউসেন চরিত্রটি সৃষ্ট।
🔹 কবির রচিত “ধর্মমঙ্গল” কাব্যে 'রামায়ন’ এবং ‘মহাভারত’-এর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
🔹 “ধর্মমঙ্গল”-এর অন্যান্য কবিদের কাব্যে ‘দিগবন্দনা’ অংশটি থাকলেও ঘনরামের কাব্যে ‘দিগবন্দনা’ অংশটি নেই।
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে এলিজি বা শোকপ্রকাশক কবিতা ]
🔹 ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যভাষায় রায়গুনাকর ভারতচন্দ্রের পূর্বাভাস লক্ষ করা যায়।
🔹 ঘনরাম চক্রবর্তী “সত্যনারায়ন রসসিন্ধু” নামে একটি সত্যনারায়ণ পাঁচালী লিখেছিলেন।
2 Comments
খুব সুন্দর পোস্ট..
ReplyDeleteতথ্য খুব সুন্দর
ReplyDelete