🔹 কবির নাম 👉 ক্ষেমানন্দ, কেতকাদাস তাঁর উপাধি। কেয়া পাতায় জন্ম হয়েছিল বলে মনসার আপর নাম ‘কেতকা’, কবি তাঁরই দাস। কবির ভাষায় - “কেয়া পাতে জন্ম হৈল কেতুকা সুন্দরী”।
🔹 সুকুমার সেন বলেছেন 👉 “কেতকাদাস কবির নাম, ক্ষেমানন্দ ভণিতা”।
🔹 ক্ষেমানন্দ কবির নাম, কেতকাদাস কবির ভণিতা” 👉 একথা স্বীকার করেছেন দ্বিজ কবিচন্দ্র।
🔹 কেতকাদাস এবং ক্ষেমানন্দ পৃথক পৃথক ব্যক্তি এই মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন 👉 রামগতি ন্যায়রত্ন, যতীন্দ্রমোহন দত্ত প্রমুখ।
🔹 কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ রাঢ় বঙ্গের কবি।
আরও পড়ুন - বাংলা ভাষার প্রথম চৈতন্য জীবনীগ্রন্থ : “চৈতন্যভাগবত”।
🔹 চৈতন্য পরবর্তী কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ 👉 বর্ধমান জেলার কাঁদড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
🔹 কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ জাতিতে ছিলেন 👉 কায়স্থ।
🔹 কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের পিতা 👉 শঙ্কর মণ্ডল, বারা খাঁ নামে এক ফৌজদারের অধীনে চাকরি করতেন।
🔹 পূর্ববঙ্গে কেতকাদাসের কাব্য ‘ক্ষেমানন্দী’ নামে একদা প্রচলিত হয়েছিল।
🔹 কেতকাদাস তাঁর “মনসামঙ্গল” কাব্যটি সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে রচনা করেন, কাব্যের রচনাকাল ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ।
আরও পড়ুন - আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ।
🔹 কাব্যটি শ্রীরামপুর মিশনারীদের সহায়তায় ১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম মুদ্রিত হয়।
🔹 এক সন্ধ্যায় মুচিনী বেশধারিণী দেবী মনসা কবিকে দেখা দিয়ে কাব্য রচনার নির্দেশ দেন।
🔹 কেতকাদাসের “মনসামঙ্গল” কাব্যে বেহুলা লখিন্দর পালার অন্য নাম - ‘জাগরণ পালা’।
🔹 কবি কেতকাদাস বারা খাঁ, ভারামল্ল, বিষ্ণুদাস প্রমুখ রাঢ়ের শাসন কর্তাদের নাম করেছেন তাঁর কাব্যে।
আরও পড়ুন - আলোচনা : বাংলা সাহিত্যে এলিজি বা শোকপ্রকাশক কবিতা।
কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ রচিত “মনসামঙ্গল” কাব্য :
🔹 কবি তাঁর কাব্যে দেবী চণ্ডীর বন্দনা করেননি।
🔹 কাব্যে দেবী মনসার জন্ম 👉 কেয়া পাতায়। কেতকাদাস ছাড়াও কবি রূপরাম কেয়া পাতায় দেবী মনসার জন্ম বলেছেন।
🔹 বল্লুকা নদীর গর্ভে দেবী মনসার জন্ম।
🔹 কাব্য অনুসারে দেবী মনসাকে নির্মাণ করেছেন বিধাতা।
🔹 কাব্যে দেবী মনসা সর্বপ্রথম রাখাল সমাজের পূজা গ্রহণ করেছিলেন।
🔹 কাব্যের শুরুতে মধু কৈটভ অসুর বধের কথা আছে।
🔹 কাব্যে বেহুলার পিতা সায় বেনের পদবী ছিল - অধিকারী।
🔹 কাব্যে বেহুলা লখিন্দরের বিবাহের ঘটক ছিলেন - জনার্দন।
🔹 কাব্যে বেহুলার স্বর্গপথে যাত্রার যে ২২ টি ঘাট বা গ্রামের নাম আছে তার মধ্যে ১৪ টি এখনো দামোদর নদ ও তার শাখা নদী এবং বর্তমান বেহুলা নদীর উভয় তীরে অবস্থিত।
8 Comments
Upokrito holam. ... Dhownobad
ReplyDeleteদারণ
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ. ...
ReplyDeleteDhownobad...
ReplyDeleteকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয় জানেন আপনি? মানুষকে ভুলভাল ইনফরমেশন দেন কেন?
ReplyDeleteমানুষ মাত্রই ভুল হয়.. ভুলটা কোথায় সেটা ধরিয়ে দিলে আমরা সবাই উপকৃত হই... আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি সঠিক তথ্য পরিবেশন করার...
ReplyDeleteশিক্ষিত একজনের কাছে এইধরনের মন্তব্য কখনোই কাম্য নয়...
ReplyDeleteকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে.. ঠিক বলেছি...?? ভুল হলে ঠিক করে দেবেন... ধন্যবাদ
ReplyDelete