সৈয়দ আলাওল : আরাকান রাজসভার কবি
জন্ম – আধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত ফতেয়াবাদ বা ফরিদপুরের
অন্তর্গত জালালপুরে আনুমানিক সপ্তদশ শতকের প্রথম দশকে। সৈয়দ আলাওল তাঁর “পদ্মাবতী” কাব্যে আত্মকথায়
লিখেছেন –
“মুলুক ফতেয়াবাদ গৌড়েতে প্রধান।
তাহাতে জালালপুর অতি পূণ্যস্থান।।
বহুগুণবন্ত বৈসে খলিফা ওলেম।
কথেক কহিব সেই দেশের মহিমা।।
মজলিস কুতুব তখত অধিপতি।
মুই দীনহীন তান অমাত্য সন্তুতি”।
তবে ডঃ মুহম্মদ এনামুল হক “মুসলিম
বাংলা সাহিত্য” গ্রন্থে জানিয়েছেন, ১৬০৭ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময় চট্টগ্রাম
জেলার হাটহাজারী থানার জোবরা নামক স্থানে সৈয়দ আলাওল জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা – জালালপুরের অধিপতি মজলিশ কুতুবের অমাত্য ছিলেন (অনুমান
করা হয় তিনি ১৫৭৬ থেকে ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত)।
শিক্ষা জীবন – অল্প বয়স থেকেই সৈয়দ আলাওল বিদ্যাচর্চায় আগ্রহী ছিলেন।
হিন্দি, সংস্কৃত, ফরাসী প্রভৃতি ভাষায় তাঁর দখল ছিল।
কর্ম জীবন – পিতার সাথে জলপথে পর্যটন কালে জলদস্যুদের দ্বারা
আক্রান্ত হলে সৈয়দ আলাওল চিরকালের জন্য পিতা কে হারান। দস্যুরা কবি কে দিরাঙ্গায় বন্দী
করে রেখেছিলেন, এবং সেখান থেকে ক্রীতদাস হয়ে তিনি আরাকান রাজসভায় আসে উপস্থিত হন।
অমাত্য পুত্র হওয়ায় যুদ্ধ
বিদ্যায় তাঁর জ্ঞান ছিল, সেই কারণে সৈয়দ আলাওল প্রথমে রাজ অশ্বারোহীর পদে নিযুক্ত হন।
পরে তিনি মাগন ঠাকুরের আশ্রয় লাভ করেন।
মৃত্যু – সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ১৬৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কিংবা
১৬৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সৈয়দ আলাওল পরলোকগমন করেন।
সতীনাথ ভাদুড়ী - প্রথম ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ প্রাপক |
- সৈয়দ আলাওল ছিলেন সুফী সাধক। কবি তাঁর মুর্শিদ সৈয়দ মসউদ শাহর কাছ থেকে ‘কাদেরি খেলাফত’ লাভ করেন।
- সৈয়দ আলাওলের সময় আরাকানের রাজা ছিলেন রাজা সুধর্মা।
- সৈয়দ আলাওল রচিত গ্রন্থগুলি তাঁর মৌলিক রচনা নয়। সবগুলিকেই বলা যেতে পারে ভাবানুবাদ। রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান রাচনায় সৈয়দ আলাওল সবচেয়ে অধিক কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
- সৈয়দ আলাওলের রচিত প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ রচনা “পদ্মাবতী”।
সৈয়দ আলাওল রচিত কাব্য :
১। পদ্মাবতী ১৬৪৬
২। সতী ময়নামতীর শেষাংশ ১৬৫৯
৩। সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জমাল
(প্রথম অংশ – ১৬৫৯, শেষাংশ – ১৬৬৯)
৪। সপ্তপয়কর ১৬৬০
৫। তোহফা ১৬৬৩ – ১৬৬৯
৬। সেকান্দারনামা ১৬৭২
মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ |
সৈয়দ আলাওল রচিত কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা :
“পদ্মাবতী” (১৬৪৬) –
সৈয়দ আলাওল –এর প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ
কাব্য।
“পদ্মাবতী” কাব্য টি সুফি মতাবলম্বী ভক্ত কবি মালিক মুহম্মহ জায়সী -র “পদুমাবৎ”
কাব্যের অনুবাদ।
“পদ্মাবতী” কাব্য টি সৈয়দ
আলাওল মাগন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় রচনা করেন।
“পদ্মাবতী’ কাব্য টি ইতিহাসাশ্রিত রোমান্টিক প্রেম কাব্য।
সৈয়দ আলাওল “পদ্মাবতী” কাব্য
টি রচনা করতে গিয়ে “পদুমাবৎ” কাব্যের সম্পূর্ণ অনুবাদ করেননি। তিনি জায়সীর আধ্যাত্মিক
তত্ত্ব কে এড়িয়ে গিয়েছেন।
সৈয়দ আলাওল শ্রেষ্ঠ অনুবাদকের
রীতি অনুসরণ করে পরিচ্ছন্ন সাধু ভাষায় পয়ার ত্রিপদী ছন্দে
“পদ্মাবতী” কাব্য টি রচনা করেছেন।
“পদ্মাবতী” কাব্যের ইংরেজি
অনুবাদ করেন গীয়ার্সন এবং শিরেফ।
“পদ্মাবতী” কাব্যের ২ টি প্লটে
পদ্মাবতী ও নাগমতী চরিত্র দুটি বিকশিত হয়েছে। একটিতে আছে নাগমতী – পদ্মাবতী – রত্নসেনের
মিলনান্ত কাহিনী, যাতে প্রাধান্য পেয়েছে প্রেমের রোমান্স।
অপরটিতে রয়েছে রত্নসেন – আলাউদ্দিন
– পদ্মাবতীর ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী, যাতে মুখ্য হয়ে উঠেছে যুদ্ধের উত্তেজনা।
প্রেমের মহিমা প্রকাশ করতে
গিয়ে সৈয়দ আলাওল তাঁর এই “পদ্মাবতী” কাব্যে বলেছেন
–
“প্রেম বিনে ভাব নাহি, ভাব বিনে রস।
ত্রিভুবনে যত দেখ প্রেম হন্তে যশ”।
বাংলা সাহিত্যে উৎসর্গকৃত রচনা (তৃতীয় পর্ব) |
“সতী ময়নামতী”র শেষাংশ (১৬৫৯) –
রোসাং রাজ থিরিসান্দ-থু-ধর্ম্মার
রাজত্বকালে শ্রীমন্ত সোলায়মানের নির্দেশে ১৬৫৯
খ্রিষ্টাব্দে দৌলত কাজীর “সতীময়না ও লোরচন্দ্রাণী”
–র পরিশিষ্ট “আনন্দবর্মা উপাখ্যান” সমাপ্ত করেন।
“সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল” (১৬৫৯, ১৬৬৯) –
রোসাং রাজের প্রধান অমাত্য
মাগন ঠাকুরের অনুরোধে সৈয়দ আলাওল এই কাব্য টি রচনায়
মনোনিবেশ করেন।
কিন্তু এই কাব্য রচনা কালে
মাগন ঠাকুরের দেহ ত্যাগ, সুজা হত্যা এবং নিজ জীবনে বিপর্যয়ের (সুজার সাথে বন্ধুত্বের
জন্য মিথ্যা অভিযোগে ৫০ দিনের কারাবাস) জন্য কাব্য টি অসমাপ্ত থেকে যায়।
এই কাব্য রচনা শুরু করার ১০
বছর পর সৈয়দ আলাওল প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ মুসার পৃষ্ঠপোষকতায়
কবি এই কাব্যের বাকী অংশ টি সমাপ্ত করেন ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে।
এই কাব্য টি রোমান্টিক “আলেফ লায়লা” প্রেমাখ্যানের একটি আখ্যানের অনুবাদ।
মিশরের বাদশাহ সিফুয়ানের/ছিপুয়ানের
পুত্র সয়ফুলমুলুক এই কাহিনির নায়ক এবং নায়িকা পরীরাজ শাহপালের সুন্দরী কন্যা বদিউজ্জামাল।
মূল কাহিনী - বদিউজ্জামালের চিত্র দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে পাওয়ার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালান সয়ফুলমুলুক। বন্ধু সায়েদ সব জেনে রাজাকে জানান। বদিউজ্জামালের প্রেমে উন্মাদ হয়ে পড়েছেন সয়ফুলমুলুক। সয়ফুল কে খুঁজে আনার জন্য রাজা চারপাশে লোক পাঠান। শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায় বোস্তাম ইরামের দেশে। আখ্যানের শেষে সয়ফুলমুলুক ও বদিউজ্জামালের বিবাহ ও নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন বর্ণিত হয়েছে এই গ্রন্থে।
বাংলা সাহিত্যে সাময়িক পত্রিকা (তৃতীয় পর্ব) |
“সপ্ত (হপ্ত) পয়কর” (১৬৬০) –
ফরাসী কবি নিযামী গঞ্জাবীর “হপ্তপয়কর”
কাব্যের ভাবানুবাদ এই কাব্য টি।
রোসাং রাজের প্রধান সেনাপতি
সৈয়দ মুহম্মদের আদেশে সৈয়দ আলাওল নিযামী গঞ্জাবীর “হপ্তপয়কর”
কাব্যের অনুবাদে হাত দেন।
এই গ্রন্থে আরবের রাজকুমার
বাহরামের যুদ্ধ জয় ও সপ্তপরীর গল্প বর্ণিত হয়েছে।
সৈয়দ আলাওল –এর এই কাব্য প্রসঙ্গে
সত্যেন্দ্রনাথ ঘোষাল জানিয়েছেন –
“আলাওল তাঁহার
অন্যান্য রচনার ন্যায় এই গ্রন্থেও রামায়ণ, মহাভারত ও অপরাপর ভারতীয় সাহিত্য হইতে অসংখ্য
উপমা, রূপক ও আখ্যান গ্রহণ করিয়াছেন। উপরন্তু ইহার মধ্যে ইসলাম ধর্মতত্ত্বে প্রচলিত
অনেক বিষয়ের উল্লেখ আছে এবং ফরাসী সাহিত্য হইতে অনেক চিত্র গৃহীত হইয়াছে” (“ভারতকোষ”,
প্রথম খণ্ড)।
“তোহফা” (১৬৬৩ – ৬৪) –
নীতিশাস্ত্র
বিষয়ক গ্রন্থ।
সৈয়দ আলাওল রচিত এই গ্রন্থ
টি ফরাসী কবি শেখ ইউসুফ গদার “তুহফ-এ-নসাঈহ” গ্রন্থের অনুবাদ।
আরাকান রাজের মহামাত্য শ্রীমন্ত সোলায়মানের নির্দেশে সৈয়দ আলাওল এই কাব্য টি
বাংলায় অনুবাদ করেন।
এই গ্রন্থে সৈয়দ আলাওল ইউসুফ গদা প্রসঙ্গে বলেছেন –
“শ্রীযুক্ত ইসুফ গদা পুরুষ মহন্ত।
কিতাব ‘তোহফা’ নামে রচিলা সুছন্দ”।।
বৈষ্ণব পদাবলীর ‘প্রার্থনা’ পর্যায়ের পদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় এই কাব্যে
–
“কৃপাসিন্ধু তুমি এক জগৎ পতি।
বিনুলক্ষ্য মহিমা উজ্জ্বল জগজ্যোতি।।
নাহিক দাসের লক্ষ্য তুমি বিনু আর।
ঘোর পাপ হত্যে মোরে করহ উদ্ধার”।।
অনুবাদ ও অনুষঙ্গ : Anton Pavlovich Chekhov |
“সেকান্দারনামা” (১৬৭২) –
পণ্ডিতেরা মনে করেন এই গ্রন্থ
টি সৈয়দ আলাওল –এর শেষ রচনা।
শ্রীচন্দ্র সুধর্মার প্রধান অমাত্য নবরাজ মজলিসের নির্দেশে সৈয়দ আলাওল এই
গ্রন্থ টি অনুবাদ করেন।
এই গ্রন্থ টি নিযামী গঞ্জাবীর ফরাসী কাব্য “ইসকান্দরনামা” –র সরস অনুবাদ।
এই গ্রন্থে গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডারের
সমরাভিযান ইসলামী কায়দায় বর্ণিত। ব্যাপক যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রূপকথাধর্মী অনেক অদ্ভুত গল্প
স্থান পেয়েছে। এগুলি চিত্তাকর্ষ হলেও কাব্যগুণের দিক থেকে নগন্য।
সৈয়দ আলাওল থেকে সংক্ষিপ্ত কিছু প্রশ্নোত্তর :
প্রশ্ন - সৈয়দ আলাওল –এর সাথে আরাকান রাজসভার সংযোগ হয়েছিল কীভাবে?
- প্রথম যৌবনে পিতার সাথে সমুদ্র যাত্রা কালে কবি পর্তুগিজ জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হন। এই ঘটনায় তিনি পিতা কে হারান এবং নিজে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রীত হয়ে আরাকানের রাজ-অশ্বারোহী নিযুক্ত হন। এই ভাবেই আরাকান রাজসভার সাথে তাঁর প্রাথমিক যোগ ঘটে।
প্রশ্ন – “পদ্মাবতী” কাব্যের কাহিনী সংক্ষেপে লেখো।
- সিংহলের রাজকন্যা ও মেবারের রানী পদ্মাবতী বা পদ্মনী কে নিয়ে এই কাব্য টি রচিত। আলাউদ্দিন খিলজি রত্নসেনের রানী পদ্মিনীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে শক্তিবলে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য চিতোর আক্রমণ করেন। এই দস্যুর কবল থেকে সতীত্বধর্ম রক্ষার্থে পদ্মিনী জহরব্রতে আত্মত্যাগ করেন। মূল কাব্যে (জায়সীর) ইতিহাসের চেয়ে কল্পনার প্রাধান্য বেশি, টা ছাড়া জায়সী সূফী সাধক ছিলেন বলেই উক্ত ঐতিহাসিক কাহিনী কে জীবাত্মা-পরমাত্মার রূপ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন – সৈয়দ আলাওলের “পদ্মাবতী” কাব্যের বিশেষত্ব লেখো।
- ১। এটি কবির মৌলিক রচনা নয়। সৈয়দ আলাওল মহম্মদ জায়সীর "পদুমাবৎ" অবলম্বনে কাব্য টি রচনা করেন। তবে অনুবাদ কাব্য হলেও "পদ্মাবতী" কাব্য টি মূল কাব্যের একেবারে অনুকরণ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই সৈয়দ আলাওল -এর কবি মনের কল্পনা যুক্ত হয়েছে।
২। মধ্যযুগে রচিত অধিকাংশ সাহিত্যই প্রকারান্তরে ধর্মীয় উপাখ্যান। মধ্যযুগে রচিত হলেও "পদ্মাবতী" কাব্য টি কোন ধর্মীয় সাহিত্য নয়। "পদ্মাবতী" এক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম
৩। সৈয়দ আলাওল -এর কাব্যে তৎকালীন বাঙালি সমাজের আচার অভ্যাসের পরিচয় মেলে, যা একান্তই কবির নিজস্ব সংযোজন।
৪। এই কাব্যে ধর্ম সংস্কার মুক্ত ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে মর্ত্য মানব মানবীর প্রেম-ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষার আত্মত্যাগের কাহিনী রচনা করেছেন।
৫। সূফী ধর্মমত প্রচারের উদ্দেশ্য
থাকলেও সৈয়দ আলাওল –এর “পদ্মাবতী” কাব্যে সূফী ভাবনা অপেক্ষা জীবনরস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
উঠেছে।
প্রশ্ন – সৈয়দ আলাওল –এর পদ্মাবতী চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
- সৈয়দ আলাওল –এর পদ্মাবতী জীবন-সংরক্ত এক চরিত্র। রত্নসেনের জন্য তার আকাঙ্ক্ষা কিংবা সিংহল বিদায় দৃশ্যে তার বিলাপ, সবই প্রেম তন্ময় এক লৌকিক রমণীর ছবি স্পষ্ট করে। হিন্দু বিবাহের রীতি মেনে তার বিবাহ এই অসাধারণ সৌন্দর্যময়ী বিদুষী নারীকে লৌকিক রমণী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।
প্রশ্ন – সৈয়দ আলাওল রচিত “সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল” গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
- নায়ক সয়ফুল এবং নায়িকা বদিউজ্জামালের প্রেম কাহিনী এই গ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু। এই কাব্যটি মুসলিম সমাজে খুবই জনপ্রিয়। মানব নায়কের সাথে পরী প্রেমিকার মিলনের কাহিনী রচনা করে সৈয়দ আলাওল মানবলোক এবং স্বপ্নলোকের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করেছিলেন। এই কাব্যের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য স্বপ্নমেদুর লোকাতীত পরিবেশ সৃষ্টি।
প্রশ্ন - সৈয়দ আলাওল –এর কবি প্রতিভার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
- সৈয়দ আলাওল জীবন রসিক কবি। বহুভাষাবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ সুপণ্ডিত কবি ছিলেন বলেই তিনি বহুপাত্র থেকে জীবনরস আহরণ করেছেন। তাঁর প্রতিভার ব্যাপকতা স্বীকার্য। হিন্দু ও মুসলমান জ্ঞানে তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন। সৈয়দ আলাওল –এর রচনা সরল অথচ প্রগাঢ়। “পদ্মাবতী” তাঁর শ্রেষ্ঠ আখ্যায়িকা। সৈয়দ আলাওল -এর কাব্যমালায় মাঝে মাঝে রয়েছে গান ও পদাবলি। এগুলিতেই তাঁর রচনা শক্তির বিশিষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়।
প্রশ্ন - সৈয়দ আলাওল –এর রচিত গ্রন্থগুলি কী ধরনের রচনা?
- সৈয়দ আলাওল রচিত সব গ্রন্থগুলিই অনুবাদমূলক। আরবি এবং ফরাসী থেকে ৪ টি এবং হিন্দি থেকে ১ টি গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন।
প্রশ্ন - সৈয়দ আলাওল কবি হিসেবে কীভাবে পরিচিতি লাভ করেন?
- সৈয়দ আলাওল –এর কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশে মূল পৃষ্ঠপোষকতা করেন আরাকান রাজের অমাত্য প্রধান মাগন ঠাকুর। তিনি সৈয়দ আলাওল –এর গুণমুগ্ধ হয়ে গুরুর মর্যাদা দিয়ে তাঁকে অমাত্য সভায় নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন :
To join our FB Page - CLICK HERE.
0 Comments