• জন্ম - ২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারে ।
• মাতা – সুরমা দেবী ।
• স্বামী – দন্ত চিকিৎসক ডা: সুধীর কুমার মজুমদার (তাঁর বিবাহের পূর্বে নাম ছিল লীলা রায়। ১৯৩৩ সালে লীলা মজুমদার বিবাহ করেন )।
• সন্তান – পুত্র ডাঃ রঞ্জন মজুমদার ১৯৩৪ সালে এবং এক কন্যা কমলা মজুমদার ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করে।
• শিক্ষা জীবন – লীলা মজুমদারের বাল্য জীবন কাটে শিলঙে এবং সেখানে তিনি ১৯১৯ সাল পর্যন্ত লরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেন ।
১৯১৯ সালে তিনি কলকাতায় সেন্ট জনস ডাইয়োসেসান স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯২৪ সালে ছাত্রীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ম্যাট্রিক পাশ করেন ।
পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ইংরেজি বিষয়ে বি.এ অনার্স সহ এম.এ পাশ করেন ।
• কর্ম জীবন – দার্জিলিং এ মহারাণী বালিকা বিদ্যালয়ে তিনি ১৯৩১ সালে শিক্ষিকা রূপে যোগদান করেন ।
পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুরোধে শান্তিনিকেতন স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যুক্ত হন ।
এর এক বছর পর অস্টাস কলেজের মহিলা শাখায় নিযুক্ত হন ।
অল ইন্ডিয়া রেডিও তে তিনি সাত থেকে আট বছর কাজ করেন ।
• মৃত্যু - ৫ই এপ্রিল ২০০৭ সালে ১০০ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন ।
আরও পড়ুন : “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ”-এর কবি সম্পর্কে ।
• লীলা মজুমদার – সন্দেশ, শিশু সাথী, মৌচাক, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, খোকাখুকু বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন ।
• লীলা মজুমদারের প্রথম গল্প - “লক্ষ্মীছেলে” ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।
দাদা সুকুমার রায়ের নির্দেশে লীলা মজুমদার “লক্ষ্মীছাড়া” গল্প রচনা করেন । কিন্তু নামটি সুকুমার রায়ের পছন্দ না হওয়ায় পরে গল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন - “লক্ষ্মী ছেলে” ।
তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহ :
১) 'পদিপিসীর বর্মী বাক্স' (১৯৫৩)
২) 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭)
৩) 'জোনাকী' (১৯৫৮)
৪) 'শ্রীমতী' (১৯৫৮)
৫) 'ঝাঁপতাল' (১৯৫৮)
৬) 'গুপির গুপ্ত কথা' (১৯৫৯)
৭) 'বক ধার্মিক' (১৯৬০)
৮) 'চীনে লণ্ঠন' (১৯৬৩)
৯) 'মাকু' (১৯৬৯)
১০) 'নেপোর বই' (১৯৬৯)
১১) 'ফেরারী' (১৯৭১)
১২) 'টংলিং' (১৯৮১)
১৩) 'হাওয়ার দাঁড়ি' (১৯৮৩)
১৪) 'চকমকি মন' (১৯৯০)
১৫) 'মণিকাঞ্চন' (১৯৯৩)
৩) 'জোনাকী' (১৯৫৮)
৪) 'শ্রীমতী' (১৯৫৮)
৫) 'ঝাঁপতাল' (১৯৫৮)
৬) 'গুপির গুপ্ত কথা' (১৯৫৯)
৭) 'বক ধার্মিক' (১৯৬০)
৮) 'চীনে লণ্ঠন' (১৯৬৩)
৯) 'মাকু' (১৯৬৯)
১০) 'নেপোর বই' (১৯৬৯)
১১) 'ফেরারী' (১৯৭১)
১২) 'টংলিং' (১৯৮১)
১৩) 'হাওয়ার দাঁড়ি' (১৯৮৩)
১৪) 'চকমকি মন' (১৯৯০)
১৫) 'মণিকাঞ্চন' (১৯৯৩)
আরও পড়ুন : নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ।
১) 'বদ্যিনাথের বড়ি' (১৯৪০)
২) 'দিন দুপুরে' (১৯৪৮)
৩) 'ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প' (১৯৫৫)
৪) 'মনিমালা' (১৯৫৬)
৫) 'লাল নীল দেশলাই' (১৯৫৯)
৬) 'বাঘের চোখ' (১৯৫৯)
৭) 'গুণু পণ্ডিতের গুণপনা' (১৯৭৫)
৮) 'বহুরূপী' (১৯৭৬)
৯) 'ভূতের গল্প' (১৯৭৮)
১০) 'সেজো মামার চন্দ্র যাত্রা' (১৯৮২)
১১) 'আজগুবি' (১৯৮২)
১২) 'বাঁশের ফুল' (১৯৮২)
১৩) 'ছোটোদের বেতাল বত্রিশ' (১৯৮২)
১৪) 'সব ভুতুড়ে' (১৯৮৩)
১৫) 'গুপী পানুর কীর্তিকলাপ' (১৯৮৩)
১৬) 'ভুতের বাড়ি' (১৯৮৬)
১৭) 'মামাদাদুর ঘোড়াবাজি' (১৯৮৯)
১৮) 'আগুনি বেগুনি' (১৯৯১)
১৯) 'আম গো আম'
২০) 'পটকা চোর'
২১) 'বেড়ালের বই' (১৯৯২)
২২) 'চিচিং ফাঁক' (১৯৯৪)
২৩) 'বাঘ শিকারী বামুন'
২৪) 'মণি মানিক' (২০০০)
২) 'দিন দুপুরে' (১৯৪৮)
৩) 'ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প' (১৯৫৫)
৪) 'মনিমালা' (১৯৫৬)
৫) 'লাল নীল দেশলাই' (১৯৫৯)
৬) 'বাঘের চোখ' (১৯৫৯)
৭) 'গুণু পণ্ডিতের গুণপনা' (১৯৭৫)
৮) 'বহুরূপী' (১৯৭৬)
৯) 'ভূতের গল্প' (১৯৭৮)
১০) 'সেজো মামার চন্দ্র যাত্রা' (১৯৮২)
১১) 'আজগুবি' (১৯৮২)
১২) 'বাঁশের ফুল' (১৯৮২)
১৩) 'ছোটোদের বেতাল বত্রিশ' (১৯৮২)
১৪) 'সব ভুতুড়ে' (১৯৮৩)
১৫) 'গুপী পানুর কীর্তিকলাপ' (১৯৮৩)
১৬) 'ভুতের বাড়ি' (১৯৮৬)
১৭) 'মামাদাদুর ঘোড়াবাজি' (১৯৮৯)
১৮) 'আগুনি বেগুনি' (১৯৯১)
১৯) 'আম গো আম'
২০) 'পটকা চোর'
২১) 'বেড়ালের বই' (১৯৯২)
২২) 'চিচিং ফাঁক' (১৯৯৪)
২৩) 'বাঘ শিকারী বামুন'
২৪) 'মণি মানিক' (২০০০)
লীলা মজুমদার রচিত স্মৃতিচারণামূলক রচনা :
• আর কোনখানে ১৯৬৭• খেরোর খাতা ১৯৮২
• পাকদণ্ডী ১৯৮৬
লীলা মজুমদার রচিত নাটক :
• বক বধ পালা ১৯৫৯• গাওনা ১৯৬০
• লঙ্কা দহন পালা ১৯৬৪
আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে অপ্রধান মঙ্গলকাব্য ও কবি ।
লীলা মজুমদার রচিত জীবনীমূলক রচনা :
• এই যা দেখা ১৯৬১• কবি কথা ১৯৬১
• উপেন্দ্রকিশোর ১৯৬৩
• অবনীন্দ্রনাথ ১৯৬৬
• সুকুমার ১৯৮৯
লীলা মজুমদার রচিত প্রবন্ধ – নিবন্ধ :
• হাতি হাতি ১৯৫৭• ভুতোর ডাইরি ১৯৭৯
• জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি ১৯৮৬
• আমি নারী ১৯৮৯
• সংসারের খুঁটিনাটি ও শিশুদের নামকরণ ১৯৯০
• যে যাই বলুক ১৯৯২
• হালকা খাবার ১৯৯৩
• আনন্দ ঝর্ণা ১৯৯৭
• ঠাকুমার ঠিকুজি
যুগ্মভাবে রচিত তাঁর রচনাসমূহ :
১. 'টাকা গাছ' [জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে যুগ্মভাবে] (১৯৬১)
২. 'হট্টমালার দেশে' [প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে যুগ্মভাবে] (১৯৭৭)
৩. 'হীরেমোতি পান্না' [অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে একত্রে] (১৯৭৮)
লীলা মজুমদার রচিত অনুবাদমূলক রচনা :
• ভারতে বিদেশী যাত্রী ১৯৭১• চার বিচারকের দরবার ১৯৭৪
• বাঘদাঁত ১৯৭৫
• গালিভারের ভ্রমণ বৃত্তান্ত
🔹বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার।
পুরষ্কার ও সন্মাননা :
১) 'আর কোনোখানে' (১৯৬৭) স্মৃতিচারণা মূলক গ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৬৯ সালে 'রবীন্দ্র পুরস্কার' পেয়েছেন।
২) 'বক বধ পালা' (১৯৫৯) নাটকের জন্য তিনি 'সঙ্গীত নাটক একাডমী পুরস্কার' পেয়েছেন।
৩) 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭) উপন্যাসের জন্য তিনি 'স্টেট পুরস্কার' ও 'শিশু সাহিত্য পুরস্কার' লাভ করেন।
২) 'বক বধ পালা' (১৯৫৯) নাটকের জন্য তিনি 'সঙ্গীত নাটক একাডমী পুরস্কার' পেয়েছেন।
৩) 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭) উপন্যাসের জন্য তিনি 'স্টেট পুরস্কার' ও 'শিশু সাহিত্য পুরস্কার' লাভ করেন।
আরও পড়ুন : “দেশে-বিদেশে”-র রচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী ।
আরও পড়ুন : রবীন্দ্রনাথের পর ‘প্রথম মৌলিক কবি’ সম্পর্কে ।
পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....
3 Comments
রচনা শৈলির সতনএতা বিশলেষন
ReplyDeleteতথ্যবহুল পোস্ট...... অসংখ্য ধন্যবাদ
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ
ReplyDelete