মানকুমারী বসু (১৮৬৩ -১৯৪৩):
⚜️ জন্ম 👉 ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ২৩ শে জানুয়ারি শ্রীধরপুরে মামার বাড়িতে।
⚜️ পিতা 👉 আনন্দমোহন দত্ত চৌধুরী।
⚜️ মাতা 👉 শান্তমণি দেবী।
⚜️ পিতামহ 👉 সাগরদাঁড়ির দত্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন দত্ত চৌধুরী।
⚜️ পৈতৃক নিবাস 👉 যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
⚜️ মৃত্যু 👉 ২৬ শে ডিসেম্বর ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন।
[ আরও পড়ুন : বাংলার বায়রন সম্পর্কে ]
⚜️ তিনি ‘বামবোধিনী’ পত্রিকায় মহিলাদের প্রকাশিত রচনা দেখে তাঁর লেখার ইচ্ছে জাগে।
⚜️ তাঁর রচিত প্রথম রচনা “লাইবাইটের উপাখ্যান”, যেটি গোপনে ছোট্ট একটি খাতায় লেখা হয়। তবে এটি প্রকাশিত হয়নি।
তাঁর ভাষায় - “যাহা হউক সেই লাইবাইটই আমার প্রথম রচনা। মনে হয়, তাহা গদ্য”।
⚜️ ১৪ বছর বয়সে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা তাঁর প্রথম কবিতা “পুরন্দরের প্রতি ইন্দুবালা” প্রকাশিত হয়।
লেখিকার জবানীতে - “ইহাই আমার প্রথম প্রকাশ্য লেখা”।
সুদীর্ঘ বীররসাত্মক কবিতা এটি।
কবিতার সূচনায় মাইকেলী প্রভাব বিশেষভাবে অনুভব করা যায়।
মানকুমারী বসু ছিলেন মধুসূদন দত্তের ভ্রাতুষ্পুত্রী।
⚜️ মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন। বৈধব্য যন্ত্রণা তাঁর কবিতায় প্রকাশিত -
“সীঁথিতে সিঁদুর নাই। ছাই সব সুখে।
উহু হু। একটি মেয়ে,
কে দিয়েছে মাথা খেয়ে ?
কেমনে কাটাবে কাল চিতা রাখি বুকে!
[ আরও পড়ুন : “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে”-র কবি সম্পর্কে ]
তাঁর রচিত রচনা:
১. প্রিয় প্রসঙ্গ ১৮৮৪
২. বনবাসিণী ১৮৮৮
৩. কাব্যকুসুমাঞ্জলি ১৮৯৩
৪. কনকাঞ্জলি ১৮৯৬
৫. বীরকুমারবধ কাব্য ১৯০৪
৬. বিভূতি ১৯২৪
৭. পুরাতন স্মৃতি ১৯৩৬
⚜️ মধুসূদন দত্তের স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে রচিত “শ্রীমধুসূদন” কবিতা এবং বিদ্যাসাগরের মৃত্যু শোকে “শোকোচ্ছ্বাস” কবিতা রচনা করেন।
⚜️ ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক সুহৃদ প্রমদাচরণ সেনের স্মৃতিতে লেখেন - “শোক সঙ্গীত” কবিতা।
[ আরও পড়ুন : জনৈক বঙ্গমহিলা সম্পর্কে ]
⚜️ স্বামীর মৃত্যুশোকের যন্ত্রণায় লেখা “প্রিয় প্রসঙ্গ” গদ্যকাব্য।
⚜️ মানকুমারী বসুর কবিতা কেবল দুঃখ রসে ভারাক্রান্ত নয়, তা স্বাদেশিক মহিমায়ও প্রদীপ্ত।
তাঁর রচিত - “সাধের মরণ”, “মায়ের সাধ”, “ভ্রাতার প্রতি ভগ্নী” কবিতাগুলোর মধ্যে দেশাত্মবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
⚜️ “বীরকুমারবধ” অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা আখ্যান কাব্য। এই কাব্য “মহাভারত” অবলম্বনে “অভিমন্যুবধ” বর্ণিত হয়েছে।
কাব্যটি বীররস এবং করুণ রসের সমন্বয়ে রচিত।
⚜️ প্রবন্ধ রচনাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। “বাঙ্গালী রমণীদের গৃহধর্ম”(১৮৯০), “বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কর্তব্য” প্রবন্ধ পুস্তক খুবই জনপ্রিয়।
⚜️ “রাজলক্ষী”, “অদৃষ্ট চক্র”, এবং “শোভা” গল্প লিখে তিনি কুন্তলীন পুরস্কার লাভ করেন।
⚜️ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক’(১৯৩৯), ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’(১৯৪১) দ্বারা পুরস্কৃত করে।
[ আরও পড়ুন : রাজশেখর বসু সম্পর্কে ]
পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....
যোগাযোগ :
contact@banglasahitto.in
fb.me/banglasahitto.in
t.me/banglasahitto
twitter.com/banglasahitto
0 Comments