Subscribe Us

নবীনচন্দ্র সেন : বাংলার বায়রন

Banglar-Bairon-Nabinchandra-Sen
নবীনচন্দ্র সেন


জন্ম – বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জমিদার পরিবারে ১০ ই ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে নবীনচন্দ্র সেন জন্মগ্রহণ করেন।

পিতা – গোপীমোহন রায়।

মাতা – রাজরাজেশ্বরী দেবী।

শিক্ষা জীবন – চট্টগ্রাম থেকে বৃত্তি সমেত প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কলকাতায় এসে পড়াশোনা করেন।

              ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে নবীনচন্দ্র সেন এফ.এ পাশ করেন।
                     ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি জেনারেল এ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে বি.এ পাশ করেন।

কর্মজীবন – ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে নবীনচন্দ্র সেন যশোরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।

মৃত্যু – ২৩ শেষ জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে নবীনচন্দ্র সেন পরলোকগমন করেন।


আরও পড়ুন : “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে”-র কবি সম্পর্কে  ]


নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কে শশিভূষণ দাশগুপ্ত বলেছিলেন - “একটা পার্বত্য পাগলাঝোরার ধারার ন্যায় অনিয়ন্ত্রিত কল্পনা এবং হৃদয়াবেগের প্রাচুর্য লইয়া বাঙলা সাহিত্যে আবির্ভাব হইয়াছিল কবি নবীনচন্দ্রের”

নবীনচন্দ্র সেনের প্রথম কবিতা “কোন এক বিধবা কামিনীর প্রতি”, প্রকাশিত হয় এডুকেশন গেজেট পত্রিকায়। তখন তিনি এফ.এ শ্রেণীর ছাত্র।

নবীনচন্দ্র সেনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ “অবকাশরঞ্জিনী”। কাব্যগ্রন্থ টি গীতিকাব্যের পর্যায়ভুক্ত। 

       এই কাব্যের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে এবং এতে মোট ২১ টি কবিতা বর্তমান।

        ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডটি প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে মোট ৪৬ টি কবিতা রয়েছে।

নবীনচন্দ্র সেন কাব্য রচনায় হেমচন্দ্রের শিষ্যত্ব গ্রহন করেন।


আরও পড়ুন : বাংলার মপাসাঁ সম্পর্কে   ]


নবীনচন্দ্র সেন রচিত কাব্যগ্রন্থ :-

অবকাশরঞ্জিনী ১৮৭১, ১৮৭৮

পলাশীর যুদ্ধ ১৮৭৫

ক্লিওপেট্রা ১৮৭৭

রঙ্গমতী ১৮৮০

রৈবতক ১৮৮৭

কুরুক্ষেত্র ১৮৯৩

প্রভাস ১৮৯৬

ঊনবিংশ শতাব্দীর মহাকাব্য ধারায় নবীনচন্দ্র সেনের “রৈবতক”, “কুরুক্ষেত্র” ও “প্রভাস” – এই ৩ কাব্যগ্রন্থ একত্রে “ত্রয়ী” নামে পরিচিত।

নবীনচন্দ্র সেনের “ত্রয়ী” কাব্যের –

“রৈবতক”(১৮৮৭) – ২০ টি সর্গে
“কুরুক্ষেত্র”(১৮৯৩) – ১৭ টি সর্গে এবং
“প্রভাস”(১৮৯৬) – ১৩ টি সর্গে বিভক্ত।


আরও পড়ুন : পদাতিক কবি সম্পর্কে  ]


নবীনচন্দ্র সেনের “ত্রয়ী” কাব্যটি রচনা করতে ১৪ বছর সময় লেগেছিল।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে নবীনচন্দ্র সেনের “ত্রয়ী” কাব্যটি - “Mahavarata of the Nineteenth Century”.

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নবীনচন্দ্র সেনকে “বাংলার বায়রন” বলে অভিহিত করেছিলেন।


আরও পড়ুন : আলোচনা : কথোপকথনের কবি সম্পর্কে  ]


নবীনচন্দ্র সেন রচিত জীবনীকাব্য :-

খ্রীষ্ট ১৮৯১

অমিতাভ ১৮৯৫

অমৃতাভ ১৯০৯

নবীনচন্দ্র সেনের “খ্রীষ্ট” জীবনীকাব্যটি “Gospel of St. Mathew”-এর অবলম্বনে যীশু খ্রীষ্টের জীবন নিয়ে রচিত।

নবীনচন্দ্র সেনের জীবনীকাব্য “অমিতাভ” ভগবান বুদ্ধদেব এবং “অমৃতাভ” কাব্যটি শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী অবলম্বনে রচনা করেন।

নবীনচন্দ্র সেন রচিত তাঁর একমাত্র উপন্যাস “ভানুমতী”, ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

নবীনচন্দ্র সেনের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “আমার জীবন”(১৯১০-১৯১৪) পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত।


আরও পড়ুন : অবন ঠাকুর সম্পর্কে  ]


পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....

Post a Comment

0 Comments