Subscribe Us

আলোচনা : রাজশেখর বসু

জন্ম 👉 ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে।

পৈতৃক নিবাস 👉 নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের কাছে উলা বীরনগর।

পিতা 👉 চন্দ্রশেখর বসু, সাহিত্য ও দর্শনে বিশেষ অনুরাগী ছিলেন।

Suggested Page 👉 অনলাইন টেস্ট । 



মাতা 👉 লক্ষ্মীমনি দেবী।

পত্নী 👉 মৃণালিনী দেবী।

ছদ্মনাম 👉 পরশুরাম, উপরিচর ।
 ছোটবেলায় তিনি ফটিক নামেও পরিচিত ছিলেন।

মৃত্যু 👉 ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে এপ্রিল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি দেহত্যাগ করেন।


আরও পড়ুন : “যৌবন বসন্তের কবি” বুদ্ধদেব বসু  ]


  • বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাস্যরসিক গল্পকার তিনিই।

  • ৪২ বছর বয়সে তিনি প্রথম গল্প রচনায় হাত দেন।

  • ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় পরশুরাম ছদ্মনামে তাঁর প্রথম গল্প ‘শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড’ প্রকাশিত হয়।

  • তাঁর লেখা প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘গড্ডালিকা' (১৯২৪), শিল্পী যতীন্দ্রকুমার সেনের ব্যঙ্গচিত্র সহ মুদ্রিত হয়।

  • তাঁর বাংলা বানান বিষয়ক অভিধান ‘চলন্তিকা’ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়।

  • তাঁর লেখা শেষ গল্প ‘জামাইষষ্ঠী’ রচনা শুরু করলেও তিনি গল্পটি সমাপ্ত করতে পারেন নি

  • তাঁর সর্বশেষ রচনা ‘রবীন্দ্রকাব্য বিচার’

আরও পড়ুন : আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ  ]


স্বনামে প্রকাশিত বিভিন্ন রচনা :

১. চলন্তিকা (১৯৩০)
২. লঘুগুরু (১৯৩৯)
৩. বাল্মীকি রামায়ণ-এর গদ্যানুবাদ (১৯৪৬)
৪. বিচিন্তা (১৯৫৫)
৫. কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসকৃত মহাভারত-এর সারানুবাদ


আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে “সায়েন্স ফিকশন” জাতীয় গ্রন্থ রচনার স্রষ্টা  ]


রাজশেখর বসু রচিত গল্পগ্রন্থ :

১. গড্ডালিকা (১৯২৪)

২. কজ্জলী (১৯২৭)

৩. হনুমানের স্বপ্ন (১৯৩৭)

৪. গল্পকল্প (১৯৫০)

৫. ধুস্তরী মায়া ইত্যাদি গল্প (১৯৫২)

৬. কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প (১৯৫৩)

৭. নীল তারা ইত্যাদি গল্প  (১৯৫৬)

৮. আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প (১৯৫৭)

৯. চমৎকুমারী ইত্যাদি গল্প (১৯৬১)


আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে সাহিত্যিকদের রচিত শ্রেষ্ঠ রচনা  ]


  • ‘কজ্জলী’ গল্পগ্রন্থের চরিত্র সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন - “বইখানি চরিত্রের চিত্রশালা”।

  • রাজশেখর বসুর বুদ্ধিদীপ্ত মানসিকতাকে সুনীতি কুমার “Most uncommon common sense” বা “সুবুদ্ধি জ্যোতি” বলে উল্লেখ করেছেন।

  • সৈয়দ মুজতবা আলী রাজশেখর বসুকে বলেছিলেন - “আপনার সমস্ত পাণ্ডুলিপি যদি হারিয়ে যায় আমাকে বলবেন, আমি স্মৃতি থেকে সমস্ত লিখে দেব”

  • রাজশেখর বসুর মৃত্যুতে সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন - “হঠাৎ যেন চোখের সামনে একটা বিরাট সমুদ্র শুকিয়ে গেল”

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে আত্মজীবনীমূলক রচনা  ]


প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা :

১. ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 👉  জগত্তারিণী পদক ।

২. ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে 👉 সরোজিনী পদক।

৩. ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ‘কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ’-এর জন্য 👉 রবীন্দ্র পুরস্কার।

৪. ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে 👉 পদ্মভূষণ উপাধি।

৫. ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 👉 ডি.লিট সম্মাননা লাভ।

৬. ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ‘আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ’-এর জন্য 👉 আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

আরও পড়ুন : রবীন্দ্রোত্তর কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত  ] 



আরও পড়ুন : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য  ]

Post a Comment

0 Comments