Subscribe Us

সুভাষ মুখোপাধ্যায় : পদাতিক কবি

 
Banglasahitte-Padatik-Kobi-Subhash-Mukhopadhyay

সুভাষ মুখোপাধ্যায় : পদাতিক কবি


⚜️ জন্ম 👉 ১২ ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মাতুলালয়ে।

⚜️ পিতা 👉 ক্ষিতিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তিনি আবগারী বিভাগে চাকরি করতেন।

⚜️ মাতা 👉 যামিনী দেবী।

⚜️ স্ত্রী 👉 গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

⚜️ শিক্ষা জীবন 👉 ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
পরবর্তীতে আশুতোষ কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন।
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ পাশ করেন।
স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকেই ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বি.এ পাশ করেন।

⚜️ মৃত্যু 👉 ৮ই জুলাই ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন।


PDF ফাইলগুলো ডাউনলোডের জন্য ক্লিক করুন ]


  • সুভাষ মুখোপাধ্যায় মনে করতেন - “মানবতা ও দেশাত্মবোধ থেকে রাজনীতি পৃথক নয়”।

  • অই.এ পড়ার সময় সমর সেন তাঁকে “হ্যান্ডবুক অফ মার্কসিজম” পড়তে দিলে, তা পড়ে তিনি মার্কসিজমের প্রতি আকৃষ্ট হয় উঠেন।

  • ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তিনি কারাবরণ করেন এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর কারামুক্তি ঘটে।

  • বুদ্ধদেব বসু সুভাষ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে লিখেছেন - “তিনি ব্যক্তিবাদের বিরোধী, তার মুক্তি কামনা এলাকার জন্যও নয়, সমগ্র মনুষ্য-সমাজেরই জন্য। সাম্য ও সংহতি ছাড়া মুক্তির অন্য কোন সংজ্ঞার্থ তাঁর মনে নেই”।

  • ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।



  • সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত লেখা ‘কথিকা’ ১৯৩৩-৩৪ খ্রিস্টাব্দে সত্যভামা ইনস্টিটিউশনের স্কুল ম্যাগাজিন ‘ফল্গু’ তে প্রকাশিত।

  • ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে কবিতা ভবন থেকে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “পদাতিক” প্রকাশিত হয়।

  • তাঁর প্রকাশিত প্রথম গদ্যগ্রন্থ “আমার বাংলা” ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত।

  • “মিছিলের মুখ” তাঁর প্রথম প্রেমের কবিতা। কবিতাটি “অগ্নিকোন” কাব্যের অন্তর্গত।

আরও পড়ুন : রাজশেখর বসু সম্পর্কে  ] 



সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত কাব্যগ্রন্থ 

১. পদাতিক ১৯৪০

২. অগ্নিকোন ১৯৪৮

৩. চিরকূট ১৯৫০

৪. ফুল ফুটুক ১৯৫৭

৫. যত দূরেই যায় ১৯৬২

৬. কাল মধুমাস ১৯৬৬

৭. ছেলে গেছে বনে ১৯৭২

৮. একটু পা চালিয়ে ভাই ১৯৭৯

৯. জল সইতে ১৯৮১

১০. রোদ উঠেছে চলে যাই ১৯৮১

১১. চইচই চইচই ১৯৮৩

১২. বাঘ ডেকেছিল ১৯৮৫

১৩. যা রে কাগজের নৌকা ১৯৮৯

১৪. ধর্মের কল ১৯৯১

১৫. এক বার বিদায় দে মা ১৯৯৫

১৬. ছড়ানো মাটি ২০০১


সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস 


১. হংরাস ১৯৭৩

২. কে কোথায় যায় ১৯৭৬

৩. কমরেড, কথা কও ১৯৯০ 

৪. চিঠির দর্পনে

সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত গদ্যগ্রন্থ 

১. আমার বাংলা ১৯৫১

২. যেখানে যখন ১৯৬০

৩. ডাকবাংলার ডায়েরী ১৯৬৫

৪. নারদের ডায়েরী ১৯৬৯

৫. যেতে যেতে দেখা ১৯৬৯

৬. ক্ষমা নেই ১৯৭১

৭. টো টো কোম্পানী ১৯৮৪

৮. খোলা হাতে খোলা মনে ১৯৮৭


সুভাষ মুখোপাধ্যায় অনুদিত কবিতা 

১. নাজিম হিকমতের কবিতা ১৯৫২

২. পাবলো নেরুদার কবিতাগুচ্ছ ১৯৭৩

৩. হাফিজের কবিতা ১৯৮৪

৪. চর্যাপদ ১৯৮৬

৫. আমরুশতক ১৯৮৮


আরও পড়ুন : নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কে  ] 



  • নাজিম হিকমতের সঙ্গে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাশখন্দ শহরে ‘আফ্রো-এশীয়’ লেখক সন্মেলনে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় নিজাম হিকমতের কবিতা অনুবাদের প্রয়োজন অনুভব করেন। বন্ধু রণজিৎ এবং স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে তিনি নিজাম হিকমতের কবিতা অনুবাদ করেন।

  • সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মজীবনের অনুবাদ মূলক রচনাটি হল “ব্যাঘ্রকেতন”(১৯৬০)।

  • “যত দূরেই যাই”(১৯৬২) কাব্যের জন্য তিনি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।

  • ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ‘আনন্দ পুরস্কার’ এবং ‘সোভিয়েত ল্যান্ড পুরস্কার’ লাভ করেন।

  • ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘দেশিকত্তোম’ উপাধিতে ভূষিত করে।

  • ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘সাহিত্য আকাদেমি ফেলোশিপ লাভ করেন।

  • ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে পেয়েছেন ‘জ্ঞানপীঠ’ পুরস্কার।

  • “কাল মধুমাস” কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে বাসন্তী কুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন - “কাল মধুমাস’ কাব্যগ্রন্থের ‘আশ্চর্য কলম’ ও ‘খেলা দেখে যান’ যথাক্রমে ক্যানভাসের ও বাজিকরের ভঙ্গিতে লেখা”

  • “চিরকুট” কাব্যের কবিতাগুলো ১৯৪১ থেকে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লেখা।  এই কাব্য সম্পর্কে অধ্যাপিকা গৈরিকা ঘোষ যথার্থই বলেছেন - “১৯৪১-৪৬-এর স্বদেশ ও বিদেশের নানা ছবি এই কাব্যে”

  • “আগ্নিকোণ”-এর পাঁচটি কবিতা “চিরকুট”(১৯৫০)-এর মধ্যে সংযোজিত হয়ে গেলে “অগ্নিকোণ” আর স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত হয়নি।

Post a Comment

0 Comments