জন্ম 👉 ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই অক্টোবর বর্তমান বাংলাদেশের বাসন্ডা গ্রামে এক বৈদ্য পরিবারে।
পিতা 👉 সে যুগের খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও ম্যাজিস্ট্রেট চণ্ডীচরণ সেন।
পিতামহ 👉 নিমচাঁদ সেন।
স্বামী 👉 স্ট্যাটুটারি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়।
ছদ্মনাম 👉 জনৈক বঙ্গমহিলা ।
পুত্র 👉 অশোক ।
কন্যা 👉 লীলা ।
শিক্ষাজীবন 👉 ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বেথুন কলেজ থেকে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
কামিনী রায় ভারতের প্রথম মহিলা যিনি সংস্কৃতে সন্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
কর্মজীবন 👉 তিনি প্রথম বেথুন স্কুলে এবং পরে বেথুন কলেজে অধ্যাপনার কাজে বিবাহের (১৮৯৪ খ্রি) পূর্ব পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন।
মৃত্যু 👉 ২৭ শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিহারের হাজারীবাগে (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
[ আরও পড়ুন : প্রথম মুদ্রিত “ধর্মমঙ্গল” কাব্য ]
- কামিনী রায় মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন।
- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন।
- প্রেম, প্রকৃতি ও স্বদেশ প্রেম - এই তিন শাখায় তাঁর মুকুলিত কবিত্ব কবিতা পুষ্প রূপে ফুটে উঠেছিল।
- কামিনী রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আলো ও ছায়া’ হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয়।
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি লেখিকা ]
কামিনী রায় রচিত কাব্যগ্রন্থ :
১. আলো ও ছায়া ১৮৮৯২. নির্মাল্য ১৮৯১
৩. মাল্য ও নির্মাল্য ১৯১৩
৪. সাদ্ধিকী ১৯১৩
কামিনী রায় রচিত নাট্যকাব্য :
১. পৌরাণিকী ১৮৯৭২. আশোকসঙ্গীত ১৯১৪
৩. অম্বা ১৯১৫
৪. সিতিমা ১৯১৬
৫. দীপ ও ধূপ ১৯২৯
৬. জীবন পথে ১৯৩০
[ আরও পড়ুন : ‘Post Card Story’-র জনক ]
কামিনী রায় রচিত শিশুসাহিত্য :
১. গুঞ্জন ১৯০৫২. ধর্মপুত্র ১৯০৭ (টলস্টয়ের গল্পের অনুবাদ)
৩. ঠাকুরমার চিঠি ১৯২৩
- নিজ রচনা সম্বন্ধে কামিনী রায় লিখেছেন – “মেদিনী’ নামক মেদিনীপুরে একখানি সাপ্তাহিক কাগজ ছিল। পিতা তাহার জন্য আমাকে কবিতা দিতে অনুরোধ করেন। তদনুসারে ‘প্রার্থনা’ ও ‘উদাসিনী’ শীর্ষক দুইটি কবিতা দিয়াছিলাম”।
- ‘গুঞ্জন’ শিশুপাঠ্য কাব্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিশু’ কাব্যের অনুসরণে লেখা।
- পুত্র আশোকের মৃত্যুতে শোকাতুর হৃদয়ের শোকগাঁথা ‘আশোকসঙ্গীত’ নাট্যকাব্যটি।
- তাঁর ‘দীপ ও ধূপ’ কাব্যে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত হয়েছে।
- তাঁর অনেক লেখা রচনা কালের বহু পরে প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ‘অম্বা’ প্রকাশিত হয় রচনা করার ২৪ বছর পর।
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে সাহিত্যিকদের রচিত শ্রেষ্ঠ রচনা ]
- ১৯০০ সালে ৫ ই অক্টোবর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রিয়নাথ সেনকে লেখা একটি চিঠিতে কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া’, ‘পৌরাণিকী’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনে হয়েছিল, - “লেখিকার ভাব, কল্পনা এবং শিক্ষা আছে, কিন্তু তাঁর লেখনীতে ইন্দ্রজাল নেই, তাঁর ভাষায় সঙ্গীতের অভাব।”
- কামিনী রায়ের কবিতার বিশেষত্ব আলোচনা প্রসঙ্গে সুকুমার সেন লিখেছিলেন - “ভাবের ও ভাষার সংযম ও শালীনতা ইহার রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। হৃদয় দ্বন্দ্বের মধ্যে নৈতিক ও বৃহত্তর আদর্শের সঙ্গতি অন্বেষণ ইহার কবিতার মর্মকথা”।
0 Comments