Subscribe Us

আলোচনা : ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

জন্ম 👉 ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ৫ ই অক্টোবর হুগলির চাতরা শ্রীরামপুরে।

পিতা 👉 ভূপতিনাথ মুখোপাধ্যায়, বারাসাতের বিশিষ্ট আইনজীবী ছিলেন।

পৈতৃক নিবাস 👉 ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়া গ্রামে।

শিক্ষা 👉 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি (১৯১৮) এবং অর্থনীতিতে (১৯২০) এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন 👉 বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরু।
পরে তিনি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২২-৫৪) এবং আলীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৫৪-৫৯) অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন।

ছদ্মনাম 👉 যুধিষ্ঠির।

মৃত্যু 👉 ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৫ ই ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে পরলোকগমন করেন।


আরও পড়ুন : রাজশেখর বসু সম্পর্কে  ] 


  • সাহিত্য সমালোচনায় তাঁকে “মার্ক্সীয় নন্দনতাত্ত্বিকদের পুরোধা” এই অভিধায় অভিহিত করা হয়।

  • তিনি নিজেকে বীরবলের শিষ্য বলে মনে করতেন। তাই তাঁর বাংলা গদ্য রীতিতে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষ্যনীয়।

  • 'পরিচয়', 'উত্তরা', এবং  'সবুজপত্র' পত্রিকার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রচিত গদ্যগ্রন্থ :


১. আমরা ও তাঁহারা (প্রবন্ধগ্রন্থ, ১৯৩১)

২. চিন্তয়সি (প্রবন্ধগ্রন্থ, ১৯৩৩)

৩. অন্তঃশীলা (উপন্যাস, ১৯৩৫)

৪. আবর্ত (উপন্যাস, ১৯৩৭)

৫. সুর ও সংগীত (সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ, ১৯৩৭)

৬. কথা ও সুর (সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ, ১৯৩৮)

৭. মোহনা (উপন্যাস, ১৯৪৩)

৮. ভারতীয় সঙ্গীতের উপক্রমণিকা (সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ, ১৯৪৫)

৯. মনে এলো (প্রবন্ধগ্রন্থ, ১৯৫৬)

১০. বক্তব্য (উপন্যাস, ১৯৫৭)


আরও পড়ুন : প্রথম মুদ্রিত “ধর্মমঙ্গল” কাব্য  ]


  • “অন্তঃশীলা”(১৯৩৫), “আবর্ত”(১৯৩৭), “মোহনা”(১৯৪৩) তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস

  • ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘অন্তঃশীলা’, ‘আবর্ত’, ‘মোহনা’ মার্ক্সবাদের অন্তঃক্ষরণ ও বহিঃক্ষরণ।

  • ‘অন্তঃশীলা’ উপন্যাসের ভূমিকায় ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন - “অন্তঃশীলা’ আমি ভাবের বসে লিখিনি। এর মধ্যে না আছে আত্মকথা, না আছে ভাবগত প্রেরণা। অথচ খুঁটিনাটি ঘটনার পিছনে অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই ছিল। সে সব অভিজ্ঞতা চিন্তার ভিতর দিয়েই চালুই হয়ে এসেছে। এবং মন যখন প্রধানত লেখকের তখন লেখকের মনভঙ্গি ও ভাষা কিছু পরিমানে তার সৃষ্ট চরিত্রের সাথে মিল খাবে। আমার মন খগেনবাবুকে ধার দিয়েছি মাত্র”।

  • তিনি ‘সুর ও সংগীত’ উৎসর্গ করেন অতুলপ্রসাদ সেনকে

  • তিনি তাঁর ‘কথা ও সুর’ সংগীত বিষয়ক গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন বন্ধু মন্টুকে

  • ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘মনে এলো’ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ‘দেশ’ পত্রিকায়।

আরও পড়ুন : বাংলা ভাষার প্রথম চৈতন্য জীবনীগ্রন্থ  ]


ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়র রচিত ইংরেজি রচনা:


১. Personality and the Social Science (১৯২৪)

২. Basic Concept of Sociology (১৯৩২)

৩. Tagore a Study (১৯৪৩)

৪. Indian Music, An Introduction (১৯৪৫)

৫. On Indian History, A Study in Method (১৯৪৫)

৬. Diversities (১৯৫৮)


  • তাঁর একটিমাত্র গল্পগ্রন্থ ‘রিয়ালিস্ট’ (১৯৩৩)।
এই গল্পগ্রন্থের আখ্যান স্টাইলের প্রশংসা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন  - 
“তোমার বইয়ের যে নাম দিয়েছ ‘রিয়ালিস্ট’ তার মধ্যে বিদ্রুপের অট্টআস্য রয়েছে। নিছক রিয়ালিজ্‌ম যে কত অদ্ভুত ও অসঙ্গত তা তোমার গল্পে ফুটিয়ে তুলেছ”।

  • ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বেশিরভাগ প্রবন্ধই লিখেছিলেন বন্ধু ও সহকর্মীদের ব্যঙ্গের কারণে। সহকর্মীদের ব্যঙ্গ - তিনি নাকি শুধু সাহিত্য, সংগীত নিয়েই মত্ত, নিজের বিষয়ে দক্ষ নন। আবার কখনও ব্যঙ্গ এসেছে - ধূর্জটি শুধু পড়েই গেল কিছুই লিখল না - এই সমস্ত ব্যঙ্গের উত্তর দিতেই তাঁকে বারবার কলম ধরতে হয়েছে। লেখা যেন তাঁর কাছে -“ লিখি দম্ভের জন্য, আত্মসম্মানের জন্য, রাগ প্রকাশের জন্য”।




পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....

Post a Comment

0 Comments