Subscribe Us

নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ

Nattokar-Girish-Chandra-Ghosh


জন্ম – ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার বাগবাজারে এক বনেদী কায়স্থ পরিবারে।

পিতা – নীল কমল ঘোষ।

মাতা – রাইমণি দেবী।

স্ত্রী – প্রমোদিনী দেবী, ১৮৫৯ সালে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

শিক্ষা জীবন – বাল্যকালে তিনি গৌরমোহন আঢ্যের পাঠশালা এবং হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন ।
১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে পাইকপাড়া বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন।

কর্ম জীবন – বুক কীপারের কাজ দিয়ে তিনি তাঁর কর্মজীবনের সূচনা করেন।
পরে তিনি ফ্রাই হার্জার কোম্পানিতে চাকরি করেন।
১৮৮০ সালে তিনি গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের ম্যানেজার পদে যোগ দেন।

ছদ্মনাম – মুকুটাচরণ মিত্র।

মৃত্যু – ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ৮ ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।


আরও পড়ুন : “দেশে-বিদেশে”-র রচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে ]


  • অধ্যাপক প্রমথনাথ বিশী গিরিশচন্দ্র ঘোষ সম্পর্কে বলেছেন –
      “মধ্যবৃত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রাত্যহিক সুখ দুঃখের ভাষাকে তিনি শিল্পের স্তরে উন্নীত করেছেন, দীনবন্ধু মিত্র ছাড়া এক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি নেই।”
  • ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে “শর্মিষ্ঠা” নাটকে গীতিকার হিসেবে গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্যজগতে প্রথম পদার্পণ করেন।
  • রঙ্গমঞ্চের প্রয়োজনে গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাটক রচনায় প্রবৃত্ত হন । এই বিষয়ে তাঁর প্রথম নাটক – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “কপালকুণ্ডলা” (১৮৩৬) এবং “মৃনালিনী” -র নাট্যরূপ দান করেন।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম দুই গীতিনাট্য - “আগমনী” (১৮৭৭), “অকালবোধন” (১৮৭৭) নিতান্তই ক্ষুদ্র রচনা দুটিতে তাঁর ছদ্মনাম ছিল – মুকুটাচরণ মিত্র।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক “চণ্ড” (১৮৮১) । এতে টডের “Annal & Antiquities of Rajasthan” এর কাহিনীর প্রভাব লক্ষ্ করা যায়।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম পৌরাণিক নাটক - “রাবণ বধ” (১৮৮১)।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম মৌলিক নাটক - “আনন্দরহো” (১৮৮১) । এতে ঐতিহাসিক নাটকের রূপ বর্তমান।
  • “প্রফুল্ল” গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ সম্পূর্নাঙ্গ বিয়োগান্ত নাটক । এই নাটকের মূল বিষয় ভ্রাতার বিশ্বাস ঘাতকতা।
  • “জনা” (১৮৯৪) এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের শ্রেষ্ঠ পৌরাণিক নাটক, তথা তাঁর শ্রেষ্ঠ নাট্যরচনাও বটে।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাটক - “সিরাজউদদৌল্লা” (১৯০৬)।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রকাশিত শেষ নাটক - “তপোবন” (১৯১১), এবং রচিত শেষ নাটক – “গৃহলক্ষ্মী” (১৯১২) এই নাটকের পঞ্চম অঙ্ক রচনা করেন দেবেন্দ্রনাথ বসু।

আরও পড়ুন : “যৌবন বসন্তের কবি” বুদ্ধদেব বসু সম্পর্কে ]


  • “মুকুলমঞ্জুরা” গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি শ্রেষ্ঠ মিলনাত্মক নাটক।
  • “মহাপূজা” (১৮৯০) গিরিশচন্দ্র ঘোষের রচিত একটি রূপক নাটক
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত প্রহসন গুলো ‘পঞ্চরঙ’ নামে পরিচিত।
  • তিনি ২৬ বছর বয়সে আস্তিক থেকে নাস্তিক ধর্ম গ্রহণ করেন।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের দ্বারাই নাটকে এবং অভিনয়ে গৈরিশ ছন্দের সার্থক প্রয়োগ ঘটেছিল । গৈরিশ ছন্দ গিরিশচন্দ্র ঘোষের আবিষ্কার নয়, তাঁর পূর্বে ব্রজমোহন রায় নাটকে এবং রাজকৃষ্ণ রায় কাব্যে ভাঙ্গা মিত্রাক্ষর – অমিত্রাক্ষর ছন্দের অল্প ব্যবহার করেছিলেন।
  • তিনি নাট্যকারের আদর্শ পেয়েছিলেন – মনোমোহন বসু এবং দীনবন্ধু মিত্রের রচনা থেকে।
ভক্তিরসময় পৌরাণিক নাট্য রচনার সূত্রপাত করেন – মনোমোহন বসু এবং গিরিশচন্দ্র ঘোষ তাঁকে অনুসরণ করেন।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ ট্র্যাজেডির আদর্শ পেয়েছিলেন – দীনবন্ধু মিত্রের রচনা থেকে।


আরও পড়ুন : নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে ]


গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত গীতিনাট্য :

আগমনী ১৮৭৭
অকাল বোধন ১৮৭৭
দোললীলা ১৮৭৮
মোহিনী প্রতিমা ১৮৯১
স্বপ্নের ফুল ১৮৯৪
অশ্রুধারা ১৯০১

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত সামাজিক নাটক :

প্রফুল্ল ১৮৮৯
হারানিধি ১৮৯০
মায়াবসান ১৮৯৮
বলিদান ১৯০৫
শাস্তি কি শান্তি ১৯০৮

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত চরিত্র কেন্দ্রীক নাটক :

প্রহ্লাদ চরিত্র ১৮৮৪
চৈতন্য লীলা ১৮৮৬
বুদ্ধদেব চরিত ১৮৮৭
বিল্বমঙ্গল ঠাকুর ১৮৮৮
রূপসনাতন ১৮৮৮
নিমাই সন্ন্যাস ১৮৯২

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত প্রহসন :

ভোটমঙ্গল ১৮৮২
বেল্লিক বাজার ১৮৮৭
বড়দিনের বকশিশ ১৮৯৪
সপ্তমীতে বিষর্জন ১৮৯৪
সভ্যতার পাণ্ডা ১৮৯৪
পা্ঁচ কনে ১৮৯৬
য্যায়সা কি ত্যায়সা ১৯০৭

আরও পড়ুন : রবীন্দ্রনাথের পর ‘প্রথম মৌলিক কবি’ সম্পর্কে ]


গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত পৌরাণিক নাটক :

রাবণবধ ১৮৮১
অভিমন্যু বধ ১৮৮১
সীতার বিবাহ ১৮৮২
সীতার বনবাস ১৮৮২
সীতাহরণ ১৮৮২
পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস ১৮৮৩
জনা ১৯৯৪
পাণ্ডব গৌরব ১৯০০

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত ঐতিহাসিক নাটক :

সৎনাম বা ভারত গৌরব ১৯০৪
সিরাজদৌল্লা ১৯০৬
মীরকাশিম ১৯০৬
ছত্রপতি শিবাজী ১৯০৭
অশোক ১৯১১

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত যাত্রাধর্মী পৌরাণিক নাটক :

নলদময়ন্তী ১৮৮৭
দক্ষযজ্ঞ ১৮৮৯
ধ্রুবচরিত্র ১৮৯২
হরগৌরী ১৯০৫
তপোবন ১৯১১

গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত অসমাপ্ত নাটক :

রাণাপ্রতাপ
গৃহলক্ষ্মী
মিলনকানন
সাধের বৌ

আরও পড়ুন : “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ”-এর কবি সম্পর্কে ]


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “চোখের বালি”,

মাইকেল মধুসূদন দত্তের - “মেঘনাদবধ কাব্য”,

রমেশচন্দ্রের “মাধবীকঙ্কন” এবং

শেক্সপিয়ারের  “ম্যাকবেথ” _এর নাট্যরূপ দান করেন।


  • মহাভারতের আখ্যান কাহিনী অবলম্বনে গিরিশচন্দ্র ঘোষ যে সকল নাটক রচনা করেছিলেন, সেগুলি হল - “অভিমন্যু বধ”, “পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস”, “জনা”, “পাণ্ডব গৌরব”
  • স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত নাটকগুলো - “সিরাজউদদৌল্লা”, “মীরকাশিম”, “ছত্রপতি শিবাজী”

  • তাঁর “ছত্রপতি শিবাজী” নাটকটি ইংরেজ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয়।

  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বেই ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ন্যাশনাল থিয়েটার নামে সর্বপ্রথম পেশাদারী রঙ্গমঞ্চের প্রতিষ্ঠিত হয়।

  • গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটারে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে দীনবন্ধু মিত্রের “নীলদর্পণ” নাটকের নিমচাঁদ চরিত্রে অভিনয় করেন।

“চণ্ড” (১৮৮১)

ঐতিহাসিক নাটক।
কর্ণেল টডের “Annal and Antiquities of Rajasthan” এর কাহিনী অবলম্বনে নাটকটি রচিত।
এই নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মেবার ও রাঠোর রাজবংশের বিবাহের কাহিনী।

“অনন্দ রহো” (১৮৮১)

প্রথম মৌলিক এবং ইতিহাস আশ্রিত দেশপ্রেম মূলক ঐতিহাসিক নাটক।
এই নাটকে বেতার আনন্দ রহো বলেই সব কাজ হাসিল করত, সেখান থেকেই নাটকের এই নামটি হয়েছে।

আরও পড়ুন : বস্তুপণ্যের প্রচারে প্রথম প্রদেয় পুরস্কার ]


“রাবণ বধ” (১৮৮১)

এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক।
কৃত্তিবাসের রামায়ণের রাবণের শেষ জীবনকে কেন্দ্র করে নাটকটি রচিত।
রাবণ কে লেখক এই নাটকে রামের ভক্ত হিসাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
এই নাটকে মধুসূদন দত্তের “মেঘনাদবধ কাব্য” -এর প্রভাব ও বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

“সীতার বনবাস” (১৮৮২)

রামায়ণের বিষয় নিয়ে নাট্যকার নাটকটি রচনা করেন।
উর্মিলার কথা মত রাবণের ছবি এঁকে গর্ভবতী ক্লান্ত সীতা সেই ছবির উপরই ঘুমিয়ে পড়েন, এবং ভিতরে এসে রামচন্দ্র এই দৃশ্য দেখে সীতাকে কলঙ্কী বলে অভিহিত করেছিলেন।

“সীতা হরণ” (১৮৮২)

কিস্কিন্ধা এবং সুন্দরা কাণ্ডের বিষয় নিয়ে রচিত এই নাটক।

“বুদ্ধদেব চরিত” (১৮৮৭)

নাটকের উৎসর্গ পত্রে নাট্যকার এডুইন আরনল্ড কে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন –
“কবিবর, আপনার জগদ্বিখ্যাত “Light of Asia” নামক কাব্যখানি অবলম্বন করিয়া এই গ্রন্থ রচনা করিয়াছি।”


“বিল্বমঙ্গল” (১৮৮৮) :

গিরিশচন্দ্র ঘোষ “ভক্তমাল” গ্রন্থ থেকে এই নাটকের আখ্যান সংগ্রহ করেছিলেন।
এই নাটক প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন –
“বিল্বমঙ্গল’ শেক্সপিয়ারের উপর গিয়েছে । আমি এরূপ উচ্চভাবের গ্রন্থ কখনও পড়ি নাই।”

নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় ১২৯৩ বঙ্গাব্দের ২০ ই আষাঢ় স্টার থিয়েটারে

“প্রফুল্ল” (১৮৮৯) :

এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের শ্রেষ্ঠ সামাজিক নাটক
১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে এপ্রিল স্টার থিয়েটারে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
নাটকটি কলকাতার নাগরিক জীবনের চিত্র, মধ্যবিত্ত সমাজের ভাঙন এই নাটকের বিষয়ে গুরুত্ব লাভ করেছে।
এই নাটক প্রসঙ্গে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন –
“প্রফুল্ল’ কে যথার্থ ট্র্যাজেডি বলা যাবে না । অতি নাটকীয়তা, খুন – জখম, মাতলামি প্রভৃতির বাড়াবাড়ির ফলে এর ট্র্যাজিক রস বিশেষভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে – ট্র্যাজেডির সান্ত্বনাহীন হতাশা, শুষ্ক নয়নের অগ্নি জ্বালা গিরিশচন্দ্র কেন, কোন বাঙালি নাট্যকারই আরও করতে পারেন নি।”



আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র(দ্বিতীয় পর্ব) ]


“হারানিধি” (১৮৯০) :

মিলনাত্মক নাটক।
১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই নভেম্বর নাটকটি প্রথম স্টার থিয়েটারে অভিনীত হয়।

“মায়াবসান” (১৮৯৭)

বিয়োগান্ত নাটক।
১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই ডিসেম্বর স্টার থিয়েটারে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

“পাণ্ডব গৌরব” (১৯০০) :

উর্বশীর অভিশাপ মোচনের বিষয় নিয়ে নাটকটি রচিত । কৃষ্ণের সাথে পাণ্ডবদের দ্বন্দ্বের কারণ হল এই ধাপ মোচন।
নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ রামকৃষ্ণ দেবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নাটকে শাক্ত ভক্তি ও বৈষ্ণব ভক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
গিরিশচন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের আর্শীবাদ লাভ করেন । এই প্রসঙ্গে তিনি লিখেছিলেন –
“আমার মনে ধারনা জন্মিয়াছে যে গুরুর কৃপা আমার কোনো গুণ নহে । অহেতুকী কৃপা সিন্ধুর অপার কৃপা, পতিত পবনের অপার দয়া – সেইজন্য আমায় আশ্রয় দিয়েছেন আমি পতিত, কিন্তু ভগবানের আপার করুণা আমার কোন চিন্তার কারণ নাই । জয় রামকৃষ্ণ।”


“বলিদান” (১৯০৫) :

সারদাচরণ মিত্র গিরিশচন্দ্র কে পণ প্রথার বিষময় পরিনতি নিয়ে নাটক রচনা করতে অনুরোধ করলে নাট্যকার এই নাটকটি রচনা করেন।
মিনার্ভা থিয়েটারে নাটকটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শে চৈত্র প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

“ছত্রপতি শিবাজী” (১৯০৭) :

গিরিশচন্দ্র এই ঐতিহাসিক নাটকের উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন সত্যচরণ শাস্ত্রীর “ছত্রপতি শিবাজী” গ্রন্থ থেকে।

“শাস্তি কি শান্তি” (১৯০৭) :

মিনার্ভা থিয়েটারে নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই নভেম্বর।
এই নাটকে ৩ জন বিধবার সমস্যা কে নাট্যকার যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

“য্যায়সা কা ত্যায়সা” (১৯০৭) :

মলিয় -এর “ল আমুর মেদিস্যাঁ” -র ইংরেজি অনুবাদ “Love is the Best Doctor” গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রহসন টি রচনা করেন।
পণ প্রথা জনিত সমস্যার দিকটি এই প্রহসনে স্থান পেয়েছে।


আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে পশুকেন্দ্রিক বিভিন্ন রচনা ]


  • “আবু হোসেন” (১৮৯৩) গিরিশচন্দ্র ঘোষের রচিত শ্রেষ্ঠ কৌতুকপূর্ণ গীতিনাট্য।
  • “অশ্রুধারা” (১৯০১) গীতিনাট্য টি গিরিশচন্দ্র ঘোষ রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে রচনা করেন।
  • গিরিশচন্দ্র ঘোষের সৃষ্ট – পাগলিনী, নাসীরাম, চিন্তামনি প্রভৃতি চরিত্রের উপর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
  • অপরেশ মুখোপাধ্যায় গিরিশচন্দ্র কে “Father of Native Stage” বলেছেন।
  • ‘সাধারণী’ পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের সুপ্রসিদ্ধ অভিনেতা গ্যারিকের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে গিরিশচন্দ্র কে “বঙ্গের গ্যারিক” আখ্যায় ভূষিত করেছেন।
  • অমৃতলাল বসু তাঁর স্মৃতিকথায় গিরিশচন্দ্র কে “ন্যাদাড়ু গিরিশ” বলেছেন।
  • ‘Hindu Patriot’ পত্রিকা গিরিশচন্দ্র কে  “আধুনিক রঙ্গমঞ্চের জনক” বলে অভিহিত করেছে।

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে “দা” চরিত্র এবং সৃষ্টিকর্তা ]



পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....


আরও পড়ুন - 

Post a Comment

2 Comments

  1. অসংখ্য ধন্যবাদ । অনেক উপকৃত হলাম।

    ReplyDelete