Subscribe Us

বিষ্ণু দে : “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ”-এর কবি

Smriti-Satta-Vobishat-ar-Kobi-Bishnu-Dey



জন্ম – ১৮ ই জুলাই ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার পটলডাঙার ‘দে’ পরিবারে বিষ্ণু দে জন্মগ্রহণ করেন।

পিতা – অবিনাশ চন্দ্র দে, ছিলেন অ্যাটর্নি।

ঠাকুরদা – বিমলাচরণ দে, মধুসূদন দত্ত এবং ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের বন্ধু ছিলেন।

শিক্ষা জীবন – মিত্র ইনস্টিটিউট এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল থেকে তিনি পড়াশোনা করেন ।
১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে বিষ্ণু দে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি আই.এ পড়াশোনা করেন বঙ্গবাসী কলেজ থেকে।
১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট পল্স কলেজ থেকে সাম্মানিক ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন বিষ্ণু দে ।
পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে এম.এ পাশ করেন।

কর্মজীবন – ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধুনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজে (রিপন কলেজ) শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।
১৯৪৪ – ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিষ্ণু দে প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং ১৯৪৭ – ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মৌলানা আজাদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।

পত্নীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ইংরাজীতে এম.এ বিভাগের ছাত্রী প্রণতি রায়চৌধুরীর সঙ্গে বিষ্ণু দে'র পরিচয় হয়। এবং পরে বিষ্ণু দে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর প্রণতি রায়চৌধুরীকে বিবাহ করেন।

ছদ্মনামশ্যামল রায় (কল্লোল' এবং 'মহাকাল' পত্রিকায় তিনি এই ছদ্মনামে অজস্র কবিতা লিখেছেন) এবং বিপ্রদাস মিত্র (এই ছদ্মনামে রচিত তাঁর প্রথম গল্প - "পুরানের পুনর্জন্ম", গল্প টি 'প্রগতি পত্রিকা' -য় প্রকাশিত হয়)

মৃত্যু – ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ৩ রা ডিসেম্বর কলকাতায় তিনি দেহত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন : কাজী নজরুল ইসলাম : রবীন্দ্রনাথের পর ‘প্রথম মৌলিক কবি’ সম্পর্কে ।


  • কবি বিষ্ণু দে টি.এস.এলিয়টের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
  • কবি বিষ্ণু দে ছিলেন মার্ক্সবাদী কবি।
  • পিতা অবিনাশ চন্দ্র দে কবিকে সাহিত্য মনস্ক করে তোলেন।
  • প্রথম দিকে বিষ্ণু দে শ্যামল রায় ছদ্মনামে কল্লোল এবং মহাকাল পত্রিকায় কবিতা লিখতেন।
  • বিষ্ণু দের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “উর্বশী ও আর্টেমিস” ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয় ।
  • তাঁর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ - “আমার হৃদয়ে বাঁচো” (১৯৮১)। কাব্যগ্রন্থটির নামকরণ করেন কবিবন্ধু বিরাম মুখোপাধ্যায়
  • বিষ্ণু দে-র শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ - “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ” ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত।
  • বিষ্ণু দে ‘কবিতা’ নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করেন।

আরও পড়ুন : বস্তুপণ্যের প্রচারে প্রদেয় প্রথম পুরস্কার।

Smriti-Satta-Vobishat-ar-Kobi-Bishnu-Dey

বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থ :

  • উর্বশী ও আর্টেমিস ১৯৩২
  • চোরাবালি ১৯৩৮
  • পূর্বলেখ ১৯৪১
  • সাত ভাই চম্পা ১৯৪৫
  • সন্দীপের চর ১৯৪৭
  • অন্বিষ্ট ১৯৫০
  • নাম রেখেছি কোমল গান্ধার ১৯৫০
  • তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ ১৯৫৮
  • আলেখ্য ১৯৫৮
  • স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ ১৯৬৩
  • সেই অন্ধকার চাই ১৯৬৬
  • সংবাদ মূলত কাব্য ১৯৬৯
  • ইতিহাসে ট্রাজিক উল্লাসে উল্লাসে ১৯৭০
  • রবি করোজ্জ্বল নিজ দেশে ১৯৭৩
  • ঈশ্বাবাস্য দিবানিশা ১৯৭৪
  • চিত্ররূপ মত্ত পৃথিবী ১৯৭৫
  • উত্তরে থাকো মৌন ১৯৭৭
  • আমার হৃদয়ে বাঁচো ১৯৮১

বিষ্ণু দে রচিত অনুবাদমূলক রচনা :

  • সমুদ্রের মৌন ১৯৪৬ (ভেরকরের “Le silence de La Mer”-র অনুবাদ)
  • এলিয়টের কবিতা ১৯৫৩
  • হে বিদেশি ফুল ১৯৫৬
  • আফ্রিকায় এশিয়ায় মুরলী মৃদঙ্গে তূর্যে ১৯৭০
  • তুমি রবে কি বিদেশিনী ১৯৮৬

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র (দ্বিতীয় পর্ব) ।


বিষ্ণু দে রচিত ইংরেজি প্রবন্ধ গ্রন্থ :

  • The Art of Jamini Roy ১৯৪৫
  • The Paintings of Rabindranath Tagore ১৯৫৮
  • India and Modern Art ১৯৫৯
  • The Pioneers of Modern Art in India ১৯৬১
  • Satyendranath Bose/A Legend in his lifetime ১৯৬৪
  • In the Sun and the Rain ১৯৭২

বিষ্ণু দে রচিত বাংলা প্রবন্ধ গ্রন্থ :

  • রুচি ও প্রগতি ১৯৪৬
  • সাহিত্যের ভবিষ্যৎ ১৯৫২
  • এলোমেলো জীবন ও শিল্প-সাহিত্য ১৯৫৮
  • সাহিত্যের দেশ বিদেশ ১৯৬২
  • রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা ১৯৬৫
  • মাইকেল রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা ১৯৬৭

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে পশুকেন্দ্রিক বিভিন্ন রচনা ।


  • বিষ্ণু দে রচিত “রবি করোজ্জ্বল নিজ দেশে” (১৯৭৩) কাব্যগ্রন্থ টি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।
  • “ছড়ানো এই জীবন” বিষ্ণু দে রচিত আত্মজীবনীমূলক রচনা।

বিষ্ণু দে-র উৎসর্গীকৃত রচনা :

  • উর্বশী ও আর্টেমিস – নীরেন্দ্রনাথ রায়।
  • চোরাবালি – রবীন্দ্রনারায়ন ঘোষ।
  • সাত ভাই চম্পা – শম্ভু মিত্র ও বিজন ভট্টাচার্য।
  • তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ – চঞ্চল কুমার চট্টোপাধ্যায় ও কমল কুমার মজুমদার।
  • সেই অন্ধকার চাই – অশোক মিত্র।
  • নাম রেখেছি কোমল গান্ধার – জন আরউইন, মার্টিন ককম্যান, পাসি ও মার্শাল।
  • সংবাদ মূলত কাব্য – শামসুর রহমান ও আবুবকর সিদ্দিকি।
  • চিত্ররূপ মত্ত পৃথিবী – বিরাম মুখোপাধ্যায় ও হীরেন মিত্র।
  • ২২ শে জুন – যামিনী রায়।
  • উত্তরে থাকো মৌন – প্রবীরচন্দ্র বসুমল্লিক ও সৌরীন্দ্রনাথ দত্ত।
  • আলেখ্য – প্রশান্তচন্দ্র ও নির্মল কুমারী মহলানবীশ।
  • এলিয়টের কবিতা – অপূর্বকুমার চন্দ।

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে “দা” চরিত্র এবং সৃষ্টিকর্তা ।


  • অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য কবি বিষ্ণু দে সম্পর্কে বলেছেন –
“আমার কালের সবচেয়ে দুর্বোধ্য অথচ সৃষ্টিশীল কবির নাম বিষ্ণু দে"।

  • বিষ্ণু দে -র কাব্য চিন্তার গঠনে মার্ক্সীয় দর্শন যেমন লক্ষনীয় ঠিক তেমনি ইউরোপীয় আধুনিক কবিদের প্রভাব যথেষ্ট লক্ষ্য করা যায়।
  • বিষ্ণু দে -র প্রথম পর্বের রচনায় ফ্রয়েডের প্রভাব যথেষ্ট লক্ষ্য করা যায় । এ বিষয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতাটি হল - “টপ্পা ঠুংরি”
  • বিষ্ণু দে তাঁর “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ” কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
একই কাব্যের জন্য ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।
  • বিষ্ণু দে সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কারেও সন্মানিত হন।


আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে অপ্রধান মঙ্গলকাব্য ও কবি ।


রবীন্দ্রনাথ থেকে বিষ্ণু দের ঋণ গ্রহণ :

  • নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ – চোরাবালি।
  • আবির্ভাব – পূর্বলেখ।
  • স্বর্গ হইতে বিদায় – সন্দীপের চর।
  • বিজয়িনী (চিত্রা) – সাগর উত্থিতা (উর্বশী ও আর্টেমিস)।

  • বিষ্ণু দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “চতুরঙ্গ” উপন্যাসের নায়িকা দামিনী কে নিয়ে তাঁর “দামিনী” কবিতাটি রচনা করেন।
কবিতাটি ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

  • কবি বিষ্ণু দে চণ্ডীদাস কে স্মরণ করে লিখেছেন - “নান্নুরে” কবিতা।

"উর্বশী ও আর্টেমিস"

এটি কবি বিষ্ণু দে'র প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ও প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ২৬টি। কিন্তু ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় সংস্করণের পরে মোট কবিতার সংখ্যা ২৫টি।
এই কাব্যগ্রন্থের সূচনায় কবি টি.এস.এলিয়টের উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন।
এই কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা - “পলায়ন”
এই কাব্যগ্রন্থের “সাগর উত্থিতা” কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “চিত্রা” কাব্যের “বিজয়িনী” কবিতার প্রভাব সুস্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়।

"চোরাবালি"

এটি কবি বিষ্ণু দে'র দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলির রচনাকাল ১৯২৬ – ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট ২১ টি কবিতা রয়েছে।
এই কাব্যগ্রন্থের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কবিতা - “ঘোড়সওয়ার” কবি রচনা করেন ১৯৩৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম সপ্তাহে ৫/৬ ই জানুয়ারি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে।
গবেষক ও অধ্যাপক প্রভাতকুমার দাস লিখেছেন - 
''৫ অথবা ৬ জানুয়ারি সারারাত রিউম্যাটিক জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় এই কবিতাটি রচনা করেন,.... তারপর ঘুম থেকে উঠে কবিতাটির দ্বিতীয় অংশ রচিত হয়"।
 এই কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতায় কবি বিশিষ্টসব মানুষদের স্মরণ করেছেন –
ঘোড়সওয়ার – শ্রী বরেন্দ্রপ্রসাদ রায়।
ওফেলিয়া – আবু সায়ীদ আইয়ুব।
টপ্পা ঠুংরি – শ্রী সমর সেন।
ইংরেজি কবি টি. এস. এলিয়ট -এর ''দ্য ওয়েস্টল্যান্ড'' কাব্যগ্রন্থের মতোই আধুনিক যান্ত্রিক সমাজ জীবন যে ব্যর্থ, কবি সেই কথা নতুন করে বলেছেন তাঁর এই ''চোরাবালি'' কাব্যগ্রন্থে।
এই কাব্যগ্রন্থে টি. এস. এলিয়ট -এর ''দ্য ওয়েস্টল্যান্ড'' এবং "দ্য হলো মেন" কাব্যগ্রন্থের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ।


"সাত ভাই চম্পা"

এটি কবি বিষ্ণু দে'র পঞ্চম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৪৪টি।
বাংলার সংগ্রামীদের নিয়ে কবি বিষ্ণু দে "সাত ভাই চম্পা" কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন।
কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “২২ শে জুন,১৯৪১”।
এই কাব্যগ্রন্থে কবি ২২ শে জুন কে নিয়ে আরও দুটি কবিতা রচনা করেন। যথা –
১. ২২ শে জুন ১৯৪২
২. ২২ শে জুন ১৯৪৪


"সন্দীপের চর"
এটি কবি বিষ্ণু দে'র ষষ্ঠ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৩৫টি।
এই কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতাটি কবি মোহন সেনের উদ্দেশ্যে রচনা করেন।
এই কাব্যগ্রন্থের শেষ কবিতা “১৫ ই আগস্ট”।

"অন্বিষ্ট"

এটি কবি বিষ্ণু দে'র সপ্তম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ১৫টি।
কাব্যগ্রন্থটির শেষ কবিতা “জলদাও”।
“জলদাও” কবিতায় রয়েছে দেশ ভাগ, সাম্প্রদায়িক হানাহানির ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
১৯৪৭ – ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত কবিতাগুলি এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে।
এই কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতাটি তাঁর রচিত অন্যতম দীর্ঘ কবিতা । কবিতাটি ৫৪১ টি পংক্তিতে রচিত।


"নাম রেখেছি কোমল গান্ধার"

এটি কবি বিষ্ণু দে'র অষ্টম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৪১টি।
 কবি কাব্যগ্রন্থটির নামকরণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “পুনশ্চ” কাব্যগ্রন্থের “কোমল গান্ধার” কবিতার প্রথম বাক্য অনুসরণে –
“নাম রেখেছি কোমল গান্ধার,
                                মনে মনে"।

কাব্যগ্রন্থটির প্রথম কবিতা “২২ শে শ্রাবণ” এবং শেষ কবিতা “২৫ শে বৈশাখ”।

আরও পড়ুন : আলোচনা : প্রথম বাংলার দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সম্পর্কে ।


"তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ"

কাব্যের “গান” কবিতায় কবি বলেছেন –
“রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে জীবনের সব গ্লানিমা দূর হয়ে যায় । আধুনিক কবি হওয়ার জন্য রবীন্দ্র বিরোধীতায় প্রথম দিকে মাতলেও শেষ পর্যন্ত কবি মনে করেছেন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া জাতীয় জীবনের মুক্তি নেই, - “শতাব্দীর সূর্যে এসো অভীপ্সার তীব্র মেঘ তুমি।"

"সেই অন্ধকার চাই"

কাব্যগ্রন্থ টি বিষ্ণু দের পাঁচ পর্বে বিভক্ত প্রেমকাব্য।
কাব্যগ্রন্থটির দীর্ঘতম কবিতা “শীলভদ্র পঞ্চমুখ”।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৫৩টি।


"স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" -

এই কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন –
“এটি পরিনত বয়সের শ্রেষ্ঠ রচনা।”
এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ ও কবিতার সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ১০২ টি।
এই কাব্যগ্রন্থে মধ্যযুগের পদাবলীর প্রসিদ্ধ কবি চন্ডীদাস কে স্মরণ করে কবি লিখেছেন তাঁর "নান্নুরে" কবিতা টি।

Post a Comment

0 Comments