Subscribe Us

বাংলা সাহিত্যে​ ত্রয়ী বা ট্রিলজি

   
      

ইংরেজি'ট্রিলজি'র  বাংলা পরিভাষিক শব্দ 'ত্রয়ী'। 'ত্রয়ী  উপন্যাস' বলতে মূলত বোঝায়, যদি কোন উপন্যাসের তিনটি পাঠ থাকে। সিরিজ লেখার ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ট্রিলজিতে কাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। আবার প্রতিটি গ্রন্থ আলাদা ভাবেও পাঠ যোগ্য। বাংলা সাহিত্যে ট্রিলজি বা ত্রয়ী রচনার উদাহরন খুব বেশি না হলেও, একেবারে কমও না। নিচে বাংলা সাহিত্যের কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রিলজির উল্লেখ করা হলো - 

১. বীনচন্দ্র  সেন লিখেছেন ত্রয়ী মহাকাব্য -
                                 ১. "রৈবতক",
                                 ২. "কুরুক্ষেত্র",
                                 ৩. "প্রভাস"।


২.     ১. "আনন্দমঠ",
        ২. "দেবী চৌধুরানী",
        ৩. "সীতারাম" - ঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ট্রিলজি।


আরও পড়ুন : নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ।


৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের​ লেখা বিখ্যাত অপু ট্রিলজি -          
                       ১."পথের পাঁচালি”,
                       ২.“অপরাজিত”,
                       ৩.“কাজল”
⏹️ তবে "কাজল" উপন্যাসটি লিখেছিলেন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে তারাদাস  বন্দ্যোপাধ্যায় ।


৪. তারাশঙ্কর  বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন -
                                       ১. "ধাত্রী দেবতা",
                                       ২. "গণদেবতা",
                                       ৩. "পঞ্চগ্রাম"।


৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়  -  
                      ১. "পুতুলনাচের ইতিকথা" ,
                      ২. "সহরবাসের ইতিকথা" ,
                      ৩. "ইতিকথার পরের কথা" ।



৬. আশাপূর্ণা  দেবী লিখেছেন "সত্যবতী" ট্রিলজি -
                           ১. "প্রথম প্রতিশ্রুতি",
                           ২. "সুবর্ণলতা",
                           ৩. "বকুলকথা"।


৭. সুনীল  গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত টাইম ট্রিলজি -
                   ১. “সেই সময়”,
                   ২. “প্রথম আলো”,
                   ৩. “পূর্ব-পশ্চিম”

৮. সমরেশ  মজুমদারের -
                                    ১. "উত্তরাধিকার",
                                    ২. "কালবেলা",
                                    ৩. "কালপুরুষ"



৯. বিমল  মিত্র লিখেছেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি -
                  ১. "কড়ি দিয়ে কিনলাম",
                  ২. "সাহেব বিবি গোলাম",
                  ৩. "একক দশক শতক"



১০. বিমল করের ত্রয়ী​ একত্রে "দেওয়াল" উপন্যাস নামে পরিচিত -
                         ১. "ছোট ঘর" ,
                         ২. "ছোট মন" ,
                         ৩. "খোলা জানলা" ।



১১. শংকর এর একটি বিখ্যাত ট্রিলজি -
                  ১. "জন অরন্য",
                  ২. "সীমাবদ্ধ",
                  ৩. "আশা আকাঙ্ক্ষা"



১. "ঘরের মধ্যে ঘর",
২. "চৌরঙ্গী",
৩. "কত অজানারে" -  শংকরের  আরো একটি বিখ্যাত ট্রিলজি।


১. "স্থানিয় সংবাদ",
২. "সুবর্ন সুযোগ",
৩. "বোধদয়" - শংকর এর আরেকটি বিখ্যাত ট্রিলজি।



১২. গজেন্দ্রকুমার  মিত্রের -
                           ১. "কলকাতার কাছেই",
                           ২. "উপকন্ঠে",
                           ৩. "পৌষ ফাগুনের পালা"
- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি ও সম্পদ।

আরও পড়ুন : নাট্যাভিনেতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ।


১৩. অতীন  বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন তাঁর বিখ্যাত ট্রিলজি -
                       ১. "নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে",
                       ২. "অলৌকিক জলযান",
                       ৩. "ইশ্বরের বাগান"।



১৪. প্রফুল্ল  রায় এর -
                       ১. "কেয়াপাতার নৌকা",
                       ২. "শতধারায় বয়ে যায়",
                       ৩. "উত্তাল সময়ের ইতিকথা"।



১৫.      ১. "একদা",
           ২. "অন্যদিন",
           ৩. "আর একদিন"  - গোপাল  হালদারের লেখা ত্রয়ী রচনা। এই উপন্যাস গুলিকে একত্রে "ত্রিদিবা" (১৯৭৮) বলা হয়।



১৭. বুদ্ধদেব বসুর -
                                 ১. "প্রথম শ্রবণ করুন",
                                 ২. "রঙিন পথে",
                                 ৩. "যবনিকা কম্পমান"।

আরও পড়ুন : আলোচনার নিরিখে চিত্ররূপময় কবি সম্পর্কে ।



১৮. সতীনাথ  ভাদুড়ীর -
                                   ১. "অচিন রাগিণী" ,
                                   ২. "সংকট" ,
                                   ৩. "দিকভ্রান্ত" ।



১৯. প্রেমেন্দ্রনাথ মিত্রের -
                                        ১. "পাঁক" ,
                                        ২. "কুয়াশা" ,
                                        ৩. "মিছিল" ।



২০. শওকত  আলীর -
                           ১. "দক্ষিনায়নের দিন",
                           ২. "কুলায় কালস্রোত",
                           ৩. "পূর্বরাত্রি পূর্বদিন"।



২১. আবু  জাফর  শামসুদ্দীন লিখেছেন -
                      ১. "ভাওয়ালগড়ের উপাখ্যান",
                      ২ "পদ্মা মেঘনা যমুনা",
                      ৩. "সংকর সংকীর্তন"।


২২. হুমায়ুন আহমেদের -
                         ১. "জোছ্না ও জননীর গল্প" 
                         ২. "মধ্যাহ্ন" ,
                         ৩. "মাতাল হাওয়া" ।


আরও পড়ুন : পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন চরিত্র ও তাদের বয়স ।

                 
⏹️আবার কোন লেখার ৪ টি পাঠ থাকলে তাকে টেট্রালজি বলে, সে হিসেবে সমরেশ  মজুমদার লিখেছেন টেট্রালজি - 
                            
                             ১. "উত্তরাধিকার",
                             ২. "কালবেলা",
                             ৩. "কালপুরুষ",
                             ৪. "মৌষলকাল"।


পোস্টটি আপনার সামান্যতম উপকারে এলে, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ....

Post a Comment

9 Comments

  1. ধন্যবাদস্যার

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ হয়েছে। খুবিই উপকৃত হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইভাবেই আপনাদের মতামত জানান... যা পরবর্তীতে আমাদের বিশেষভাবে​ সাহায্য করবে.. ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন পরবর্তী পোস্টগুলোর জন্য... ধন্যবাদ 🙏..

      Delete
  3. সত্যি উপকৃত হলাম

    ReplyDelete
  4. ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন পরবর্তী পোস্টগুলোর জন্য... সমান্যতম উপকার হলে বন্ধুদের সাথে ব্লগটি শেয়ার করুন... ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  5. অতীন কুমার হয়ে আছে। ওই জায়গাটি একটু দেখবেন।

    ReplyDelete
  6. ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য... পাশে থাকুন, সাথে থাকুন.. ❤️❤️

    ReplyDelete
  7. বিবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বি

    ReplyDelete