বাংলা সাহিত্যে প্রথম বস্তুপন্যের প্রচারে দেওয়া সাহিত্য পুরস্কারটি হল “কুন্তলীন পুরস্কার”। কুন্তলীন তেল এবং দেলখোসের প্রচার যাতে বাড়ে, সেই উদ্দেশ্যে হেমেন্দ্র মোহন বসু শুরু করেন কুন্তলীন পুরস্কার।
কুন্তলীন পুরস্কার হিসাবে প্রথম প্রতিযোগী পেতেন ১০০ টাকা। কুন্তলীন পুরস্কারের জন্য গল্প লেখার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হত। গল্প লেখার একটি বিশেষ শর্তও ছিল –
“গল্পের সৌন্দর্য কিছুমাত্র নষ্ট না করিয়া কৌশলে কুন্তলীন এবং এসোস দেলখোসের অবতারণা করিতে হইবে, অথচ কোন প্রকারে ইহাদের বিজ্ঞাপন বিবেচিত না হয়”।
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু ১৩০৩ বঙ্গাব্দে “নিরুদ্দেশের কাহিনী” নামক গল্প লিখে প্রথম কুন্তলীন পুরস্কার লাভ করেন।
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র (দ্বিতীয় পর্ব) ]
কুন্তলীন পুরস্কার সম্পর্কে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন –
“তেলে-জলে কখনও মেশে না, কিন্তু তবুও একথা মানতেই হয় যে অন্তত একটি তেল আমাদের সাহিত্যরূপ জলের সঙ্গে নিতান্ত নিগূঢ় ভাবেই মিশে আছে। সেটি কুন্তলীন।”
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে পশুকেন্দ্রিক বিভিন্ন রচনা ]
বাংলা সাহিত্যে কুন্তলীন পুরস্কার প্রাপকগণ :
রচয়িতা ->> রচিত গল্প ->> রচনাকাল
• জগদীশ চন্দ্র বসু – নিরুদ্দেশের কাহিনী – ১৩০৩ বঙ্গাব্দ / ১৮৯৭ সাল ।
• প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় – পূজার চিঠি – ১৩০৪ বঙ্গাব্দ / ১৮৯৮ সাল ।
• দীনেন্দ্র কুমার রায় – বিধবা – ১৩০৫ বঙ্গাব্দ / ১৮৯৯ সাল ।
• রজনীচন্দ্র দত্ত – অদ্ভুত হত্যা – ১৩০৬ বঙ্গাব্দ / ১৯০০ সাল ।
• সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত – আমার চাকরি – ১৩০৭ বঙ্গাব্দ / ১৯০১ সাল ।
• সরোজনাথ ঘোষ – মেয়ে – ১৩০৮ বঙ্গাব্দ / ১৯০২ সাল ।
• শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মন্দির – ১৩০৯ বঙ্গাব্দ / ১৯০৩ সাল ।
[ আরও পড়ুন : বাংলা সাহিত্যে “দা” চরিত্র এবং সৃষ্টিকর্তা ]
• বিন্দুবাসিনী দাসী – সন্ন্যাস – ১৩১০ বঙ্গাব্দ / ১৯০৪ সাল ।
• সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় – শাস্তি – ১৩১১ বঙ্গাব্দ / ১৯০৫ সাল ।
• সত্যেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় – অসংযত – ১৩১২ বঙ্গাব্দ / ১৯০৬ সাল ।
• যোগেশচন্দ্র মজুমদার – রাখীবন্ধন – ১৩১৩ বঙ্গাব্দ / ১৯০৭ সাল ।
• ভূপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় – উপেক্ষিতা – ১৩১৪ বঙ্গাব্দ / ১৯০৮ সাল ।
0 Comments