জন্ম – ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে ৯ ই ফেব্রুয়ারী
বাংলাদেশের পাবনায়।
পিতা – সুরেশচন্দ্র ঘটক, ছিলেন জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট।
মাতা – ইন্দুবালা দেবী।
পত্নী – ধরিত্রী দেবী, পার্থ এস বাকের
“গুড আর্থ” –এর অনবদ্য অনুবাদ করেন।
কন্যা – মহাশ্বেতা দেবী।
ভ্রাতা – ঋত্বিক ঘটক, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র
পরিচালক।
স্থায়ী বাসস্থান – বাবা ও নিজের
চাকরি সূত্রে এ দেশ এবং বাংলাদেশের নানান শহর – গ্রাম ঘুরে ভারত বিভাজনের পর মুর্শিদাবাদ
জেলার বহরমপুরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন।
পৈতৃক নিবাস – বর্তমান বাংলাদেশ
–এর পাবনার নতুন ভারেঙ্গা।
শিক্ষা জীবন – কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্ম জীবন – আইকর উপদেষ্টা হিসেবে মণীশ ঘটক
তাঁর কর্ম জীবনের শুরু করেন।
ছদ্মনাম – যুবনাশ্ব।
মৃত্যু – ১৯৭৯ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর তিনি পরলোকগমন করেন।
- সমাজে তথাকথিত অবহেলিত ও অপরাধীদের নিয়েই মণীশ ঘটক –এর লেখালেখির সূচনা।
- ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মণীশ ঘটক গল্পকার হিসেবে তিনি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন কল্লোল পত্রিকা –য় “গোষ্পদ” নামক ছোটগল্প রচনা করে।
- মনীশ ঘটক –এর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ – “শিলালিপি”।
- মণীশ ঘটক –এর রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ টি হল – “মান্ধাতার বাবার আমল”।
মণীশ ঘটক রচিত বিভিন্ন রচনা –
১। শিলালিপি (কাব্যগ্রন্থ)
২। যদিও সন্ধ্যা (কাব্যগ্রন্থ)
৩। বিদুষী বাক্ (কাব্যগ্রন্থ)
৪। একচন্দ্রা (শেষ কাব্যসংকলন)
৫। কনখল (উপন্যাস)
৬। মান্ধাতার বাবার আমল (আত্মজীবনী)
৭। পটলডাঙার পাঁচালী (ছোট গল্পগ্রন্থ, ১৯৫৬)
অনুবাদ ও অনুষঙ্গ : টি এস এলিয়ট |
- মণীশ ঘটক তাঁর “পটলডাঙার পাঁচালী” গল্পগ্রন্থ টি ‘যুবনাশ্ব’ ছদ্মনামে রচনা করেন। এই গল্পগ্রন্থ টি রচনার পরই সজনীকান্ত দাস মহাশয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর –এর কাছে সাহিত্যে অশ্লীলতা নিয়ে দ্বারস্থ হন।
- মণীশ ঘটক্ পাবলো নেরুদা –র অনেক কবিতা অনুবাদ করেন।
- বহরমপুর থেকে মণীশ ঘটক আমৃত্যু ‘বর্তিকা’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন।
- মণীশ ঘটক ছিলেন কল্লোল যুগের একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। কল্লোল যুগের অন্যতম বিখ্যাত লেখক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তাঁর সম্পর্কে বলেছেন –
“মণীশই কল্লোলের প্রথম মশালচী।“
- কৃষ্ণনগর কলেজ –এর অধ্যাপক লেখক সুধীর চক্রবর্তী মণীশ ঘটক সম্পর্কে বলেছেন -
“এত স্পষ্টভাষী, ঋজু শরীরের নির্মেদ মানুষ আর স্বভাবকোমল ব্যক্তিত্ব আর তো দেখলাম না।"
আরও পড়ুন -
0 Comments