Subscribe Us

রসরাজ অমৃতলাল বসু

রসরাজ অমৃতলাল বসু || অমৃতলাল বসু ।| বাংলা সাহিত্যে অমৃতলাল বসুর অবদান || banglasahitto || BANGLASAHITTO || বাংলা সাহিত্যে অমৃতলাল বসু || Rosoraj Amrita Lal Basu || Amrita Lal Basu ||




রসরাজ অমৃতলাল বসু


জন্ম - ১২৬০ বঙ্গাব্দের ৬ বৈশাখ (১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ই এপ্রিল) রামনবমীর দিন রবিবার ৮৮ নং কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে মাতুলালয় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

"এই শ্যামবাজারে আমার মামার বাড়ি, যে বাড়িতে আমি ভূমিষ্ঠ হই ....." ("চরকা" - অমৃতলাল বস : মাসিক বসুমতী, বৈশাখ ১৩২৯)।

"পুরাতন প্রসঙ্গ" আলোচনা কালে অমৃতলাল বসু নিজেই তাঁর জন্ম সন ও তারিখের উল্লেখ করেন। তদানুযায়ী ১২৬০ বঙ্গাব্দের ৬ই বৈশাখ, ইংরেজি ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ই এপ্রিল।

তবে তাঁর মৃত্যুর পর সংবাদপত্রে তাঁর যে জীবন বৃত্ত প্রকাশিত হয় তাতে অনেকেই ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দ কে তাঁর জন্ম সাল ধরেছেন।

০৩.০৭.১৯২৯ তারিখের প্রকাশিত 'অমৃতবাজার পত্রিকা'য় লেখা হয় -

"Amritlal Bose was born in 1852".

পিতা - কৈলাস চন্দ্র বসু, ছিলেন ওরিয়ান্টাল সেমিনারীর ছাত্র এবং পরে শিক্ষক। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুরবাড়ির কালীকৃষ্ণ ঠাকুর, দেশ নেতা উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, 'হিন্দু প্যাট্রিয়ট' -এর সম্পাদক কৃষ্ণদাস পাল প্রমুখ। অমৃতলাল বসু তার পিতা এবং কাকা সম্পর্কে বলেছেন -

"My father and my uncle...... Both served as teachers there along with my maternal uncle".

মাতা - ভুবনমোহিনী দেবী।

পিতামহ এবং পিতামহী - কালীকৃষ্ণ বসু এবং পার্বতী দেবী।

অমৃতলাল বসু তাঁর পৌর বয়সে রচিত কাব্য "অমৃত মদিরা" -র "পুষ্পাঞ্জলি" কবিতাটি স্বর্গীয় পিতামহের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন -

"স্মরি কালীকৃষ্ণ নাম পিতামহ স্নেহধাম

আমার সাধের 'দাদা' আদুরে পাগল।

তুমি গেছো অমরায়, 'পুষ্পাঞ্জলি' যথা যায়,

ভালোবেসে ঢেলে দিই দিশি ফুলদল"।।

ভ্রাতাদ্বয় - ললিতমোহন বসু এবং যোগেন্দ্রনাথ বসু।

আদি বাড়ি - যশোহর জেলার পাঁজিয়া গ্রাম।

(১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ১ লা আগস্ট অমৃতলাল বসু যে বংশতালিকা প্রকাশ করেন তাতে উল্লেখ আছে সাং - পাঁজিয়া)।

শিক্ষাজীবন - অমৃতলাল বসুর শৈশব শিক্ষা শুরু হয় পিতৃ প্রতিষ্ঠিত কম্বুলিয়া টোলা বঙ্গ বিদ্যালয়ে (বর্তমানে শ্যামবাজার এ ভি স্কুল)। এখানে তিনি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

এরপর তিনি দুই বছর ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হিন্দি স্কুলে পড়াশোনা করেন।

১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন। উত্তীর্ণ হন ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে, তবে সেখানে ওরিয়েন্টাল সেমিনারির নাম না থেকে ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশনের।

এন্ট্রান্স পাশ করার পর তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন কিন্তু ডাক্তারি শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

তবে তিনি কাশীর বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক লোকনাথ মৈত্রের কাছ থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শেখেন।

কর্মজীবন - পোর্ট ব্লেয়ারে তিনি সরকারি চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন।

ডাক্তারের পাশাপাশি কিছুকাল তিনি সেখানে পুলিশের চাকরি করেন।

মাঝে কিছুকাল তিনি শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

সব মিলিয়ে পেশাদারী রঙ্গমঞ্চে প্রবেশের পূর্বে তিনি চিকিৎসক, পুলিশ এবং শিক্ষকতার চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন।

দাম্পত্য জীবন - ওরিয়েন্টাল সেমিনারি তে ছাত্র থাকাকালীন ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে শালকিয়ার জয়নারায়ণ ঘোষের পৌত্রী কালীকুমারী দেবীর সাথে। বিবাহ কালে তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর এবং কালীকুমারী দেবীর ৯ বছর।

অমৃতলাল বসু ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকে সৌমেন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে থিয়েটারি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।

উপাধি – রসরাজ, হাস্যরসাত্মক নাটক রচনার জন্য দেশবাসীর কাছ থেকে অমৃতলাল বসু এই উপাধি লাভ করেন।

মৃত্যু - ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ জুলাই অমৃতলাল বসু পরলোকগমন করেন।

 

  • পেশাদারী রঙ্গমঞ্চে অমৃতলাল এর সার্থক উপস্থিতির পেছনে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন সুবিখ্যাত নাট্যকার অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি

  • কাব্য চর্চায় তাঁর হাতে খড়ি হয় বর্তমান শ্যামবাজার এ ভি স্কুলের শিক্ষক ব্রহ্মানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

 

অমৃতলাল বসু রচিত নাটক -

সামাজিক নাটক -

১. হীরকচূর্ণ ১৮৭৫

২. তিল তর্পণ ১৮৮১

৩. তরুবালা ১৮৯১

৪. কালাপানি ১৮৯২

৫. বিমাতা বা বিজয় বসন্ত ১৮৯৩

৬. আদর্শ বন্ধু ১৯০০

৭. খাসদখল ১৯১২

৮. নব যৌবন ১৯১৪

 

ব্যঙ্গ বিদ্রুপ মূলক প্রহসন -

১. বিবাহ বিভ্রাট ১৮৮৪

২. বাবু ১৮৯৪ (এই প্রহসনে দেশের প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রহ্মসমাজকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেন।)

৩. বৌমা ১৮৯৭

৪. গ্রাম্য বিভ্রাট ১৮৯৮

৫. সাবাস আটাশ ১৯০০

 

পাশ্চাত্য রীতির প্রহসন -

১. চোরের উপর বাটপারি ১৮৭৬

২. চাটুজ্যে বাঁড়ুজ্যে ১৮৮৬

৩. তাজ্জব ব্যাপার ১৮৯০

৪. কৃপণের ধন ১৯০০

৫. অবতার ১৯০১

৬. বেবিকা বিদায় ১৯২৬

 

পৌরাণিক নাটক -

১. হরিশচন্দ্র ১৮৯৯

২. যাজ্ঞসেনী ১৯২৮

 

গীতিনাট্য -

১. ব্রজলীলা ১৮৮২

২. যাদুকরী ১৯০০

 

চিত্রনাট্য -

১. বিলাপ ১৮৯১

২. বৈজয়ন্ত বাস ১৯০০

 


  • অমৃত লাল বসুর রচিত জীবনস্মৃতি "Looking Backward".

  • অমৃতলাল বসু তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের "স্বর্ণলতা" উপন্যাসের নাট্যরূপ দেন এবং ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর "সরলা" নামে স্টার থিয়েটারে এটি অভিনীত হয়।

  • অমৃতলাল বসু ইংল্যান্ডের যুবরাজের আগমন উপলক্ষে উকিল জগদানন্দের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ঘটনাকে ব্যঙ্গ করে রচিত নাটক পরিচালনার জন্য আদালতে শাস্তি পান।

 

অমৃতলাল বসু অভিনীত বিভিন্ন চরিত্র

  • কাম্যকানন” - নায়ক (১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর এই নাটক অভিনয়ের দ্বারা গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের উদ্বোধন হয়)।

  • মৃণালিনী” – দ্বিগবিজয়।

  • পুরুবিক্রম” – নারায়ণ।

  • হীরকচূর্ণ” - এডভোকেট জেনারেল মিস্টার স্কোবল (১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে নাটকটি অভিনীত হয়)।

  • চোরের উপর বাটপারি” – কর্তা।

  • ডিসমিস” - কৃষ্ণনাথ বাবু (তাঁর রচিত এই নাটকটি ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর বেঙ্গল থিয়েটারে অভিনীত হয়)।

  • সরোজিনী” - বিজয় (গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে অভিনীত হয়)।

  • রামের বনবাস” - কুঞ্চকী এবং ভরত।

  • সীতা হরণ” – সুগ্রীব।

  • গিরিশচন্দ্রেরদক্ষযজ্ঞ” - দধীচি (১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের একুশে জুলাই এই নাটকের দ্বারা স্টার থিয়েটারের উদ্বোধন হয়)।

  • ধ্রুব চরিত্র” - বিদূষক।

  • নল দময়ন্তী” - বিদূষক (১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই ডিসেম্বর স্টার থিয়েটারে নাটকটি অভিনীত হয়)।

  • চাটুয্যে ও বাঁড়ুয্যে” – চাটুয্যে।

  • বিবাহ বিভ্রাট” - বিলাত ফেরৎ মিস্টার সিং।

  • বেল্লিক বাজার” - দু'কড়ি সেন।

  • বুদ্ধদেব চরিত” - শিষ্য এবং গণক।

  • প্রভাস যজ্ঞ” - বাসুদেব।


অমৃতলাল বসু রচিত নাটকগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা - 

হীরকচূর্ণ

পঞ্চাঙ্ক নাটক।

প্রথম দ্বিতীয় ও চতুর্থ অঙ্কে ৩ টি করে গর্ভাঙ্ক এবং পঞ্চম অঙ্কে ২ টি গর্ভাঙ্ক। তৃতীয় অঙ্কে কোন গর্ভাঙ্ক নেই।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৮ টি।

নাটকটি ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে ডিসেম্বর গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে অভিনীত হয়।

নাটকটি অভিনীত হওয়ার সময় ডিরেক্টর ছিলেন উপেন্দ্রনাথ দাস এবং ম্যানেজার ছিলেন স্বয়ং অমৃতলাল বসু।

বরোদারাজ মলহর রাও গাইকোয়াড়কে রাজ্যচ্যুত, নির্বাসিত করার যে ষড়যন্ত্র রেসিডেন্ট কর্ণেল ফেয়ার করেছিলেন তাঁর ওপর ভিত্তি করে নাটকটি রচিত।

চরিত্র - আমিনা, বাওজি বহিমন, কর্নেল ফেয়ার, সার্জেন্ট ব্যালেন্টাইন, অ্যাডভোকেট জেনারেল স্কোবলেব, মলহার রাও, ডাঃ সিউয়ার্ড প্রমূখ।

 

তরুবালা

সামাজিক নাটক।

পঞ্চাঙ্ক নাটক।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪৭।

সমকালীন শিক্ষিত যুবকের অতিরিক্ত কল্পনা বিলাসিতা কলকাতার মধ্যবিত্ত সমাজের একটি সমস্যা। অমৃতলাল তাঁর এই নাটকে সেই সমস্যাকে প্রদর্শন করে সমাধানের চিত্র ও অঙ্কন করেছেন।

এই নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর স্টার থিয়েটারে

তরুবলার অভিনয়ে অমৃতলাল এই চরিত্রেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

চরিত্র - অখিল, তরুবালা, প্রসন্নময়ী, বিধবা ভগিনী শান্ত, মৃত্যুঞ্জয় মল্লিক, পারুল, শোভনলাল প্রমূখ।

 

বিমাতা বা বিজয় বসন্ত -

নামপত্রে নাটকটিকে পারিবারিক নাটক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পঞ্চাঙ্ক নাটক।

প্রথম দ্বিতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম অঙ্কে তিনটি করে গর্ভাঙ্ক এবং তৃতীয় অঙ্কে চারটি গর্ভাঙ্ক বর্তমান।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৫১ টি।

নাটকটি প্রথম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে আগস্ট স্টার থিয়েটারে অভিনীত হয়।

চরিত্র - বৃদ্ধ রাজা জয় সেন, দুর্যয়ময়ী, রাজপুত্র বিজয় ও বসন্ত, রাজশ্যালক দূর্বুদ্ধি প্রমুখ।

 

আদর্শ বন্ধু -

পঞ্চাঙ্ক নাটক।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৪ টি।

প্রথম অঙ্কে ৫ টি, দ্বিতীয় অঙ্কে ৪ টি, তৃতীয় ও চতুর্থ অঙ্কে ৩ টি এবং পঞ্চম অঙ্কে ১ টি গর্ভাঙ্ক রয়েছে।

অমৃতলাল বসু নাটকটি রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব কে উৎসর্গ করেন বঙ্গভাষা ও বঙ্গ সাহিত্যের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম অনুরাগের জন্য।

১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে রচিত Richard Edward -এর ইংরেজি নাটক "Damon and Pythias" থেকে এই নাটকে কাহিনী গ্রহণ করা হয়েছে।

গ্রিক সাহিত্যের Damon ও Pythias নামক দুই বন্ধুর আদর্শ এই কাহিনীর উৎস।

এই নাটকে অমৃতলাল বসু প্রথম ভাঙা অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন (এই নাটকের পর তাঁর শেষ নাটক "যাজ্ঞসেনী" ব্যতীত আর কোথাও ভাঙা অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেননি)।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২৮ এপ্রিল স্টার থিয়েটারে এই নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।

চরিত্র - দিনকর ও পৃথ্বীধর (দুই বন্ধু), হিরন্ময়ী, আশাবতী, উদযরায়ণ পুরোহিত প্রমূখ।

 

খাসদখল -

উদ্দেশ্যমূলক সামাজিক নাটক।

অমৃতলাল বসু নাটকটি পরমভাগবত স্বধামপ্রাপ্ত প্রভুপাদ বলাইচাঁদ গোস্বামীর স্মরণার্থে উৎসর্গ করেন।

এই নাটকটির প্রথম সংস্করণের প্রকাশক ছিলেন অমৃতলাল বসুর মধ্যম পুত্র কেতনভূষণ বসু

নাটকটি তিনটি অঙ্কে রচিত।

তিনটি অংকে মোট ১৩ টি দৃশ্য। প্রথম ও তৃতীয় অঙ্কে ৪ টি করে এবং দ্বিতীয় অঙ্কে ৫ টি দৃশ্য রয়েছে।

প্রথম অঙ্কে পূর্বে রয়েছে একটি 'পূর্বরঙ্গ'।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪৩ টি।

স্টার থিয়েটারে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে মার্চ নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।

চরিত্র - মোহিত, মোক্ষদা, লোকেন, গিরিবালা প্রমূখ।

 

নবযৌবন -

অমৃতলাল বসু ১৩১৯ বঙ্গাব্দে 'নাট্যমন্দির পত্রিকা'য় "আশার নেশা" নামে যে নাটকটির সূত্রপাত করেছিলেন ১৩২০ বঙ্গাব্দে তা "নবযৌবন" নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

কৌতুকোজ্জ্বল রোমান্টিক কমেডি।

মিনার্ভা থিয়েটারে নাটকটি প্রথম ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর অভিনীত হয়।

স্বর্গগত কোচবিহারের রাজ্যপতি মহামহিমাভূষিত মহারাজ কর্নেল স্যার নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুরের পূর্ণ স্মৃতির উদ্দেশ্যে নাটকটি উৎসর্গীকৃত।

চার অঙ্কে নাটকটি সমাপ্ত।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১১ টি।

চরিত্র - বৃদ্ধ জমিদার রাই দর্পনারায়ন, কন্যা তুলসী, পৌত্রী সুকুমার, অলকা, তিলকচাঁদ, বসন্তকুমার প্রমূখ।

 

যাজ্ঞসেনী -

অমৃতলাল বসুর শেষ নাটক।

পঞ্চাঙ্ক নাটক।

পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৭৬ টি।

অমৃতলাল বসু নাটকটি আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কে উৎসর্গ করেন।

নাটকটি প্রথম ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের ২২ শে বৈশাখ মিনার্ভা থিয়েটারে অভিনীত হয়।

নাটকটি অভিনয়ের বিজ্ঞাপনে এই নাটক সম্পর্কে স্পষ্ট বলা হয়েছিল -

"প্রাচীন আখ্যানে নবীন ব্যাখ্যা"।

আদর্শ বন্ধু” নাটক রচনার পর এই নাটকে পুনরায় অমৃতলাল বসু ভাঙা অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে অমৃতবাজার পত্রিকা এই নাটক সম্পর্কে লেখে -

"It is very delightful to see the Minerva's 'Jagnaseni' getting so very popular in so short a time".

 

আরও পড়ুন -


Thank You

For More Update Visit Our Website Regularly:

www.banglasahitto.in 

Contact Us On:

Mail: contact@banglasahitto.in

To join our FB Page - CLICK HERE.

Post a Comment

0 Comments