Subscribe Us

আশাপূর্ণা দেবী - শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি লেখিকা

আশাপূর্ণা দেবী, Ashapurna Devi best trilogy writer, Ashapurna Devi best trilogy writer in Bengali Literature

জীবন পঞ্জি : 

জন্ম  ১৯০৯ সালের ৮ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার পটলডাঙায় মাতুলালয়ে।

পিতা  হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত।

মাতা –সরলাসুন্দরী দেবী।

ঠাকুরমা –নিস্তারিনী দেবী।

আদি নিবাস  হুগলী জেলার বেগমপুর।

শিক্ষা জীবন  ঠাকুরমার কঠোর অনুশাষণে আশাপূর্ণা দেবীর প্রথাগত শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য লাভ করেন নি।

এই প্রসঙ্গে তিনি পরবর্তীকালে এক স্মৃতি চারণায় বলেছেন –
 “ইস্কুলে পড়লেই যে মেয়েরা……বাচাল হয়ে উঠবে, এই তথ্য আর কেউ না জানুকামাদের ঠাকুমা ভালোভাবেই জানতেন, এবং মাতৃ ভক্ত পুত্রদের পক্ষে ওই জানার বিরুদ্ধে কিছু করার শক্তি ছিল না”।

স্বামী  কালিদাস গুপ্ত, নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর মাঝেরপাড়া নিবাসীর সাথে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর ১৩৩১ বঙ্গাব্দের ৬ ই শ্রাবণ মাসে (১৯২৫ সাল ) তাঁর বিবাহ হয়।

সন্তান  প্রথম সন্তান কন্যা পুষ্পরেণু, তাঁর পর ২ পুত্র সন্তান – প্রশান্ত এবং সুশান্ত।

মৃত্যু  ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫ সালে (১৪০২ বঙ্গাব্দের ২৭ আষাঢ় ) তিনি পলোকগমন করেন।

আশাপূর্ণা দেবীর প্রায় ১৭৬ টি উপন্যাস, ৩০ টি ছোটগল্প সংকলন, ১৫০০ টি গল্প, ছোটদের জন্য ৪৭ বই এবং বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ৬৩ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।


আরও পড়ুন 

বাংলা সাহিত্যে আত্মজীবনীমূলক রচনা





  • নিশিকান্ত সেন সম্পাদিত ‘খোকাখুকু’ পত্রিকায় ‘স্নেহ’ বিষয়ের উপর কবিতা লেখা প্রতিযোগিতা হলে আশাপুর্ণা দেবী – “স্নেহ” নামক একটি কবিতা লিখে সেখানে পাঠান এবং সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
  • মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে “শিশুসাথী” পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা  “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়।

তাঁর এই কবিতা প্রসঙ্গে শিশুসাথী পত্রিকার সম্পাদক বলেছিলেন –

"খাশা হয়েছে, বেশ হয়েছে। আরও পাঠাও"।

  • ছোটদের জন্য তাঁর রচিত প্রথম গল্প  “পাশাপাশি”, শিশুসাথী পত্রিকায় প্রকাশীত হয়।

১৯৩৬ সালে ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় বড়দের জন্য আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী” প্রকাশিত হয়।

  • আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গল্প সংকলন বা প্রথম প্রকাশিত বই  “জল আর আগুন” ১৯৪০ সালে প্রকাশিত, এটি বড়দের জন্য রচিত।

  • “ছোট ঠাকুরদার কাশীযাত্রা” তাঁর ছোটদের জন্য রচিত প্রথম গল্প সংকলন, যা ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (১৯৩৮ সালে ) প্রকাশিত।

  • আশাপূর্ণা দেবীর বড়দের জন্য রচিত প্রথম উপন্যাস  “প্রেম ও প্রয়োজন”, ১৯৪৪ সালে কমলা পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত।
উপন্যাস টি পরিবারের পরিচিত বন্ধু বিশু মুখোপ্যাধ্যায়ের অনুরোধে আশাপুর্ণা দেবী রচনা করেন।

  • আশাপুর্ণা দেবীর শ্রেষ্ঠ গল্প  “ছিন্নমস্তা” ১৯৪৯ সালে শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

 


আরও পড়ুন 

নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় : হাসি গানের রাজা



আশাপুর্ণা দেবী রচিত উপন্যাস :

১। প্রেম ও প্রয়োজন ১৯৪৪

২। আনির্বাণ ১৯৪৫

৩। মিত্তির বাড়ি ১৯৪৭

৪। বলয় গ্রাস ১৯৪৯

৫। অগ্নিপরীক্ষা ১৯৫২

৬। যোগ বিয়োগ ১৯৫৩

৭। নবজন্ম ১৯৫৪

৮। কল্যাণী ১৯৫৪

৯। নির্জন পৃথিবী ১৯৫৫

১০। শশীবাবুর সংসার ১৯৫৬

১১। উন্মোচন ১৯৫৭

১২। নেপথ্য নায়িকা ১৯৫৮

১৩। জনম জনম কে সাথী ১৯৫৮

১৪। ছাড়পত্র ১৯৬০

১৫। সমুদ্র নীল আকাশ নীল ১৯৬০

১৬। উত্তরলিপি ১৯৬০

১৭। তিনছন্দ ১৯৬১

১৮। সোনার হরিণ ১৯৬২

১৯। মায়াজাল ১৯৬২

২০। জনতার মুখ ১৯৬৪

২১। ভক্তি সাগর ১৯৬৪

২২। প্রথম প্রতিশ্রুতি ১৯৬৫

২৩। যুগলবন্দী ১৯৬৬

২৪। সুবর্ণলতা ১৯৬৬

২৫। নীলাঞ্জনা ১৯৬৭

২৬। দুই নায়িকা ১৯৬৮

২৭। দর্শকের ভূমিকায় ১৯৬৯

২৮। বকুল কথা ১৯৭৩

২৯। হারানো খাতা ১৯৭৪

৩০। পলাতক সৈনিক ১৯৭৬

৩১। উত্তর পুরুষ ১৯৭৬

৩২। নাটকের শেষ দৃশ্য ১৯৮৫

৩৩। কখনো কাছে কখনো দূরে ১৯৯১

৩৪। একটি মিথ্যা ভাষী নায়ক ১৯৯৪

৩৫। দ্বিতীয় বসন্ত ১৯৯৫



আরও পড়ুন 

জীবনানন্দ দাশ : চিত্ররূপময় কবি


 

আশাপুর্ণা দেবী রচিত ছোটগল্প সংকলন :

১। জল আর আগুন ১৯৪০

২। সাগর শুকায়ে যায় ১৯৪৭

৩। আর এক দিন ১৯৫৫

৪। পূর্ণ পাত্র ১৯৫৬

৫। স্বপ্ন শর্বরী ১৯৫৬

৬। গল্প পঞ্চাশৎ ১৯৫৬

৭। পক্ষী মহল ১৯৫৯

৮। নবনীড় ১৯৬০

৯। কেশবতী কন্যা ১৯৬১

১০। মনোনয়ন ১৯৬১

১১। ছায়াসূর্য ১৯৬১

১২। সোনালী সন্ধ্যা ১৯৬২

১৩। আকাশ মাটি ১৯৬৫

১৪। কাঁচ পুঁতি হিরে ১৯৬৭

১৫। ভোরের মল্লিকা ১৯৭৮

১৬। এক আকাশ অনেক তারা ১৯৭৮

১৭। নক্ষত্রের আকাশ ১৯৮১

১৮। ঢেউ শুনেছি সাগরের ১৯৮৬

 


আরও পড়ুন 

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় : “পদ্মা নদীর মাঝি”-র স্রষ্টা



আশাপুর্ণা দেবীর ছোটদের জন্য রচিত গ্রন্থ :

১। ছোট ঠাকুরদার কাশীযাত্রা ১৯৩৮

২। রঙিন মলাট ১৯৪১

৩। ভাগ্যি যুদ্ধ বেঁধেছিল ১৯৪৬

৪। বলবার মত নয় ১৯৪৭

৫। গল্প হল শুরু ১৯৫৭

৬। গল্প ভালো আবার ব্লো ১৯৫৮

৭। এক সমুদ্র অনেক ঢেউ ১৯৬৩

৮। শোন শোন গল্প শোন ১৯৬৫

৯। কুমকুম ১৯৭০

১০। গজ উকিলের হত্যা রহস্য ১৯৭৯

১১। ভূতুরে কুকুর ১৯৮২

১২। কত কাণ্ড রেলগাড়িতে ১৯৮৫

১৩। জীবন কালীর পাক্কা হিসেব ১৯৮৫

১৪। পাঁচ ভূতের গপ্পো ১৯৯০

১৫। মানিক চাঁদ ও চৌদ্দ সখী ১৯৯২

১৬। ষড়যন্ত্রের নায়ক ১৯৯২

১৭। ম্যাজিক মামা ১৯৯২

১৮। রাণী ময়নাবতীর অন্তর্ধান রহস্য ১৯৯৩

১৯। অমরাবতীর অন্তরালে ১৯৯৪

২০। সকাল ১৯৯৫

 


আরও পড়ুন 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং তাঁর রচিত নাটক



 আশাপুর্ণা দেবীর স্মৃতিকথনমূলক রচনা :

১। আমার সাহিত্য চিন্তা ১৯৭৮

২। আমার ছেলেবেলা ১৯৮৫

৩। নেশা ন্য, পেশা নয়, লেখায় যাঁর জীবন ১৯৯০

৪। ক্ষতির হিসাব ১৯৯২

 

আশাপুর্ণা দেবী রচিত উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প :

১। কারও পৌষ মাস

২। উদ্বাস্তু

৩। পাকা ঘর

৪। বিস্ফোরণ

৫। কামধেনু

৬। পদাতিক

৭। ঘুষ

৮। অঙ্গার

৯। ইজ্জত

১০। মহুয়া মাদল

১১। অগ্রগতি

১২। জ্ঞানচক্ষু



আরও পড়ুন 

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : অপরাজেয় কথাশিল্পী



  • আশাপূর্ণা দেবীর বিখ্যাত ট্রিলজি -
     ১. প্রথম প্রতিশ্রুতি (১৯৬৫)
    ২. সুবর্ণলতা (১৯৬৬)
    ৩. বকুলকথা (১৯৭৩)

আশাপুর্ণা দেবীর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস  “প্রথম প্রতিশ্রুতি” ( ১৯৬৫ ), এই উপন্যাসের পরবর্তী ২ টি খণ্ড –

১। “সুবর্ণলতা” ১৯৬৬

২। “বকুলকথা” ১৯৭৩ (উপন্যাস টি ‘কথাসাহিত্য’ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়)।

  • আশাপুর্ণা দেবী তাঁর ছোটগল্প রচনা প্রসঙ্গে বলেছেন –

"উপন্যাস আমাকে অনেকটা প্রতিষ্ঠা এনে দিয়েছে। তবু ছোটগল্পের উপরেই আমার পক্ষপাত"।

  • আশাপুর্ণা দেবীর “ছিন্নমস্তা” গল্প টি ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

পরে গল্প টি “শ্রেষ্ঠগল্প” (১৯৫৪), “গল্পসমগ্র” (১৯৯১), “নায়িকা পঞ্চবিংশতি” (২০০০) প্রভৃতি গল্প সংকলনের অন্তর্ভূক্ত হয়।
“ছিন্নমস্তা” গল্পে মা ও স্ত্রীর প্রতিযোগিতায় জাঁতাকলে পৃষ্ঠ হয়ে গল্পের নায়কের মৃত্যু ঘটে। বাঙালি সমাজে বধূ ও শাশুড়ির দ্বন্দ্ব এই গল্পে সতন্ত্র মাত্রা প্রদান করেছে।


আশাপূর্ণা দেবী রচিত উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা

“মিত্তির বাড়ি” 

এই উপন্যাসে আশাপুর্ণা দেবী হেমলতা, অলকা, মীনা, অরনেন্দু প্রমুখ চরিত্রের মাধ্যমে একান্নবর্তী পরিবারের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন।

 

“শশীবাবুর সংসার” 

এই উপন্যাসে শশীবাবু, মন্দাকিনী, সুমিত্রা, পরেশ, সীতেশ, রেখা প্রমুখ চরিত্রের ঘাত প্রতিঘাত ও সমস্যার কথা বর্ণিত হয়েছে। 

 

“নির্জন পৃথিবী” 

এই উপন্যাসে সুরূপা ও অনিমেষের সমস্যা, টানাপোড়েন, বিবাহ গুরুত্ব লাভ করেছে।
 


আরও পড়ুন 

কামিনী রায় : দেশের প্রথম মহিলা স্নাতক



“নেপথ্য নায়িকা” 

এই উপন্যাসে নায়িকা মাধবীর মানসিক টানাপোড়েন, বোনের স্বামী বাসুদেবের প্রতি তাঁর আকর্ষণ মনস্তত্ত্ব সন্মতভাবে উদঘাটিত হয়েছে।
 

“ছাড়পত্র” 

উপন্যাসে তুচ্ছ কারণে সৌরেশ ও সুচেতনার দাম্পত্য জীবন ভেঙে যায়। এই দাম্পত্য সমস্যা এই উপন্যাসে গুরুত্ব লাভ করেছে। 

 

“প্রথম প্রতিশ্রুতি” 

সত্যবতী উপন্যাসের নায়িকা।
উপন্যাস টি ৪৮ টি পরিচ্ছদে কাহিনী বিন্যস্ত।
চরিত্র – নবকুমার, সুবর্ণলতা, ভুবনেশ্বরী, রাসবেহারী, সোদামিনী প্রমুখ।
উপন্যাসে সেদিন যারা গ্রাম কে বদলাতে এগিয়ে এসেছিল তাদের স্মরণ করেছেন আশাপুর্ণা দেবী এই উপন্যাসে। তিনি বলেছেন –
“বাংলাদেশের সেই অজ্ঞাত অন্তঃপুরের নিভৃতে প্রথম যাঁরা বহন করে এনেছেন প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর, এই গ্রন্থ সেই অনামী মেয়েদের এক জনের কাহিনি”।
এই উপন্যাসের জন্য আশাপুর্ণা দেবী ১৯৬৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতৃক “রবীন্দ্র পুরস্কার” লাভ করেন।
এবং ১৯৭৬ সালে এই উপন্যাসের জন্যই “জ্ঞানপীঠ পুরস্কার” লাভ করেন।
 


আরও পড়ুন 

বাংলা সাহিত্যে নিষিদ্ধ এবং মঞ্চায়নে আপত্তিজনক নাটক



আশাপুর্ণা দেবীর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সন্মাননা :

লীলা পুরস্কার – ১৯৫৪ সালে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রদত্ত।

মতিলাল পুরস্কার – ১৯৫৯ সালে, যুগান্তর পত্রিকা কতৃক প্রদেয়।

ভূবনমোহিণী স্বর্ণপদক – ১৯৬২ সালে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রদত্ত।

রবীন্দ্র পুরস্কার – ১৯৬৬ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতৃক প্রদেয়।

জ্ঞাণপীঠ পুরস্কার – ১৯৭৬ সালে।

পদ্মশ্রী – ১৯৭৬ সালে।

হরনাথ ঘোষ স্মৃতি স্বর্ণপদক – ১৯৮৮ সালে, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কতৃক প্রদেয়।

শরৎ স্মৃতি পুরস্কার – ১৯৮৯ সালে।

দেশিকত্তোম উপ্তাধি – ১৯৮৯ সালে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রদেয়।

জগত্তারিণী স্বর্ণপদক – ১৯৯৩ সালে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রদেয়।

সাহিত্য আকাদেমি ফেলো – ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত হন।

আশাপূর্ণা দেবী সন্মান সূচক ডক্টরেট লাভ করেন – জব্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮৩), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮৭), বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়(১৯৮৮৮), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়(১৯৯০) থেকে।

  • অধ্যাপক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাস সম্পর্কে বলেছেন –

কোন কোন উপন্যাসে গার্হস্থ্য জীবনের সঙ্গে বহির্জগতের আকর্ষণ কিছুটা বিসাদৃশ্য ভাবে মিশায়াছে; কোথাও বা রোমান্সের সুলভ বর্ণ প্রক্ষেপ এই ধূসর সমস্যা ক্ষুব্ধ জীবনে কিছুটা বৈচিত্র আনিয়াছে। কিন্তু লেখিকার জীবন নিরিক্ষার সত্যসার এই গৃহজীবনের মধ্যেই নিহিত আছে”।

আশাপূর্ণা দেবী থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: 

১) 'আশাপূর্ণা' নামটি কে রেখেছিলেন?

উত্তর – পিতামহী নিস্তারিণী দেবী।

২) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৯ বঙ্গাব্দ) কোন পত্রিকায় কোন কবিতার মধ্য দিয়ে আশাপূর্ণা দেবী সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন?

উত্তর – শিশুসাথী, বাইরের ডাক।

৩) আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটোগল্প কোনটি? সেটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উত্তর – পাশাপাশি, শিশুসাথী।

৪) কোন পত্রিকায় কোন কবিতার জন্য আশাপূর্ণা দেবী প্রথম পুরস্কার লাভ করেন?

উত্তর – খোকাখুকু, স্নেহ।

৫) আশাপূর্ণা দেবীর জীবদ্দশায় প্রকাশিত বড়োদের জন্য রচিত উপন্যাসের সংখ্যা কয়টি?

উত্তর – ১৭৬ টি।

৬) আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কোনটি?

উত্তর – মিত্তির বাড়ী (১৯৪৭/ চৈত্র ১৩৫৩)।

৭) 'হেমপ্রভা', 'ভট্টাচার্য্য মহাশয়', 'মণীন্দ্র', 'চিত্রলেখা' -- এই চরিত্রগুলির উল্লেখ আশাপূর্ণা দেবীর কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?

উত্তর – অগ্নিপরীক্ষা (১৯৫২/১৩৫৯)।

৮) আশাপূর্ণা দেবীর নক্সাজাতীয় উপন্যাস কোনটি?

উত্তর – শশীবাবুর সংসার (১৯৫৬/১৩৬৩)।

৯) আশাপূর্ণা দেবীর 'প্রথম প্রতিশ্রুতি' (১৯৬৪/১৩৭১) এবং 'বকুল কথা' (১৯৭৪/চৈত্র ১৩৮০) উপন্যাস দুটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উত্তর – কথাসাহিত্য।

১০) আশাপূর্ণা দেবীর 'সুবর্ণলতা' (১৯৬৬/চৈত্র ১৩৭২) উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উত্তর – সাপ্তাহিক বসুমতী।

১১) 'অনামিকা দেবী' নামে লিখে কে খ্যাতি অর্জন করেছেন?

উত্তর – 'বকুল কথা' (১৯৭৪/চৈত্র ১৩৮০) উপন্যাসের 'বকুল' চরিত্রটি।

১২) আশাপূর্ণা দেবীর জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ উপন্যাস কোনটি?

উত্তর – অনমনীয়া (১৯৯৫)।

১৩) আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত বড়োদের জন্য রচিত ছোটোগল্প-সংকলন গ্রন্থের নাম কী?

উত্তর – জল আর আগুন।

১৪) আশাপূর্ণা দেবীর জীবদ্দশায় প্রকাশিত বড়োদের জন্য রচিত ছোটোগল্প-সংকলন গ্রন্থের সংখ্যা কয়টি?

উত্তর – ৩০টি।

১৫) পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণির 'সাহিত্য সঞ্চয়ন' বইয়ের অন্তর্গত 'জ্ঞানচক্ষু' ছোটোগল্পটি তাঁর কোন ছোটোগল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর – কুমকুম (১৯৭০)।

১৬) আশাপূর্ণা দেবীর শ্রেষ্ঠ ছোটোগল্প কোনটি?

উত্তর – ছিন্নমস্তা।

১৭) নিম্নলিখিত কোনটি আশাপূর্ণা দেবীর ছোটোগল্প নয়?

উত্তর – ক্ষতির হিসাব।

১৮) আশাপূর্ণা দেবী 'প্রথম প্রতিশ্রুতি' উপন্যাসের জন্য কত খ্রিস্টাব্দে 'রবীন্দ্র পুরস্কার' এবং কত খ্রিস্টাব্দে 'জ্ঞানপীঠ পুরস্কার' লাভ করেন?

উত্তর – ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে।


** কৃতজ্ঞতা স্বীকার: উপরিউক্ত ১৮ টি প্রশ্নোত্তর সৌমদীপ মাইতি দাদার পোস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন :


Thank You

For More Update Visit Our Website Regularly:

www.banglasahitto.in 

Contact Us On:

Mail: contact@banglasahitto.in

To join our FB Page - CLICK HERE.

Post a Comment

0 Comments