Subscribe Us

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় : রাঢ় বাংলার রূপকার

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত উপন্যাস, ত্রয়ী উপন্যাস, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের  রচিত রচনাগুলির পূর্বনাম, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত ছোটগল্প সংকলন, আত্মজীবনীমূলক রচনা, নাটক, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের  উৎসর্গকৃত রচনা, ধাত্রীদেবতা, আরোগ্য নিকেতন, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাস


জীবন পঞ্জি -

জন্ম – ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ শে জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে।

পিতা – হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন মা তারা –র ভক্ত। মা তারা কে স্মরণে রেখে তিনি তাঁর প্রথম সন্তানের নাম রাখেন তারাশঙ্কর।

মাতা – প্রভাবতী দেবী।

শিক্ষা জীবন – ১৭ বছর বয়সে লাভপুর স্কুল থেকে তিনি প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইন্টার মিডিয়েটে ভর্তি হন।

এবং পরবর্তী সময়ে কলকাতার সাউথ সুবারবান কলেজ (বর্তমানে আশুতোষ কলেজ) –এ ভর্তি হন।

পত্নী – উমাশশী বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার আগেই ১৩২২ বঙ্গাব্দে মাঘ মাসে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

সন্তান – পাঁচ সন্তান। সনৎ কুমার, সবিৎ কুমার, গঙ্গা, সন্ধ্যা এবং বাণী।

ছদ্মনাম – হাবু শর্মা, কামন্দক।

রাজনৈতিক জীবন – ১৯২১ সালে গান্ধিজীর ডাকে সারা দিয়ে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদান করায় তিনি ৬ মাস কারাগারে বন্দী হন।

মৃত্যু – মস্তিষ্কের রক্ত ক্ষ্রণ জনিত কারনে তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ই সেপ্টম্বর তিনি পরলোকগমন করেন।



  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কে “রাঢ় বাংলার রূপকার” বলা হয়।

 


  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ – “ত্রিপত্র” ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে (১৯২৬) প্রকাশিত হয়।

“ত্রিপত্র” কাব্যগ্রন্থ টি লাল কালি তে ছাপা ৬০ পৃষ্ঠার একটি কাব্যগ্রন্থ।

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর রচিত প্রথম উপন্যাস – “দীপার প্রেম”। উপন্যাস টি ‘এক পয়সার শিশির পত্রিকা’ –য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হলেও উপন্যাস টি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। 

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস – “চৈতালী ঘূর্ণি” ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে (১৯৩১) প্রকাশিত।

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর রচিত প্রথম গল্পগ্রন্থ – “ছলনাময়ী” ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে (১৯৩৬) প্রকাশিত হয়।

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর রচিত প্রথম ছোটগল্প – “রসকলি” ফাল্গুন ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে (১৯৩৭) চতুর্থ বর্ষ ‘কল্লোল পত্রিকা’ –য় প্রকাশিত হয়।

** (তাঁর প্রথম গল্প – “স্রোতের কুটো” ১৯২৭ সালে ‘পূর্ণিমা পত্রিকা’ –য় প্রকাশিত এবং সেই পত্রিকার সহ – সম্পাদক ছিলেন তিনি নিজেই। এর পর তিনি আরও দুটি গল্প রচনা করেন। “রসকলি” তাঁর চতুর্থ গল্প। কিন্তু তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই গল্পগুলিকে মর্জাদা দিতে চাননি। “রসকলি” গল্পকেই তিনি তাঁর প্রথম গল্পের মর্জাদা দিয়েছেন)।  

 

  • তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ অবলম্বনে তিনি তাঁর প্রথম নাটক – “মারাঠা তর্পন” রচনা করেন। নাটক টি কলকাতার রঙ্গমঞ্চে অভিনীত না হওয়ায় ক্ষোভে ও দুঃখে তিনি এই নাটকটির পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে ফেলেন।

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর মতে তাঁর প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস – “গন্নাবেগম” ১৯৬৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

 


  • জীবনদশায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর শেষ উপন্যাস – “নবদিগন্ত” ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত।

 

  • তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত উপন্যাস – “কীর্তিহাটের কড়চা” (১৯৭৬)।


তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত উপন্যাস 

 চৈতালী ঘূর্ণি

১৯৩১ 

পাষাণপুরী

 ১৯৩৩

নীলকণ্ঠ 

 ১৯৩৪

প্রেম ও প্রয়োজন 

 ১৯৩৫

রাইকমল 

 ১৯৩৫

আগুন 

 ১৯৩৭

ধাত্রীদেবতা 

 ১৯৩৯

কালিন্দী 

 ১৯৪০

 গনদেবতা

 ১৯৪২

১০

কবি  

 ১৯৪২

১১

 পঞ্চগ্রাম

 ১৯৪৩

১২

 সন্দীপন পাঠশালা

 ১৯৪৬

১৩

 হাসুলী বাঁকের উপকথা

 ১৯৪৭ ১৯৪৭

১৪

 তামস তপস্যা

 ১৯৫০

১৫

 না

 ১৯৫৩

১৬

 নাগিনী কন্যার কাহিনী

 ১৯৫৩

১৭

 আরোগ্য নিকেতন

 ১৯৫৩

১৮

 চাঁপাডাঙার বউ

 ১৯৫৪

১৯

 পঞ্চপুত্তলী

 ১৯৫৬

২০

 বিচারক

 ১৯৫৬

২১

 মহাশ্বেতা

 ১৯৬০ 

২২

 নিশিপদ্ম

 ১৯৬২ 

২৩

 যতিভঙ্গ

 ১৯৬২

২৪

 একটি চড়ুই পাখি  কালো মেয়ে

 ১৯৬৩

২৫

 জঙ্গলগড়

 ১৯৬৩

২৬

 মঞ্জরী

 ১৯৬৪

২৭

 সংকেত

 ১৯৬৪

২৮

 বসন্তরাগ

 ১৯৬৪

২৯

 স্বর্গমাতা

 ১৯৬৫

৩০

 গন্নাবেগম

 ১৯৬৫

৩১

 হীরাপান্না

 ১৯৬৫

৩২

 গুরুদক্ষিণা

 ১৯৬৫

৩৩

 শুকসারী কথা

 ১৯৬৭

৩৪

 মনিবৌদি

 ১৯৬৮

৩৫

 অভিনেত্রী

 ১৯৭০

৩৬

 কালান্তর

 ১৯৭০

৩৭

 ফরিয়াদ

 ১৯৭১

৩৮

 মহানগরী

 ১৯৭১

৩৯

 ১৯৭১

 ১৯৭১

৪০

 ব্যর্থ নায়িকা

 ১৯৭২

৪১

 নবদিগন্ত

 ১৯৭৩

৪২

 কীর্তিহাটের কড়চা

 ১৯৭৬



১। “ধাত্রীদেবতা” (১৯৩৯)

২। “গনদেবতা” (১৯৪২)

৩। “পঞ্চগ্রাম” (১৯৪৩)

 


  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যিক উপন্যাস 

১। “গনদেবতা” (১৯৪২)

২। “হাঁসুলী বাঁকের উপকথা” (১৯৪৭)

৩। “কীর্তিহাটের কড়চা” (১৯৭৬)

 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  –এর রচনাগুলির চলচ্চিত্রায়ন –

সত্যজিৎ রায়

জলসাঘর, অভিযান

তপন সিংহ

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা

তরুণ মজুমদার

গনদেবতা

কালীপ্রসাদ ঘোষ

ধাত্রীদেবতা

অসিত সেন 

আগুন 

 পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

অগ্রদানী 

 বিজয় বসু

আরোগ্য নিকেতন (জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত)  

 সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়

কবি 

 দেবকী বসু

কবি 

১০

 নরেশ মিত্র

কালিন্দী 

১১

 নির্মল দে

চাঁপাডাঙার বউ 

১২

সুবোধ মিত্র 

দুই পুরুষ 

১৩

সুশীল মুখোপাধ্যায় 

দুই পুরুষ 

১৪

বিজয় বসু 

ফরিয়াদ 

১৫

প্রভাত মুখোপাধ্যায় 

বিচারক 

১৬

সুবোধ মিত্র 

রাইকমল 

১৭

অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায় 

সন্দীপন পাঠশালা 

১৮

অজয় কর 

সপ্তপদী 

১৯

সলিল সেন 

হার মানা হার (“মহাশ্বেতা" উপন্যাস অবলম্বনে) 


তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের  রচিত রচনাগুলির পূর্বনাম –

রাইকমল 

স্বৈরিণী 

যোগবিয়োগ

নীলকণ্ঠ

প্রেম ও প্রয়োজন 

বেনের বেসাতী 

আগুন 

কালপুরুষ 

ধাত্রীদেবতা 

 জমিদারের মেয়ে

 গনদেবতা

চণ্ডীমণ্ডপ 

সন্দীপন পাঠশালা

উদয়াস্ত 

কালবৈশাখী

ঝড় ও ঝরাপাতা 

আরোগ্য নিকেতন

সঞ্জীবন ফার্মেসী 

১০

  যোগভ্রষ্ট

যবনিকা 

১১

 চৈতালি ঘূর্ণি

শ্মশানের পথে 

১২

দীপান্তর

সোনার পদ্ম 

১৩

হেডমাস্টার

গুরুদক্ষিণা 

১৪

মা

ফল্গু 

 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত ছোটগল্প সংকলন –

ছলনাময়ী

১৯৩৬ 

জলসাঘর 

১৯৩৭ 

রসকলি 

১৯৩৮ 

বেদিনী 

১৯৪০ 

তিন শূণ্য 

১৯৪১ 

যাদুকরী 

১৯৪৩ 

দিল্লী কা লাড্ডু 

১৯৪৩ 

এক পশলা বৃষ্টি  

 ১৯৪৩ 

প্রতিধ্বনি 

 ১৯৪৩ 

১০

হারানো সুর 

১৯৪৫ 

১১

ইমারৎ 

১৯৪৬

১২

রামধনু 

১৯৪৭ 

১৩

শ্রী পঞ্চমী 

১৯৪৭ 

১৪

কামধেনু 

১৯৪৮ 

১৫

মাটি 

১৯৫০ 

১৬

বিষপাথর 

১৯৫৭ 

১৭

গল্প পঞ্চশৎ 

১৯৫৭ 

১৮

রবিবারের আসর 

১৯৫৮ 

১৯

অ্যাকসিডেন্ট 

১৯৬২ 

২০

তমসা 

১৯৬৩ 

২১

গবিন সিংহের ঘোড়া 

১৯৬৭ 

২২

মিছিল 

১৯৬৯ 

২৩

রূপসী বিহঙ্গনী 

১৯৭০ 

২৪

উত্তর কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড 

১৯৭১ 


তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত আত্মজীবনীমূলক রচনা –

আমার কালের কথা 

১৯৫১ 

আমার সাহিত্য জীবন 

১৯৫৩ 

কৈশর স্মৃতি 

১৯৫৬ 

মস্কোতে কয়েকদিন 

১৯৫৮ 

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কে আমরা মূলত ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবেই জেনে এসেছি। কিন্তু তিনি নাটক রচনাতেও হাত পাকিয়েছিলেন। কিন্তু নাট্যকার হিসেবে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেন নি। তাঁর রচিত নাটকের সংখ্যা ২০ হলেও গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয় মোট ১১ টি নাটক।

 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত নাটক –

কালিন্দী 

১৯৪০ (৪ অঙ্ক) – নাট্যনিকেতন স্টার মঞ্চে অভিনীত হয়।

দুই পুরুষ 

১৯৪২ (৪ অঙ্ক) – নাট্য ভারতী তে অভিনীত হয়।

পথের ডাক 

১৯৪৩ (৪ অঙ্ক) – নাট্য ভারতী তে অভিনীত হয়।

দীপান্তর 

১৯৪৩ (৪ অঙ্ক) – কালিকা থিয়েটারে অভিনীত হয়। 

বিংশ শতাব্দী 

১৯৪৪ (৪ অঙ্ক) – রংমহল রঙ্গমঞ্চে মঞ্চস্থ হয়।  

চকমকি (প্রহসন) 

১৯৪৫ (২ অঙ্ক) 

যুগবিপ্লব 

১৯৫১ (৩ অঙ্ক) 

কবি 

১৯৫৭ (৪ অঙ্ক) – রংমহল রঙ্গমঞ্চে মঞ্চস্থ হয়। 

কালরাত্রি 

একাঙ্ক নাটক 

১০

সংঘাত 

৩ অঙ্ক  

১১

আরোগ্য নিকেতন 

৪ অঙ্ক – বিশ্বরূপা মঞ্চে অভিনীত হয়।

 

  • এছাড়াও তিনি – “উমানন্দের মন্দির”“ডাইনির মায়া”, প্রভৃতি একাঙ্ক নাটকগুলি বেতারে অভিনয়ের জন্য রচনা করেছিলেন।


তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ -

সাহিত্যের সত্য 

১৯৬০ 

ভারতবর্ষ ও চীন 

১৯৬৩ 

বিচিত্র 

১৯৬৫ 

রবীন্দ্রনাথ ও বাংলার পল্লী 

১৯৭১ 


 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের  উৎসর্গকৃত রচনা –

নীলকণ্ঠ 

সুভাষচন্দ্র বসু

প্রেম ও প্রয়োজন 

সাবিত্রী দেবী

রাইকমল 

উমা দেবী

আগুন 

পিতা হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

ধাত্রীদেবতা 

মা  পিসিমা

কালিন্দী 

নির্মলশিব বন্দ্যোপাধ্যায়

 গনদেবতা

সরোজ রায়ৌধুরী

কবি  

মোহিতলাল মজুমদার

মন্বন্তর

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

১০

 সন্দীপন পাঠশালা

প্রেমাঙ্কুর আতীর্থ

১১

 হাসুলী বাঁকের উপকথা

কালিদাস রায়

১২

অভিনেত্রী

অহীন্দ্র চৌধুরী

১৩

কালরাত্রি

নির্মল খাঁ

১৪

পদচিহ্ন

প্রেমেন্দ্র মিত্র

১৫

উত্তরায়ণ

প্রবোধকুমার সান্যাল

১৬

অভিযান

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭

 আরোগ্য নিকেতন

মনোজ বসু

১৮

 চাঁপাডাঙার বউ

শচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

১৯

ঝড় ও ঝড়াপাতা

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

২০

 বিচারক

রাজশেখর বসু

২১

বিপাশা

রামপদ চৌধুরী

২২

রাধা

প্রেমেন্দ্র মিত্র

২৩

 একটি চড়ুই পাখি ও কালো মেয়ে

সত্যজিৎ রায়

২৪

না

নিজেকে

২৫

যোগভ্রষ্ট

অতুলচন্দ্র গুপ্ত

২৬

কান্না

শশীভূষণ দাসগুপ্ত

২৭

 বসন্তরাগ

শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

২৮

জঙ্গলগড়

হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

২৯

 গন্নাবেগম

মধুসূদন দত্ত

৩০

ছলনাময়ী 

মৃত কন্যা বুলু 

৩১

জলসাঘর 

দুর্গাশঙ্কর ও পার্বতীশঙ্কর 

৩২

রসকলি 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

৩৩

স্থলপদ্ম 

পশুপতি ভট্টাচার্য 

৩৪

বেদিনী 

নির্মল কুমার বসু 

৩৫

যাদুকরী 

শিশির মল্লিক 

৩৬

 হারানো সুর

সুবল বন্দ্যোপাধ্যায় 

৩৭

ইমারৎ 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

৩৮

শিলাসন 

প্রমথনাথ বিশী 

৩৯

গল্প পঞ্চাশৎ 

জগদীশ ভট্টাচার্য 

৪০

নারী রহস্যময়ী 

বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় 

৪১

রূপসী বিহঙ্গিনী 

সুধারানী দেবী 

৪২

ছায়াপথ 

হজরত সারমাদ 

৪৩

 যতিভঙ্গ

বিশ্বনাথ রায় 

৪৪

পঞ্চপুত্তলী 

উমা দেবী 

৪৫

জীবন কাহিনী 

পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় 

৪৬

ভূতপুরাণ 

যতীন্দ্রমোহন দত্ত 

৪৭

বিচিত্র 

অমলেন্দু দাশগুপ্ত 

৪৮

সোনার মলাট 

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়  

৪৯

প্রতিধ্বনি 

জগবন্ধু দত্ত 

৫০

রবীন্দ্রনাথ ও বাংলার পল্লী 

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় 

৫১

কৈশর স্মৃতি 

লক্ষীনারায়ণ মুখোপাধ্যায় 

৫২

আমার কালের কথা 

শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নরেন্দ্রনাথ মিত্র 

৫৩

দুই পুরুষ 

সরিৎ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় 

৫৪

পথের ডাক 

জগদীশ ভট্টাচার্য 

৫৫

দীপান্তর 

দেবীপ্রসাদ রায় চৌধুরী 

৫৬

চকমকি 

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় 

৫৭

কবি (নাটক) 

মোহিতলাল মজুমদার 

৫৮

যুগবিপ্লব 

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র 

৫৯

বিংশ শতাব্দী 

মহাত্মা গান্ধী 


তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রাপ্ত পুরষ্কার ও সন্মাননা -

১৯৪৭ সালে 

‘শরৎস্মৃতি পদক’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। 

১৯৫৫ সালে 

“আরোগ্য নিকেতন” উপন্যাস –এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ‘রবীন্দ্র পুরষ্কার’ লাভ করেন।  

১৯৫৬ সালে 

“আরোগ্য নিকেতন” উপন্যাস –এর জন্য ‘সাহিত্য আকাদেমী পুরষ্কার’। 

১৯৬০ সালে 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’।  

১৯৬২ সালে 

ভারত সরকার থেকে তিনি ‘পদ্মশ্রী’।  

১৯৬৭ সালে 

“গনদেবতা” উপন্যাস –এর জন্য ‘জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার’।  

১৯৬৮ সালে 

‘পদ্মবিভূষণ’। 

১৯৬৮ সালে 

ডি লিট ডিগ্রী লাভ করেন যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। 




  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর রচিত কয়েকটি গল্প বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও, সেগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। সেগুলি হল – 

১। “সমাপ্তি” – ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যার ‘বঙ্গলক্ষী পত্রিকা’ -য় প্রকাশিত হয়।

২। “ডাইনি” – ১৩৫৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যার ‘মৌচাক পত্রিকা’ –য় প্রকাশিত।

৩। “সাপুড়ের গল্প” – ১৩৬৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যার ‘তরুণের স্বপ্ন পত্রিকা’ –য় প্রকাশিত।

 


  • গল্পকার তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর আবির্ভাব ঘটে ‘কল্লোল পত্রিকা’ –র মধ্য দিয়ে।


“ধাত্রীদেবতা” (১৯৩৯) –

উপন্যাস টি অনেকটা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস।

উপন্যাস টি প্রথমে সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত মাসিক ‘বঙ্গশ্রী পত্রিকা’ –য় ১৩৪১ বঙ্গাব্দে “জমিদারের মেয়ে” নামে দুটি কিস্তি প্রকাশিত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। পরে লেখক উপন্যাসটির নাম বদলে “ধাত্রীদেবতা” নামে ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাস থেকে ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।

এই উপন্যাসে পিসিমা চরিত্র টি তাঁর নিজের পিসিমার চরিত্রের আদলে রচনা করেন।

এই উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –এর “আনন্দমঠ” উপন্যাস ও অসহযোগ আন্দোলনের উল্লেখ রয়েছে।

উপন্যাস টি হিন্দি ভাষায় “ধরতি মাতা” নামে ১৯৫৩ সালে অনূদিত হয়।

 

“আরোগ্য নিকেতন” (১৯৫৩) –

অনেক সমালোচকদের মতে এই উপন্যাস টি লেখকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

লেখকের মৃত্যু – দর্শনের এক আশ্চর্য পরিচয় পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।

উপন্যাসের কাহিনি কবিরাজ জীবনমশাই বা জীবন দত্তের স্মৃতিচারণা সূত্রে অবর্তিত।

এই উপন্যাস টি হিন্দি ও গুজরাটি ভাষায় একই নামে অনূদিত করা হয়।

 

  • লেখকের “বিচারক” উপন্যাস টি মালয়ালম ভাষায় “জাজজী” নামে অনুবাদ করা হয়।

 

  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় –এর “একটি কালো মেয়ের কথা” এবং “সুতপার তপস্যা” উপন্যাস দুটি একত্রে ১৯৭১ সালে “১৯৭১” নামে প্রকাশিত হয়।

 


বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাস -

     

    উপন্যাস

    পত্রিকা

    দীপার প্রেম

    এক পয়সার শিশির 

    প্রেম ও প্রয়োজন 

    অভ্যুদয় 

    রাইকমল 

    অভ্যুদয় 

    আগুন 

     দেশ

    ধাত্রীদেবতা 

    মাসিক বঙ্গশ্রী 

    কালিন্দী 

    মাসিক প্রবাসী 

     গনদেবতা

    ভারতবর্ষ 

    কবি  

    প্রথমাংশ ‘প্রবাসী’ এবং শেষাংশ পাটনার ‘মানসী’ পত্রিকায়। 

    মন্বন্তর

    শারদীয় আনন্দবাজার 

    ১০

     সন্দীপন পাঠশালা

    দৈনিক ‘কৃষক’ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়।  

    ১১

     হাসুলী বাঁকের উপকথা

    ‘আনন্দবাজার’ শারদীয় সংখ্যায়। 

    ১২

    ঝড় ও ঝড়াপাতা

     মাসিক বসুমতী

    ১৩

     আরোগ্য নিকেতন

    ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়।  

    ১৪

    নাগিনী কন্যার কাহিনী

    ‘সত্যযুগ’ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়। 

    ১৫

     চাঁপাডাঙার বউ

    উপাসনা 

    ১৬

    পঞ্চগ্রাম

    ভারতবর্ষ 

    ১৭

    পঞ্চ পুত্তলী

    ‘তরুণের স্বপ্ন’ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়। 

    ১৮

    রাধা

    ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় শারদীয় সংখ্যায়। 

    ১৯

    কালান্তর

    মাসিক শনিবারের চিঠি 

    ২০

    কীর্তিহাটের কড়চা

    সাপ্তাহিক অমৃত 



  • অধ্যাপক ভূদেব চৌধুরী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কে “বাংলা ছোটগল্পের মহাকবি” বলেছেন।

 

  • অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় –এর মতে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কে –

“উত্তর শরৎ যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক বলা যেতে পারে"।


 আরও পড়ুন

Post a Comment

0 Comments