Subscribe Us

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) এবং তাঁর রচিত রচনা

শক্তি চট্টোপাধ্যায়, Shakti Chattopadhyay, শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) এবং তাঁর রচিত রচনা,


শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) এবং তাঁর রচিত রচনা :

জন্ম – দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগরের বহড়ু তে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) এবং তাঁর রচিত রচনা ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পিতা – বামানাথ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার কাশিমবাজার স্কুল অব ড্রামায় তিনি শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর মাত্র চার বছর বয়সে তিনি মারা যান।

মাতা – কমলা দেবী।

শিক্ষা জীবন - শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) -এর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় জয়নগর অঞ্চলের একটি প্রাত্যহমিক বিদ্যালয়ে।

এরপর ১৯৪৮ সালে তাঁর পরিবার কলকাতার বাগবাজারে চলে এলে, তিনি তখন ভর্তি হন মহারাজা কাশিমবাজার পলিটেকনিক স্কুলে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি স্কুলের মার্কসবাদী শিক্ষক হরিপদ কুশারীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের সভ্য হন।

তারপর ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং ভর্তি হন সিটি কলেজে কমার্স বিভাগে। তার ২ বছর পর ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন।

উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর তিনি বাংলা সাহিত্যে অনার্স সহ ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় সদস্যরূপে ছাত্র রাজনীতির কারণে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) ডিসকলেজিয়েট হন। ফলে কলেজের পাঠ তাঁর শেষ করা হয়নি।

পরবর্তীকালে কবি বুদ্ধদেব বসুর প্রেরণায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হলেও, কয়েক মাসের মধ্যে তিনি এখানে ইতি টানেন।

কর্মজীবন - শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) টিউটোরিয়াল হোম শুরু করার মাধ্যমে তিনি তাঁর কর্মজীবনের সূচনা করেন।

এরপর তিনি ‘ক্ল্যরিয়ন’ বিজ্ঞাপন কোম্পানির কপিরাইটার হিসেবে নিযুক্ত হন।

এরপর তিনি ‘ভারবি’ প্রকাশনার সাথে যুক্ত হন এবং খ্যাতি লাভ করেন।

এরপর তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আনন্দবাজার পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।

জীবনের শেষ দিকে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ মাসের জন্য অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।

দাম্পত্য সঙ্গী – মীনাক্ষী দেবী। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে মীনাক্ষী দেবীর সাথে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর বিবাহ সম্পন্ন হয়।

ছদ্মনাম – রূপচাঁদ পক্ষী, অভিনব গুপ্ত, স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার, শক্তিনাথ কাব্যতীর্থ।

মৃত্যু – মাত্র ৬১ বছর বয়সে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে মার্চ শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) পরলোকগমন করেন। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছেন –

“কবির মাটিতে কবির মৃত্যু। এ তো খুবই অভিপ্রেত। খুবই ঐতিহাসিক। শক্তি তাহলে শেষাবধি জয়ী হয়ে থাকল। বুঝতে পারছি সে মৃত্যু কে মুখোমুখি দেখে একই গলায় বলে থাকবে, ‘তুমি কে হে ছোকড়া? আমি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। আর তুমি তো একটা খণ্ডত (ৎ)’। … কোনও কোনও মানুষ কাঁধে হাত রাখলে পৃথিবী বাসযোগ্য। সেই এক মানুষ শক্তি সম্পূর্ন মানুষ। একেবারে স্বতন্ত্র”।

 


আরও পড়ুন - 

জগদীশচন্দ্র বসু - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী



  • ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) পূর্ণেন্দু পাত্রীর পরিচালিত “ছেঁড়া তমসুখ” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

  • শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন কিন্তু ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রাজনীতির সাথে সম্পূর্ণরূপে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

পরবর্তী তে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) হাংরি আন্দোলনে’র সাথে যুক্ত হন এবং ৩ বছর এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।

  • শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর সাহিত্য জীবনের সূচনা হয় গদ্য রচনার মধ্য দিয়ে। এবং তিনি গদ্যচর্চা করেছেন ‘স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার’ ছদ্মনামে নামে। শক্তি চট্টোপাধ্যায় –এর প্রথম রচনা “নিরুপমের দুঃখ”।

  • শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস “কুয়োতলা”। উপন্যাস টি তিনি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রচনা করলেও উপন্যাস টি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে।

  • রূপচাঁদ পক্ষী’ ছদ্মনামে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) জীবনের প্রথম দিকে কবিতা রচনা শুরু করেন এবং এই ছদ্মনামেই তিনি কলকাতা নিয়ে ফিচারও করেন।

  • শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর প্রথম প্রকাশিত কবিতা “যম”। কবিতা টি বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’ পত্রিকায় ১৩৬২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

  • ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “হে প্রেম হে নৈঃশব্দ” প্রকাশিত হয়।

 


আরও পড়ুন - 

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর রচিত আখ্যান কাব্য


শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর রচিত কাব্যগ্রন্থ :

হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ

১৯৬১

ধর্মেও আছো জিরাফেও আছো

১৯৬৫

তিন তরঙ্গ

১৯৬৫

অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি অন্ধকারে

১৯৬৬

সোনার মাছি খুন করেছি

১৯৬৭

হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান

১৯৬৯

চতুর্দশপদী কবিতাবলী

১৯৭০

পাড়ের কাঁথা, মাটির বাড়ি

১৯৭১

প্রভু নষ্ট হয়ে যাই

১৯৭২

১০

সুখে আছি

১৯৭৪

১১

ঈশ্বর থাকেন জলে

১৯৭৫

১২

জ্বলন্ত রুমাল

১৯৭৫

১৩

অস্ত্রের গৌরবহীন একা

১৯৭৫

১৪

ছিন্নবিচ্ছিন্ন

১৯৭৫

১৫

সুন্দর এখানে একা নয়

১৯৭৬

১৬

আমি ছিড়েঁ ফেলি ছন্দ, তন্তুজাল

১৯৭৬

১৭

কবিতার তুলো ওড়ে

১৯৭৭

১৮

এই আমি যে পাথরে

১৯৭৭

১৯

হেমন্ত যেখানে থাকে

১৯৭৭

২০

পাতাল থেকে ডাকছি

১৯৭৭

২১

উড়ন্ত সিংহাসন

১৯৭৮

২২

পরশুরামের কুঠার

১৯৭৮

২৩

মানুষ বড়ো কাঁদছে

১৯৭৮

২৪

ভালোবেসে ধুলায় নেমেছি

১৯৭৮

২৫

ভাত নেই, পাথর রয়েছে

১৯৭৯

২৬

আমাকে দাও কলা

১৯৮০

২৭

অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল

১৯৮০

২৮

আমি চলে যেতে পারি

১৯৮০

২৯

মন্ত্রের মত আছি স্থির

১৯৮০

৩০

আমি একা বড়ো একা

১৯৮১

৩১

প্রচ্ছন্ন স্বদেশ

১৯৮২

৩২

যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো

১৯৮২

৩৩

কোথাকার তরকারি কোথায় রেখেছে

১৯৮৩

৩৪

কক্সবাজারে সন্ধ্যা

১৯৮৪

৩৫

সে তার প্রতিচ্ছবি

১৯৮৪

৩৬

ও চিরপ্রণম্য অগ্নি

১৯৮৫

৩৭

সন্ধ্যার সে শান্ত উপহার

১৯৮৬

৩৮

আমাকে জাগাও

১৯৮৬

৩৯

এই তো মর্মর মূর্তি

১৯৮৭

৪০

বিষের মধ্যে সমস্ত লোক

১৯৮৭

৪১

ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফ্যালে

১৯৯১

৪২

পাতালে টেনেছে আজ

১৯৯১

৪৩

জঙ্গল বিষাদে আছে

১৯৯৫

৪৪

কিছু মায়া রয়ে গেল

১৯৯৭

 


আরও পড়ুন - 

বিজয় গুপ্ত এবং তাঁর রচিত "পদ্মাপুরাণ"



শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) রচিত উপন্যাস :

কুয়োতলা

১৯৬১

লুসি আর্মানীর হৃদয় রহস্য

১৯৭৩

অবনী বাড়ি আছো

১৯৭৩

দুজন একাকী

১৯৭৪

হৃদয়পুর

১৯৭৪

আমি চলে যাচ্ছি

১৯৭৬

কিন্নর কিন্নরী

১৯৭৭

দাঁড়াবার জায়গা

১৯৮৬

বিবি কাহিনী

১৯৮৬

 

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) রচিত ভ্রমণগ্রন্থ :

খৈরী, আমার খৈরী (শিশুদের জন্য রচিত)

১৯৭৬

চলো বেড়িয়ে আসি (২ খণ্ড)

১৯৭৭, ১৯৮০

চলো তিতির সঙ্গে

১৯৭৭

 

জঙ্গলে পাহাড়ে (শিশুদের জন্য রচিত)

১৯৮৫

 


আরও পড়ুন - 

সৈয়দ আলাওল : আরাকান রাজসভার কবি



শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) অনূদিত রচনা :

প্রেমের কবিতা (পাবলো নেরুদা রচিত)

১৯৭৬

কুমারসম্ভব কাব্য (মহাকবি কালিদাস রচিত)

১৯৭৬

 

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) -এর যৌথভাবে রচিত কাব্য :

 

রচিত কাব্য এবং সাল

যাঁর সাথে রচনা করেন

যুগলবন্দী, ১৯৭২

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

গালিবের কবিতা, ১৯৭৫

হারান রশীদ (অনুবাদ)

লোরকার কবিতা, ১৯৭৯

অমিতাভ দাশগুপ্ত (অনুবাদ)

সুন্দর রহস্যময়, ১৯৮০

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

একশো বছরের শ্রেষ্ঠ নিগ্রো কবিতা, ১৯৮০

মুকুল গুহ (অনুবাদ)

কলহীন ডিক্সানের শ্রেষ্ঠ কবিতা, ১৯৮১

মুকুল গুহ (অনুবাদ)

ময়োকভস্কির শ্রেষ্ঠ কবিতা, ১৯৮১

মুকুল গুহ এবং সিদ্ধেশ্বর সেন (অনুবাদ)

 


আরও পড়ুন - 

সতীনাথ ভাদুড়ী - প্রথম ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ প্রাপক


আলোচনা :

“হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ” (১৯৬১) –

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।

এই কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৭২।

কাব্যগ্রন্থ টি ‘গ্রন্থজগৎ’ থেকে প্রকাশিত হয়।

কবি এই কাব্যগ্রন্থটির তিনবার নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম টি রাখেন।

কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গপত্রে লেখা রয়েছে ‘প্রিয়তম সুন্দরীতমারে যে আমার উজ্জ্বল উদ্ধার’।

কাব্যগ্রন্থটির জন্মকথা প্রসঙ্গে সমীর সেনগুপ্ত লিখেছেন –

“শক্তির প্রথম গ্রন্থ। রচিত হয়েছিল অন্তত দু’বছর আগে। কিন্তু দু – দুবার পাণ্ডুলিপি হারিয়ে যায়, একবার হারায় সমস্ত মুদ্রিত ফর্মা। কবি প্রথমে বইয়ের নাম ভেবেছিলেন ‘যম’, তারপরে ‘নিকষিত হেম, তারপর ‘কেলাসিত স্ফটিক’ তারও পর বর্তমান নাম। নামের পরিবর্তন অনুযায়ী পৃথ্বীশকে তিন – তিনবার প্রচ্ছদ আঁকতে হয়েছিল”

 

“ধর্মে আছো, জিরাফেও আছো” (১৯৬৫) –

এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।

কাব্যগ্রন্থ টি মোট ৮৫ টি কবিতার সংকলন।

এই কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ আঁকেন নিতাই ঘোষ

কাব্যগ্রন্থ টি উৎসর্গ করে তিনি উৎসর্গ পত্রে লিখেছিলেন – ‘আধুনিক কবিতার দুর্বোধ্য পাঠকের হাতে’।

 


আরও পড়ুন - 

বাংলা সাহিত্যে উৎসর্গকৃত রচনা (তৃতীয় পর্ব)



“সোনার মাছি খুন করেছি” (১৯৬৭) –

এই কাব্যের ভূমিকায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) স্বয়ং লিখেছিলেন –

“বর্তমান গ্রন্থের নামকরণ শ্রীযুক্ত বিরাম মুখোপাধ্যায়ের। কবিতাগুলি বাছাইও করেছেন তিনি”

কাব্যগ্রন্থ টি মোট ২৭ টি কবিতার সংকলন।

কাব্যগ্রন্থ টি তিনি উৎসর্গ করেন মীনাক্ষী দেবী কে।

পূর্ণেন্দু পাত্রী কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন।

 

“চতুর্দশপদী কবিতাবলী” (১৯৭০) –

১০১ টি সনেটের সংকলন।

এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) উৎসর্গ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত কে। উৎসর্গ অংশে তিনি লেখেন – ‘বাংলা চতুর্দশপদীর প্রথম প্রণেতা মাইকেল মধুসূদন কে’।

 

“পাড়ের কাঁথা মাটির বাড়ি” (১৯৭১) –

কাব্যগ্রন্থ টি ১৫ টি সনেট সহ মোট ৪১ টি কবিতার সংকলন।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর এই কাব্যগ্রন্থ টি বিশ্ববাণী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।

 

“যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো” (১৯৮২) –

কাব্যগ্রন্থ টি শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর ৩২তম কাব্যগ্রন্থ।

কবি এই কাব্যগ্রন্থ টি উৎসর্গ করেছিলেন ‘ম্যাডাম আর সুবোধকে’ (শিপ্রা ও সুবোধ দাস)।

এই কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছিলেন সুনীল শীল

কাব্যগ্রন্থ টি আনন্দ পাবলিশার্স দ্বারা ১৯৮২ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালে কাব্যগ্রন্থটির ত্রয়োদশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

এই কাব্যগ্রন্থের জন্য শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

এই কাব্যগ্রন্থ টি ইংরেজি তে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে জয়ন্ত মহাপাত্র I can, but why should I go” নামে অনুবাদ করেন।

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে এই কাব্যগ্রন্থ টি “যা সাকি ছি কিন্তু কিয়ে যাও” নামে মৈথিলী ভাষায় অনুবাদ করেন রাম চরণ ঠাকুর

 


আরও পড়ুন - 

বাংলা সাহিত্যে সাময়িক পত্রিকা (তৃতীয় পর্ব)



“লুসি আর্মানীর হৃদয় রহস্য” (১৯৬৬) –

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) উপন্যাস টি রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে রচনা করেন।

উপন্যাস টি উৎসর্গ করেন মীনাক্ষী বিশ্বাস কে (কবির সাথে বিবাহ হয় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে)। উৎসর্গ অংশে লেখেন – ‘মুখরা মীনাক্ষী বিশ্বাসের করকমলে’।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি টি হারিয়ে ফেলেন এবং মীনাক্ষী বিশ্বাসের মুখের কথায় তিনি তাঁর হারিয়ে যাওয়া উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান। তাই শক্তি চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস টি তাঁকে উৎসর্গ করেন।

 

“কলকাতার রূপকথা” (১৯৬৫) –

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) –এর এই প্রবন্ধগ্রন্থ টি রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে রচনা করেন।

এই প্রবন্ধগ্রন্থ টি মোট ৩২ টি প্রবন্ধের সংকলন।

এই প্রবন্ধগ্রন্থের সমস্ত প্রবন্ধগুলি আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

 


আরও পড়ুন - 

রামায়ণ ও মহাভারত অবলম্বনে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ



শক্তি চট্টোপাধ্যায় –এর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সন্মাননা :

১। শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন।

২। “যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো” কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৮৩ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

৩। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা সাহিত্যে তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির অবদানের জন্য শক্তি চট্টোপাধ্যায় (Shakti Chattopadhyay) মরণোত্তর রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।


আরও  পড়ুন -


To join our FB Page - CLICK HERE.

Post a Comment

1 Comments

  1. খুব ভালো লাগল !!! বাংলা ছড়া ও কবিতার জন্য ভিসিট করুন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ....

    ReplyDelete