কৃত্তিবাস ওঝা বাংলা রামায়ণের আদি কবি
জসীমউদ্দিন - বাংলাদেশের মানস কবি
জগদীশচন্দ্র বসু - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর রচিত আখ্যান কাব্য
ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) :
জন্ম - সুনীতিকুমার
চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ শে নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের
হাওড়া জেলার শিবপুরে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা – হরিদাস
চট্টোপাধ্যায়, ছিলেন ইংরেজ সওদাগরি অফিসে কেরানী।
মাতা – কাত্যায়নী
দেবী। তবে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) বাল্যকালেই মা কে হারান।
মাতৃহারা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) প্রতিপালিত হন পিতা হরিদাস
এবং ঠাকুমার (যাদুমনি দেবী) স্নেহছায়ায়।
পিতামহ – কার্তিকচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়।
পৈতৃক নিবাস – ৬৪ নং সুকিয়া স্ট্রিট।
শিক্ষা জীবন - সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা
শুরু হয় কলকাতার সুকিয়াস স্ট্রিটের একটি পাঠশালায়। তবে তিনি অক্ষর জ্ঞান লাভ করেন মাতা
কাত্যায়নী দেবীর কাছে।
এরপর তিনি
ভর্তি হন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ক্যালকাটা একাডেমি তে।
তারপর তিনি
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মতিলাল শীলের ফ্রি স্কুল থেকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে ২০ টাকা বৃত্তি
সহ এন্ট্রান্স পাস করেন। মতিলাল শীলের স্কুলে বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখেন –
“আমরা চার ভাই প্রত্যেকেই ৮ বা ৭ বছর করে মোতীলাল শীলের দাক্ষিণ্যে তাঁর-ই স্থাপিত ইস্কুলে বিনা বেতনে পড়ে মানুষ হই। তাঁর কাছে আমাদের ঋণ অপরিশোধ্য, কৃতজ্ঞ হৃদয়ে নতমস্তকে তাঁর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি”।
এরপর তিনি
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে তৃতীয় স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হন।
তারপর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে
ইংরেজি তে অনার্সসহ প্রথম স্থান অধিকার করে সন্মানসহ বি.এ পাস করেন।
বি.এ পাস
করার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এ
পাস করেন।
এরপর তিনি
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডন যান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ধ্বনি বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেন।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের
পর তিনি প্যারিসের সারবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞানের পড়া শেষ করে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে
দেশে ফিরে আসেন।
কর্ম জীবন – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর কর্মজীবনের সূচনা হয় মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে।
কিছুদিন পর
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক
রবার্ট নস্কের সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন।
এরপর তিনি
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে।
বিদেশ থেকে
কলকাতায় ফিরে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধ্বনিবিজ্ঞান বিভাগে খয়রা অধ্যাপক হিসেবে যোগদান
করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
দীর্ঘ ৩০ বছর অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত থাকার পর ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) এমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হন।
পত্নী – কমলা দেবী,
মারা যান ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ই ডিসেম্বর।
উপাধি – ভাষাচার্য
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে প্রাপ্ত)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত “বাংলা ভাষা পরিচয়” (১৯৩৮) গ্রন্থ
টি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) কে উৎসর্গ করে উৎসর্গ পত্রে
লেখেন – “ভাষাচার্য শ্রীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
করকমলে”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রন্থেয় সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti
Kumar Chatterjee) কে ‘ভাষাচার্য’ উপাধি দেন।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী – সুকুমার সেন এবং সুকুমারী ভট্টাচার্য।
মৃত্যু – প্রবাদপ্রতিম
জাতীয় অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) -এর ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের
২৯ শে মে জীবনাবসান ঘটে।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর মৃত্যুর পর গুরুর স্মৃতিচারণা
করতে গিয়ে তাঁর প্রিয় ছাত্র সুকুমার সেন বলেছিলেন
–
“উচ্চতা অনেক রকমের হয়। হিমালয়ও উচ্চ, আবার মহীরূহও উচ্চ। একটি নিষ্প্রাণ, অন্যটি জীবনরসে সমৃদ্ধ। সুনীতিবাবুর ছিল সেই বনস্পতির উচ্চতা”।
আরও পড়ুন -
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) নিজের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে তিনি স্বাক্ষর বানিয়েছিলেন ‘সু – কু – চ’। সংস্কৃত ভাষায় যার অর্থ ‘ভালো এবং মন্দ’।
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও বিদ্বদ্বল্লভের “চয্যাচর্যবিনিশ্চয়” ও “শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন” –এর পুঁথি আবিষ্কার, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) কে বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে অনুসন্ধানী করে তোলে।
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর রচিত প্রবন্ধগুলি প্রবাসী, দেশ, ভারতবর্ষ, শনিবারের চিঠি, বসুমতী, সোনার বাংলা, আনন্দবাজার প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(Suniti Kumar Chatterjee) রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
১ |
ODBL |
১৯২৬ |
২ |
বাংলা ভাষাতত্ত্বের
ভূমিকা |
১৯২৯ |
৩ |
ভাষা প্রকাশ বাংলা
ব্যাকরণ |
১৯৩২ |
৪ |
জাতি, সংস্কৃতি ও
সাহিত্য |
১৯৩৮ |
৫ |
ইউরোপ |
১৯৩৮ |
৬ |
পশ্চিমের যাত্রী |
১৯৩৮ |
৭ |
দ্বীপময় ভারত |
১৯৪০ |
৮ |
বৈদেশিকী |
১৯৪৩ |
৯ |
সাংস্কৃতিকী |
১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭২ (৩
খণ্ড) |
১০ |
পথ চলতি |
১৯৬২, ১৯৬৪ (২ খণ্ড) |
১১ |
মনীষী স্মরণে |
১৯৭২ |
১২ |
বাঙলা ভাষা প্রসঙ্গে |
১৯৭৫ |
১৩ |
সংস্কৃতি, শিল্প, ইতিহাস |
১৯৭৬ |
আরও পড়ুন -
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(Suniti Kumar Chatterjee) রচিত আত্মজীবনী:
১ |
জীবনকথা |
১৯৭৯ (অসম্পূর্ণ) |
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(Suniti Kumar Chatterjee) রচিত ইংরেজি গ্রন্থ:
১ |
Bengali Phonetics |
1921 |
২ |
Bengali Self Taught |
1927 |
৩ |
A Bengali Phonetic
Reader |
1928 |
৪ |
A Roman Alphabet for
India |
1935 |
৫ |
Non – Aryan Elements in
Indo – Aryan |
1936 |
৬ |
Indo – Aryan and Hindi |
1942 |
৭ |
Language and Linguistic
Problems |
1943 |
৮ |
Language and Literature
of Modern India |
1963 |
৯ |
World Literature and Tagore |
1971 |
১০ |
On the Development of
Middle Indo – Aryan |
1983 |
আরও পড়ুন -
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর লন্ডন থেকে প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থ:
১। ইন্দো
– আরিয়ান অ্যান্ড হিন্দি,
২। কিরাত
জনকৃতি,
৩। বেঙ্গলী
ফনেটিক রিডার।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) রচিত
গ্রন্থের আলোচনা:
“ODBL” (1926) –
সম্পূর্ণ
নাম “The Origin and Development of the Bengali
Language”.
এটিই সুনীতিকুমার
চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কীর্তি।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর গবেষণার অভিসন্দর্ভ টি উপাচার্য আশুতোষ ভট্টাচার্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশের
উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থ টি প্রকাশিত হয়।
“ODBL” গ্রন্থের
ভূমিকা লেখেন জর্জ আব্রাহাম গিয়ার্সন।
এই গ্রন্থে
তাঁর তত্ত্বে যে যুক্তিবাদিতা ছিল সেটি তদানীন্তন ভাষাবিদদের মুগ্ধ করেছিল, ভাষা চিন্তায়
খুলে দিয়েছিল নতূন দিগন্ত। এই গ্রন্থে তিনি ভাষার উৎসরূপ নির্ণয়ে যুক্তি নির্ভর ঐতিহাসিক
পদ্ধতির কথা বলেছেন। নিখুঁতভাবে যেমন তিনি ভাষা কে বিশ্লেষণ করেছেন, তেমনি এর সঙ্গে
যুক্ত হয়েছে তাঁর অসাধারণ গদ্যশৈলী।
“ইতিহাস ও সংস্কৃতি” –
এই প্রবন্ধের
প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভারতবর্ষ।
প্রবন্ধ টি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৩৫১ বঙ্গাব্দের কানপুরে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সন্মেলনে
‘ইতিহাস ও সংস্কৃতি’ শাখার সভাপতির অভিভাষণে পাঠ
করেন।
পরে প্রবন্ধ টি ‘দেশ’ পত্রিকায় ১৪ ও
২১ শে মাঘ প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন -
“জাতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য” –
এই প্রবন্ধ
টি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) রাঁচিতে ‘হিন্দু ফ্রেন্ডস ইউনিয়ান ক্লাব’ কতৃক আহূত সাহিত্য সন্মেলনে
(১৩৪১ বঙ্গাব্দের ২১ শে কার্তিক) সভাপতি হিসেবে ভাষণ দেন।
পরে স্বল্প
সংযোজন সহ ১৩৪১ বঙ্গাব্দের মাঘ ও ফ্লাগুন সংখ্যার ‘বঙ্গশ্রী’
পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
এই প্রবন্ধে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) বাঙালি জাতির গঠন, বাঙালি সংস্কৃতির
নানা দিক ও বাঙালির সাহিত্যিক প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পরে ১৩৪৫
বঙ্গাব্দে এই প্রবন্ধ টি সহ মোট ৭ টি প্রবন্ধ নিয়ে “জাতি,
সংস্কৃতি ও সাহিত্য” নামে প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত “শেষের কবিতা” –য় অমিত রায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন সুনীতি চাটুজ্যের “বাংলা ভাষার শব্দতত্ত্ব”। এইভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্যের মধ্য দিয়েও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) কে অক্ষয় করে রেখেছেন। শিলং পাহাড়ের পটভূমিকায় তরুণ নায়ক অমিত রায়ের যাপন চিত্র আঁকতে গিয়ে তিনি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) লিখেছিলেন –
“কিছুদিন ওর কাটল পাহাড়ের ঢালুতে দেওদার গাছের ছায়ায় বই পড়ে পড়ে। গল্পের বই ছুঁলে না, কেননা, ছুটিতে গল্পের বই পড়া সাধারণের দস্তুর। ও পড়তে লাগল সুনীতি চাটুজ্যের বাংলা ভাষার শব্দতত্ত্ব, লেখকের সঙ্গে মতান্তর ঘটবে এই একান্ত আশা মনে নিয়ে”।
পরবর্তীকালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) পরম বিস্ময়মুগ্ধ কৃতজ্ঞতার সহিত
বলেছিলেন –
“আমার সব কীর্তির কথা ভুলে গেলেও ওই ‘শেষের কবিতা’র জন্যই মানুষ মনে রাখবে আমাকে”।
আরও পড়ুন -
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের সাথে সুমাত্রা, জাভা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়, বালিদ্বীপ ভ্রমণের আশ্চর্য অভিজ্ঞতার কথা তিনি লিখেছেন তাঁর “রবীন্দ্র – সঙ্গমে দ্বীপময় ভারত ও শ্যামদেশ” নামক গ্রন্থে।
এই “দ্বীপময় ভারত” রচনা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন –
“তোমার ভ্রমণবৃত্তান্ত বেশ লাগছে, তার প্রধান কারণ, ওর ভাষাটা অত্যন্ত তোমার নিজের মতো। … এ কলের জল নয়, ঝরণার জল”।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সন্মাননা:
১। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন।
২। হিন্দি
ভাষায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য
বাচস্পতি উপাধি লাভ করেন।
৩। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে
তিনি লন্ডন সোসাইটি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সদস্য
পদ লাভ করেন।
৪। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত ছিলেন।
৫। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার কতৃক পদ্মবিভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন।
৬। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) জাতীয় অধ্যাপকের
মর্যাদা লাভ করেন ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে।
৭। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে
তিনি সাহিত্য অকাদেমির সভাপতি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন -
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর ব্যক্তিত্বের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য তিনি ছিলেন অটল যুক্তিবাদী ও সাহসী। তাই তিনি সাহস করে বলতে পেরেছিলেন –
“ভারতীয়রা যেদিন একহাতে ডিমের অমলেট খেতে খেতে অন্য হাতে বেদ পড়তে পারবে, সে দিনই বেদের যথার্থ মূল্যায়ন সম্ভব”।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) –এর গদ্যের ভাষা সম্পর্কে তাঁকে বলেছেন –
“তুমি যেন ভাষা সম্বন্ধে ভূগোল বিজ্ঞানী আর আমি যেন ভবঘুরে। নানা দেশের শব্দ মহলের এমনকি তার প্রেতলোকের হাটছন্দ তোমার জানা, তার খবর তুমি সহজেই সাজিয়ে দিতে পারো সুসম্বন্ধ প্রণালীতে”।
আরও পড়ুন -
1 Comments
তথ্যবহুল পোস্ট... অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের
ReplyDelete