Subscribe Us

বাংলা সাহিত্যে কালজ্ঞাপক শ্লোক

Bangla Sahitye Kalgyapok Sholk || বাংলা সাহিত্যে কালজ্ঞাপক শ্লোক || কালজ্ঞাপক শ্লোক || মধ্যযুগ || বাংলা সাহিত্য || Banglasahitto || banglasahitto ||





বাংলা সাহিত্যে কালজ্ঞাপক শ্লোক

 

১. মালাধর বসু – শ্রীকৃষ্ণ বিজয়

“তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন

চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।”

(১৩৯৫-১৪০২ শকাব্দ / ১৪৭৩-১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২. বিজয় গুপ্ত – পদ্মাপুরান

“ঋতু শশী বেদ শশী শক পরিমিত

সুলতান হুসেন শাহ নৃপতি তিলক।।”

(১৪১৬ শকাব্দ / ১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৩. বিপ্রদাস পিপলাই – মনসা বিজয়

"সিন্ধু ইন্দু, বেদ মহী শক পরিমান

নৃপতি হুসেন শাহ গৌড়ের সুলতান।।”

(১৪১৭ শকাব্দ / ১৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৪. খেলারাম – গৌড়কাব্য

“ভুবন শকে বায়ুমাস শরের বাহন।

খেলারাম করিলেন গ্রন্থ আরম্ভন।”

(১৪৫৯ শকাব্দ / ১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৫. গঙ্গাদাস সেন – মনসা মঙ্গল

“শকমুনি বেদশশী শক গনিতা”

(১৪৭৫ শকাব্দ / ১৫৫৩ খ্রিষ্টাব্দ)।


 

৬. দ্বিজ বংশী দাস – পদ্মাপুরান

"জলধির বামেতে ভূবন ভূবন মাঝে দ্বার

শকে রচে দ্বিজ বংশী পুরান পদ্মার।।”

(১৪৯৭ শকাব্দ / ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৭. মুকুন্দ চক্রবর্তী – অভয়ামঙ্গল

“সকে রস, রস বেদ শশাঙ্ক গণিতা

কতদিনে দিলা গীত হরের বনিতা।”

(১৪৯৯ শকাব্দ / ১৫৭৭ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৮. দ্বিজ মাধব – সারদামঙ্গল বা সারদাচরিত

“হিন্দু বিন্দু বান ধাতা শক নিয়োজিত

দ্বিজ মাধব গায় সারদা চরিত।”

(১৫০১ শকাব্দ / ১৫৭৯ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

৯. রূপরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল

“তিন বান চারি যুগে বেদে যত রয়।

শকে সনে জড় হইলে কত শক হয়।।

রামের উপরে রস তাহে রস দেহ।

এই শকে গীত হৈল লেখা কইরা লেহ।।”

(১৫১২ শকাব্দ / ১৫৯০ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১০. সীতারাম দাস – ধর্মমঙ্গল

“সীতারাম দাস গায় ধর্মপদতলে।

এই পুথি হৈল হাজার চারি সনে।।”

(১০০৪ বঙ্গাব্দ / ১৫৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)।


 

১১. কাশীরাম দাস – ভারত পাঁচালী

“চন্দ্রবান পক্ষ ঋতু শব্দ সুনিশ্চয়

বিরাট হৈল সাঙ্গ কাশীরাম কয়।”

(১৫২৬ শকাব্দ / ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১২. কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ – মনসা মঙ্গল

“শূন্যরস বান শশী শিয়রে মনসা আসি

আদেশিলা রচিতে মঙ্গল।।”

(১৫৬০ শকাব্দ / ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৩. দ্বিজ রামদেব – সারদা চরিত

"ইন্দুবান ঋষিবান শক নিয়োজিত

রাচলোক রামদেব সারদাচরিত।”

১৫৭৫ শকাব্দ / ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৪. রামদাস আদক – অনাদিমঙ্গল

“বেদ বসু তিন বান শকে সুপ্রচার।

ভাদ্র আদ্য পক্ষ আট দিবস তাহার।।”

(১৫৮৪ শকাব্দ /১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৫. প্রানরাম চক্রবর্তী – কালিকামঙ্গল

"বসুদ্বয় বানচন্দ্র শক নিরুপন।"

(১৫৮৮ শকাব্দ / ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দ)।


 

১৬. দ্বিজ রতিদেব – মৃগলুব্ধ

“রস অংক বায় শশী শাকের সময়

তুলা মাসে সপ্ত বিংশতি গুরুবার হয়।”

 (১৫৯৬ শকাব্দ / ১৬৭৪ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৭. কৃষ্ণরাম দাস – ষষ্ঠীমঙ্গল

“কবি কৃষ্ণরাম বলে ষষ্ঠীর মঙ্গলা।

মহীশুন্য ঋতুচক্র শক সংবৎসর।।”

(১৬০১ শকাব্দ / ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৮. কালিদাস – মনসামঙ্গল

“গ্রহ বিধু ঋতু শশী শব্দের গণণা

এই শকে এই কাব্য করিল রচনা।।”

(১৬১৯ শকাব্দ / ১৬৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৯. রামজীবন – মনসামঙ্গল

“শক কর ঋতু বিধু শক নিয়োজিত

মনসামঙ্গল রামজীবন চরিত।”

(১৬২৫ শকাব্দ / ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২০. ঘনরাম চক্রবর্তী – অনাদিমঙ্গল / শ্রীমধুভারতী

“সঙ্গীতে আরম্ভকাল নাহিক স্মরন।

শুন সবে যে কালে হৈল সমাপন।।

শক লিখে রামগুন রস শুধাকর।

মার্গ কাব্য অংশে হংস ভার্গব বাসব।।

সুলক্ষ্য বলক্ষ পক্ষ তৃতীয়াথ্য তিনি

রাম সংখ্যা দিনে সাজা সঙ্গীতের পুঁথি।।”

(১৬৩৩ শকাব্দ / ১৭১১ খ্রিষ্টাব্দ)।


 

২১. রামেশ্বর ভট্টাচার্য – শিব সংকীর্তন

“শকে শূন্য চন্দ্রকলা রাম করতলে

রাম হল্য বিধিকান্ত পড়িল অনলে।

সেই কালে শিবের সঙ্গীত হইল সারা।।”

(১৬৩৪ শকাব্দ / ১৭১২ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২২. বানেশ্বর রায় – মনসামঙ্গল

“মনসা মঙ্গল ভাষে প্রথম বৈশাখ মাসে

ষোলশ এক চল্লিশে।”

(১৬৪১ শকাব্দ / ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৩. সহদেব চক্রবর্তী – অনিল পুরান

“দ্বিজ সহদেব গান পূর্ব তপ কালে

যাহারে করিলে দয়া একচল্লিশ সালে।”

চৈত্রের চতুর্থদিন পূর্নিমার তিথি।

হেন দিনে যারে দয়া কৈলে যুগপতি।।”

(১১৪১ বঙ্গাব্দ / ১৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৪. জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান

“মহীপৃষ্ঠে শশী দিয়া বান বিষ্ণু সমর্পিয়া

বুঝহ মনের পরিমান।।”

(১১৫১ বঙ্গাব্দ / ১৭৪৪ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৫. জীবন মৈত্র – পদ্মাপুরান

“অম্বুজের পৃষ্টে রস ঋতু রিপু দান

এই শকে জীবন মৈত্র কবিগান।”

(১৬৬৬ শকাব্দ / ১৭৪৪ খ্রিষ্টাব্দ)।


 

২৬. মুক্তারাম সেন – সারদা মঙ্গল

“গ্রহ ঋতুকাল শশী শক শভ জানি।

মুক্তারাম সেন ভনে ভাবিয়া ভবানী।”

(১৬৬৯ শকাব্দ / ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৭. ভারতচন্দ্র রায় – অন্নদামঙ্গল

“বেদ লয়ে ঋষি রসে ব্রক্ষ নিরুপিলা।

সেই শকে এই গীত ভরত রচিলা।।”

(১৬৭৪ শকাব্দ / ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৮. রামানন্দ যতি – চন্ডী মঙ্গল

"গজ বসু ঋতু চন্দ্র শকে গ্রন্থ হয়

চন্ডীর আদেশে পায়্যা রামানন্দ কয়।”

১৬৮৮ শকাব্দ / ১৭৬৬ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

২৯. ভবানীশঙ্কর দাস – মঙ্গলচন্ডীর পাঞ্চালিকা

"ধাতা বিন্দু সাগরেন্দু শকাদিত্য সনে।

ভবানীশঙ্কর দাসে পঞ্চালিকা ভনে।।”

 (১৭০১ শকাব্দ / ১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দ)।



আরও  পড়ুন -



Thank You

For More Update Visit Our Website Regularly:

www.banglasahitto.in 

Contact Us On:

Mail: contact@banglasahitto.in

To join our FB Page - CLICK HERE.

বাংলা সাহিত্যে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় || হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় || Bangla Sahitye Hemchandra Bandyopadhyaya || বৃত্রসংহার কাব্য || বৃত্রসংহার || বৃত্রসংহার মহাকাব্য || মহাকাব্য রচয়িতা হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় || বৃত্রসংহার কাব্যের রচয়িতা হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় || চিন্তা তরঙ্গিনী ||

Post a Comment

0 Comments