সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh): "শ্রীচরণেষু মাকে" -র লেখক
জন্ম – ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ই সেপ্টেম্বর অধুনা
বাংলাদেশের অন্তর্গত ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ি তে সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar
Ghosh) জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা – সুরেশচন্দ্র ঘোষ, ছিলেন একনিষ্ঠ কংগ্রেস
কর্মী এবং ‘কেশরী’, ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
মাতা – সরয়ূবালা দেবী।
শিক্ষা
জীবন – ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে
তিনি রাজবাড়ি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।
তারপর তিনি ফরিদপুরে
যান প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। বাংলা ও অঙ্কে লেটারসহ প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনি
পাশ করেন।
তারপর তিনি কলকাতায়
আসেন আই.এ পড়ার জন্য। ভর্তি হন বঙ্গবাসী কলেজে এবং কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পিতা
জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
এরপর ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে
ডিস্টিংশন নিয়ে বঙ্গবাসী কলেজ থেকেই বি.এ পাশ করেন।
অর্থনীতি নিয়ে
এম.এ করার জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু বছর খানেক পড়ার পর অর্থাভাবে
তিনি তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি।
কর্ম
জীবন – ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে
‘যুগান্তর’ পত্রিকার সাব এডিটর হিসেবে সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) -এর
কর্মজীবনের সূচনা হয়।
এরপর ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে
‘স্টেটম্যান’ পত্রিকার সাব এডিটর হিসেবে নিযুক্ত হন। আখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি ‘আনন্দবাজার’
প্রতিষ্ঠানের পত্রিকা ‘হিন্দুস্থান স্ট্যাণ্ডার্ড’ –এ চিফ সাব এডিটরের দায়িত্ব নিইয়ে
চলে যান দিল্লি।
এরপর কলকাতায় ফিরে
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকা তে বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করে বাংলা
ভাষায় সংবাদ পরিবেশনে নতুনত্ব আনয়ন করেন এবং সংবাদ পত্রে সর্বপ্রথম কথ্যভাষার প্রবর্তন
করেন।
দাম্পত্য
সঙ্গী – ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের
৬ ই ফেব্রুয়ারি নীহারিকা গুহ –র সাথে সন্তোষ কুমার ঘোষের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
সন্তান - সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar
Ghosh) এবং নীহারিকা দেবীর ৩ কন্যা কৃষ্ণকলি, কথাকলি ও কাকলি এবং এক পুত্র সায়ন্তন।
মৃত্যু – ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৫ বছর বয়সে কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে কথাশিল্পী সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) পরলোকগমন করেন।
ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (Suniti Kumar Chatterjee) |
- বাংলা সাহিত্যে কথাসাহিত্যিক সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন কবিতার হাত ধরে। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘নবশক্তি পত্রিকা’ -র ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতা “পৃথিবী”।
- “পৃথিবী” কবিতার মাধ্যমে সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশের মাত্র ৮ মাসের মধ্যে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে ‘ভারতবর্ষ পত্রিকা’ –য় “বিলাতী ডাক” নামে সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) –এর প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয়।
- সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) –এর চলিত ভাষায় লেখা প্রথম ছোটগল্প “দক্ষিণের জানালা” ‘পূর্বাশা পত্রিকা’ –য় প্রকাশিত হয়।
- সাগরময়
ঘোষের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘দেশ পত্রিকা’ –য় সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar
Ghosh) ধারাবাহিকভাবে “কিনু গোয়ালার গলি” উপন্যাস
টি লেখা শুরু করেন। পরে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে পুস্তকাকারে উপন্যাস টি প্রকাশিত হয়। “কিনু গোয়ালার গলি” উপন্যাস টি সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh
Kumar Ghosh) –এর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। যা বাংলা
পাঠক সমাজে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করে।
অনুবাদ ও অনুষঙ্গ : Guy de Maupassant |
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) রচিত উপন্যাস:
১ |
কিনু গোয়ালার গলি |
১৯৫০ |
২ |
নানা রঙের দিন |
১৯৫২ |
৩ |
মোমের পুতুল |
১৯৫৪ |
৪ |
রেনু তোমার মন |
১৯৫৯ |
৫ |
মুখের রেখা |
১৯৫৯ |
৬ |
জল দাও |
১৯৬৭ |
৭ |
স্বয়ং নায়ক |
১৯৬৯ |
৮ |
সকাল থেকে সকালে (ত্রিনয়ন) |
১৯৬৯ |
৯ |
শেষ নমস্কার: শ্রীচরণেষু মাকে |
১৯৭১ |
১০ |
সময় আমার সময় |
১৯৭২ |
১১ |
নিশিথ রাতে |
অপ্রকাশিত |
১২ |
করকমলেষু |
অসমাপ্ত |
মোহিতলাল মজুমদার : দেহবাদী কবি |
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) রচিত গল্প সংকলন:
১ |
ভগ্নাংশ |
১৯৩৯ |
২ |
শুকসারী |
১৯৫৩ |
৩ |
পারাবত |
১৯৫৩ |
৪ |
চীনেমাটি |
১৯৫৩ |
৫ |
বাড়ির ঝাঁপি |
১৯৫৬ |
৬ |
পরমায়ু |
১৯৫৮ |
৭ |
কুসুমের মাস |
১৯৫৯ |
৮ |
দুই কাননের পাখি |
১৯৪৯ |
৯ |
চিররূপা |
১৯৫৯ |
১০ |
আমার প্রিয় সখী |
১৯৬০ |
১১ |
ছায়াহরিণ |
১৯৬১ |
১২ |
ত্রিনয়ন |
১৯৬৪ |
১৩ |
বহে নদী |
১৯৬৩ |
১৪ |
যুবকাল |
১৯৭৬ |
১৫ |
সন্ধ্যা ও শাল |
১৯৭৯ |
১৬ |
দুপুরের দিকে |
১৯৮০ |
জগদীশচন্দ্র বসু - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী |
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) রচিত ছোটগল্প:
১ |
মাইলস্টোন |
২ |
ঠাকুমার ঝুলি |
৩ |
তীর্থের কাক |
৪ |
সত্যসন্ধ |
৫ |
কস্তূরীমৃগ |
৬ |
কানাকড়ি |
৭ |
দ্বিজ (স্বাধীনতার সময় দেশ বিভাগের প্রসঙ্গ বর্ণিত
হয়েছে) |
৮ |
রজ্জু (জাতীয়তাবাদের পটভূমিকায় রচিত) |
৯ |
শনি (বারাঙ্গনার জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন) |
১০ |
ছায়া হরিণ |
১১ |
ভালোবাসার কালো টাকা |
১২ |
জীয়নকাঠি |
১৩ |
ঘ্রাণ |
১৪ |
ভেবেছিলাম |
১৫ |
ধাত্রী |
১৬ |
যাত্রাভঙ্গ |
- সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একনিষ্ঠ ভক্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে কেন্দ্র করে তিনি “রবীন্দ্রচিন্তা” (১৯৭৮) এবং “রবির কর” (১৯৮৪) নামক ২ টি প্রবন্ধ রচনা করেন।
সতীনাথ ভাদুড়ী - প্রথম ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ প্রাপক |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে তিনি বলতেন
–
“তিনি আছেন, রয়েই গেছেন। আমার বর্ষপঞ্জীতে তাই পঁচিশে বৈশাখ সত্য। আর বাইশে শ্রাবণের মত মিথ্যে আর কিছু নেই। … রবীন্দ্রনাথের সব লেখাই যদিও কোনওদিন হারিয়ে যায়, তাহলেও চিন্তা নেই, আমার সব মুখস্থ আছে”।
- জীবনের শেষ পর্যায়ে (১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে) সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। ফলে পরবর্তী সময়ে তাঁর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। কথা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ডায়েরি লিখতে শুরু করেন। লিখতেন নানান কথা, যা পরবর্তী কালে “চলার পথে” নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
- সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) “অজাতক” নামে নাটক রচনা করেন।
- সুনীল কুমার এবং জগৎ দাস কে সঙ্গে নিয়ে তিনি (সন্তোষ কুমার ঘোষ) তৈরি করেছিলেন নতুন সাংস্কৃতিক আড্ডার দল। দলটির নাম দিয়েছিলেন ‘দুর্বার সঙ্ঘ’। তিনি স্বয়ং এই দলের সভাপতি ছিলেন।
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) রচিত রচনাগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
“কিনু গোয়ালার গলি” (১৯৫০) –
সন্তোষ কুমার ঘোষ
(Santosh Kumar Ghosh) –এর রচিত এবং প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
গ্রন্থাকারে প্রকাশের
আগে উপন্যাস টি ‘দেশ পত্রিকা’ –য় ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময়কালে কলকাতার নাগরিক জীবনের প্রেক্ষাপটে সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh)
এই উপন্যাস টি রচনা করেন। উপন্যাস টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন কলকাতার মধ্যবিত্ত
জীবনের জীবন চর্চার বাস্তব রূপায়ন – নীলা যার প্রতিনিধি।
উপন্যাসের কাহিনি
বর্ণিথয়েছে গলির মধ্যে বাস করা স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রমথ পোদ্দারের দৃষ্টিতে এবং ভাবনায়।
যার কাছে সমস্ত কলকাতা শহর কে মনে হয়েছে গলি।
“নানা রঙের দিন” (১৯৫২) –
লেখক এই উপন্যাস
টি উৎসর্গ করেন নরেন্দ্রনাথ মিত্র কে।
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
হওয়ার পূর্বে লেখক ধারাবাহিকভাবে ‘কালান্তর পত্রিকা’
–য় লিখতে শুরু করেন।
এই উপন্যাসের পটভূমি
১৯২৭ থেকে ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন।
এই উপন্যাসে লেখক
তাঁর একমাত্র দিদি সুপ্রভার কথা লিখেছেন।
লেখক এই গ্রন্থের
ভূমিকায় জানিয়েছেন –
“নানা রঙের দিন’ মুখ্যত একটি পরিবারের কাহিনি। ঘটনাকাল এই শতকের শেষ কুড়ি ও শুরু তিরিশের কয়েক বছর অর্থাৎ জাতীয় আন্দোলনের মধ্যাহ্ন। পরে এই আন্দোলন বিস্তৃতিতর হয়েছে, আপাত সফল হয়েছে, আবার অন্য রূপ নিয়ে প্রবেশ করেছে জনজীবনের গভীরে, কিন্তু এই উপন্যাসে সে অধ্যায় সংযোজনের পরিসর ছিল না”।
“মোমের পুতুল” (১৯৫৪) –
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে
উপন্যাস টি “সুধার শহর” নামে নতুন সংস্করণ প্রকাশিত
হয়।
এই উপন্যাসে লেখক
গ্রামের মেয়ে সুধার চোখ দিয়ে কলকাতা শহর কে দেখিয়েছেন।
কলকাতা শহর গ্রামের
এক কিশোরী কে কীভাবে গ্রহণ করল কিংবা কিশোরী সুধা কলকাতা শহর কে কীভাবে দেখল সেই চিত্র
ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক তাঁর এই উপন্যাসে।
চরিত্র – সুধা, ছেলে শশাঙ্ক, মেয়ে অতসী, নূপুর।
“শেষ নমস্কার : শ্রীচরণেষু মাকে”
(১৯৭১)–
উপন্যাস টি সন্তোষ
কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) –এর সর্বাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস।
এটি স্মৃতি নির্ভর
উপন্যাস।
উপন্যাস টি তিনি
উৎসর্গ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে। উপন্যাসের
উৎসর্গ পত্রে লেখক লিখেছেন –
“প্রভু আমার, প্রিয় আমার, পরমধন হে।
চিরপথের সঙ্গী আমার চির জীবন হে”।
উপন্যাসের নায়ক
পত্র লেখক। তিনি পত্র লিখেছেন তাঁর নিরুদ্দিষ্ট মাকে।
অনেকের মতে এই
উপন্যাস টি তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
এই উপন্যাসের জন্য
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ‘সাহিত্য আকাদেমি’ পুরস্কার লাভ করেন।
উপন্যাসে বর্ণিত
হয়েছে কলকাতা শহর কীভাবে পিতা - পুত্রের সম্পর্ক নষ্ট করেছে। ফুটে উঠেছে পিতা পুত্রের
দ্বন্দ্ব, গ্রাম ও শহরের দ্বন্দ্ব, মানসিকতার ভেদাভেদগত দ্বন্দ্ব।
এই উপন্যাসের নায়ক
সম্পর্কে লেখক লিখেছেন –
“এই কাহিনি উত্তম পুরুষে যার জবানী, তাঁকে আমি আর দেখেনি। … সে মিলিয়ে গেছে অথবা মিশে আছে আমারই মধ্যে। আমি শুধু তার এলোমেলো বাকী পাতাগুলো সাজাচ্ছি”।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর : বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী |
“সময় আমার সময়” (১৯৭১) –
এটি সন্তোষ কুমার
ঘস –এর শেষ প্রকাশিত উপন্যাস।
উপন্যসে ১৯৭১ এর
শহর কলকাতার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
“ভগ্নাংশ” (১৯৩৯) –
এই গল্প সংকলন
টি সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) জগৎ দাসের
সাথে যৌথ ভাবে রচনা করেন।
গল্প সংকলন টি
প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে। গল্প সংকলন টি প্রকাশিত হওয়ার পর হীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
‘স্টেটম্যান’ পত্রিকায় ‘ইয়ার্স বেস্ট বুক’ হিসেবে প্রশংসা করেন।
- সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) –এর শেষ গল্প “যাত্রাভঙ্গ”। এটি ব্যঞ্জনাধর্মী গল্প। এই গল্পে লেখক বিপত্নীক বয়স্ক হিমাংশুর মধ্যে জীবন ও মৃত্যুর সম্পর্ক ব্যক্ত করেছেন।
সন্তোষ কুমার ঘোষের প্রপ্ত পুরস্কার ও সন্মাননা:
১। ১৯৭১ এবং ১৯৭২
খ্রিষ্টাব্দে সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) ‘অনন্দ
পুরস্কার’ লাভ করেন।
২। তাঁর রচিত উপন্যাস
“শেষ নমস্কার : শ্রীচরণেষু মাকে” উপন্যাসের জন্য
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ‘সাহিত্য আকাদেমি’ পুরস্কারে
সন্মানিত হন।
৩। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) কে ‘তাইওয়ান কবিসংঘ’
‘ডি.লিট’ প্রদান করে।
সৈয়দ মুজতবা আলী : “দেশে-বিদেশে”-র রচয়িতা |
সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh Kumar Ghosh) সম্পর্কে মন্তব্য:
প্রেমেন্দ্র মিত্র সন্তোষ কুমার ঘোষ (Santosh
Kumar Ghosh) কে বলেছেন – “পার্সোনিফায়েড টোয়েন্টিয়েথ
সেঞ্চুরি”।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বলতেন – “লেখকের লেখক”।
0 Comments