Subscribe Us

দিনেশ দাস (Dinesh Das): ‘কাস্তে’র কবি

 দিনেশ দাস (Dinesh Das): ‘কাস্তে’র কবি, দিনেশ দাস, Dinesh Das, কাস্তে কবি



দিনেশ দাস (Dinesh Das): ‘কাস্তে’র কবি

জন্ম – আদিগঙ্গার তীরে কলকাতার আলিপুরের চেতলা অঞ্চলে মাতুলালয়ে ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ই সেপ্টম্বর দিনেশ দাস (Dinesh Das) জন্ম গ্রহণ করেন।

পিতা – হৃষীকেশ দাস, ছিলেন ব্রিটিশ সরকারী কর্মচারী।

মাতা – কাত্যায়নী দেবী।

শিক্ষা জীবন – নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন দিনেশ দাস (Dinesh Das) মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধীর লবন অন্দোলনের সাথে যুক্ত হলে সাময়িক কিছু সময়ের জন্য তাঁর পড়াশোনায় ছেদ ঘটে। এরপর ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে চেতলা বয়েজ স্কুল থেকে দিনেশ দাস (Dinesh Das) প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন।

এরপর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে আশুতোষ কলেজ থেকে আই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

আই এ পাস করার পর তিনি ১৯৩৩ – ৩৪ শিক্ষাবর্ষে স্কটিশ চার্চ কলেজে বি এ তে ভর্তি হন। কিন্তু বিপ্লবী সমিতির সাথে যুক্ত হওয়ায় তিনি মাঝ পথে পড়া ছেড়ে দেন। পরে পুনরায় বি এ তে ভর্তি হয়ে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বি এ সম্পূর্ণ করেন।

কর্মজীবন – ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচারের প্রতিবাদে দিনেশ দাস (Dinesh Das) শিক্ষান্তে সরকারী চাকরি গ্রহণ না করে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কার্শিয়াং অঞ্চলে একটি বেসরকারি চা – বাগানে চাকরি তে যোগ দেন। কিন্তু তিনি এখানে নিজেকে বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। এক বছরের মধ্যেই তিনি পুনরায় কলকাতায় ফিরে আসেন।

এরপর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নিযুক্ত হন ক্যালকাটা ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পরে নাম হয় এল আই সি)। কর্মস্থলে ইউনিয়ান গড়তে বাঁধা পাওয়ায় ৭ বছর কর্মরত থাকার পর দিনেশ দাস (Dinesh Das) ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ইস্তফা দেন।

এরপর ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হাওড়া জেলার দেউলপুর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

এক বছর পর কলকাতায় ফিরে দিনেশ দাস (Dinesh Das) চেতলা বয়েজ স্কুলে স্থায়ীভাবে বাংলা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।

দাম্পত্য জীবন – ঢাকার উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী যামিনী বিশ্বাসের তৃতীয় কন্যা মণিকা বিশ্বাসের সাথে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর  বিবাহ সম্পন্ন হয়।

সন্তান – ২ পুত্র, শান্তনু ও ভারবী এবং একমাত্র কন্যা জোনাকি।

মৃত্যু – ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ই মার্চ মাত্র ৭২ বছর বয়সে দিনেশ দাস (Dinesh Das) পৈতৃক নিবাস গোপালনগরে তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।



আরও পড়ুন - 

বিজয় গুপ্ত এবং তাঁর রচিত "পদ্মাপুরাণ"



 

  • দিনেশ দাস (Dinesh Das) তাঁর কাব্যজীবনের সূচনায় ছিলেন গান্ধীবাদী। কিন্তু পরবর্তীকালে কিছু ঘটনা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কার্শিয়াং থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি কমিউনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন।

  • ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর প্রথম কবিতা “শ্রাবণে” প্রকাশিত হয়।

  • ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে আশু চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘অগ্রগতি’ পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়ে দিনেশ দাস (Dinesh Das) নিয়মিত কাব্যচর্চা শুরু করেন।

এই ‘অগ্রগতি’ পত্রিকাতেই দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর প্রথম গদ্যকবিতা “প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা” প্রকাশিত হয়।

অগ্রগতি’ পত্রিকা ছাড়াও তিনি ‘নিরুক্ত’ পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।

  • ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত প্রথম বাংলা কাব্যের সুবিখ্যাত সংকলন “বাঙলা কাব্য পরিচয়” –এ দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর “মৌমাছি” কবিতা টি সংকলিত হয়। এবং স্টেটম্যান পত্রিকাতেও কবিতা টি অনূদিত হয়।



আরও পড়ুন - 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ


 

দিনেশ দাস (Dinesh Das) রচিত কাব্যগ্রন্থ:

কবিতা

১৯৪২

ভুখ - মিছিল

১৯৪৪

দিনেশ দাসের কবিতা সংকলন

১৯৫১

অহল্যা

১৯৫৪

দিনেশ দাসের শ্রেষ্ঠ কবিতা

১৯৫৯

কাঁচের মানুষ

১৯৬৪

অসংগতি

১৯৭২

কাস্তে

১৯৭৪

রাম গেছে বনবাসে

১৯৮১

 

দিনেশ দাস (Dinesh Das) রচিত রচনাগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:

“কবিতা” (১৯৪২) –

দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর এই কাব্যগ্রন্থে মোট ৩৪ টি কবিতা বর্তমান।

সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সহায়তায় ‘পুর্বাশা প্রকাশনী’ থেকে ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশিত হয়।

“ভুখ – মিছিল” (১৯৪৪) –

দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর চিত্রনাট্যকার বন্ধু জ্যোর্তিময় রায়ের প্রচেষ্টায় ‘বুক এম্পোরিয়াম’ থেকে কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশিত হয়।

এই কাব্যের প্রতিটি কবিতায় দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর সমাজ চেতনার গভীরতার দিক ফুটে উঠেছে।

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলন কে সমর্থন জানিয়ে দিনেশ দাস (Dinesh Das) এই কাব্যের কবিতাগুলি রচনা করেছেন।

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের সমসাময়িক কালের পটভূমিতে কবি এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি রচনা করেন।



আরও পড়ুন - 

প্রাবন্ধিক বিনয় ঘোষ


 

“অহল্যা” (১৯৫৪) –

বন্ধু চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহে দিনেশ দাস (Dinesh Das) তাঁর এই কাব্যগ্রন্থ টি নিজেই প্রকাশ করেন।

এই কাব্যগ্রন্থ টি স্বাধীনতা পরবর্তী পটভূমি তে রচিত।

এই কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় কবি জানিয়েছেন –

“… অহল্যায় ছন্দোময় শব্দই চলে গেছে মগ্নচেতনার অনুভূতিগুলি আবিষ্কারের জন্য। ধরনটা অনেকটা ঘুমন্ত মানুষের স্বপ্ন দেখার মত। … অহল্যা তাই আমার কাছে শুধু অভিশপ্ত সভ্যতার শিলীভূত রূপ হয়ে আসেনি, অহল্যাকে দেখেছি বিশ্বপ্রকৃতির প্রতীক হিসেবে। কারণ অহল্যা তো শুধু নারী নয়, পাথরও বটে, শুধু মানবী নয়, প্রকৃতিও”

তাই কবি “অহল্যা” কবিতায় লিখেছেন –

“দ্বীপময় ভারতের মত

বিশাল – বিচিত্র এই আমার হৃদয়,

সেখানে আমার মনোমত

স্বচ্ছ তারার রাতে, ফেনার উপরে সূর্যোদয়”

দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর “অহল্যা” কাব্যগ্রন্থ টি পাঠ করেই জীবনানন্দ দাশ কবি কে একটি চিঠি লিখেছিলেন –

“অহল্যা’কে আপনি আধুনিক যুগের সনাতন পৃথিবীর মানবের ব্যাথিত শিলীভূত প্রাণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে যে চেতনার পরিচয় দিয়েছেন তা অপূর্ব”



আরও পড়ুন - 

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : অপরাজেয় কথাশিল্পী


“কাঁচের মানুষ” (১৯৬৪) –

দিনেশ দাস (Dinesh Das) এই কাব্যগ্রন্থ টি ত্রিবেণী প্রকাশন থেকে কানাইলাল সরকার প্রকাশ করেন।

এই কাব্য রচনা কালে কবি শারীরিকভাবে অসুস্থ, সেই সময় তিনি উপলব্ধি করেন মানুষের জীবন কাঁচের মতই ক্ষণভঙ্গুর।

এই কাব্যের “কাব্য – চিন্তা” কবিতাই দিনেশ দাস (Dinesh Das) লিখেছেন, কবিরা মানুষের প্রতি ভালোবাসায় কবিতা লেখেন অর্থাৎ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা কবি স্বীকার করে কবি লিখেছেন –

“কবিরা কবিতা লিখে

সন্মানের করে না প্রত্যাশা।

কবিতা কবির শুধু আনন্দের অভিব্যক্তি –

মানুষের প্রতি ভালোবাসা”

 

“অসংগতি” (১৯৭২) –

দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর এই কাব্যগ্রন্থ টি দে’জ পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত হয়।

এই কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা – “লেনিন শতবর্ষে কোন চাষী”, “গান, শ্লোগান, মেসিনগান”।

 

“কাস্তে” (১৯৭৪) –

এই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পেছনে দিনেশ দাস (Dinesh Das) স্বয়ং বলেছেন, ১৯৭৪ সালে আসানসোলে কবি সন্মেলনে “কাস্তে”, “ডাস্টবিন” প্রভৃতি কবিতা পাঠের সময় নানা বয়সী কাব্যমোদীদের স্বতঃস্ফুর্ত আনন্দোচ্ছাসের মধ্য দিয়ে কবি এই কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশের তাগিদ অনুভব করেন।

কবিপুত্র শান্তনু দাস নিজের ‘গঙ্গোত্রী প্রকাশনী’ থেকে কাব্যগ্রন্থ টি প্রথম প্রকাশ করেন। এক বছরের মধ্যে প্রথম সংস্করণ শেষ হলে দ্বিতীয় সংস্করণ টি প্রকাশ করার দায়িত্ব নেই দে’জ পাবলিকেশন হাউস।



আরও পড়ুন - 

স্বর্ণকুমারী দেবী : প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক



“রাম গেছে বনবাসে” (১৯৮১) –

১৯৭১ থেকে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রচিত কবিতাগুলিই এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে।

এই কাব্যগ্রন্থের জন্যই দিনেশ দাস (Dinesh Das) ‘রবীন্দ্র পুরস্কারে’ সন্মানিত হন।

এই কাব্যের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা হল – “আইন ১৯৭৫”, “কিছু না”, “ভূতুরে দেশ”।

এই কাব্যের ভূমিকায় দিনেশ দাস (Dinesh Das) লিখেছেন –

“রাম গেছে বনবাসে’ কবিতাটি বেশ কয়েক বছর আগে কোন শারদীয়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় আমার বড় ছেলে হঠাৎ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়াতে একদিকে যেমন আমার মনের উপর চাপ পড়েছিল, তেমনই অন্যদিকে শহরের অস্বাভাবিক অবস্থা মনে কম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে নি। ছেলেরা বাড়ির বাইরে গেলে ফিরে আসবে কি না বলা যেত না। … এই যুগ চেতনার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টায় ‘রাম গেছে বনবাসে’ কবিতা”


  • রাম গেছে বনবাসে” কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশের পরও দিনেশ দাস (Dinesh Das) বেশ কিছু কবিতা রচনা করেন। ‘দেশ পত্রিকা’য় প্রকাশিত “নোটবুক”, “হার্ট অ্যাটাক”, “সত্য শুধু সত্য” প্রভৃতি কবিতাগুলি পাঠকের মনে বেশ আলোড়ন তুলেছিল।



আরও পড়ুন - 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় : রাঢ় বাংলার রূপকার



“কাস্তে” (কবিতা) –

মার্ক্সবাদের সাথে পরিচয় এবং কার্শিয়াং এ সচক্ষে দেখা চা – বাগানের কুলিদের উপর নির্মম শোষণ এই দুয়ের সংস্পর্শে দিনেশ দাস (Dinesh Das) ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে রচনা করলেন তাঁর কালজয়ী কবিতা “কাস্তে”, যা কবি কে সর্বভারতীয় খ্যাতি এনে দেয়।

এই কবিতা টি রচনার পরই কবি ‘কাস্তে কবি’ হিসেবে আখ্যাত হয়েছিলেন।

“কাস্তে” কবিতা টি রাজনৈতিক পটভূমিকায় রচিত, ফলে রাজরোষে পড়ার ভয়ে এক বছর কবিতা টি কোন পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয় নি। কবিতা টি রচনার এক বছর পর ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে অরুণ মিত্রের সৌজন্যে শারদীয়া ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় কবিতা টি প্রথম প্রকাশিত হয়।

কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি মন্ত্র দিনেশ দাস (Dinesh Das) গ্রথিত করেছেন তাঁর “কাস্তে” কবিতায় –

“বেয়নেট হোক যত ধারালো –

কাস্তেটা ধার দিয়ো, বন্ধু!

শেল আর বোম হোক ভারালো

কাস্তেটা শান দিয়ো, বন্ধু।

… চাঁদের শতক আজ নহে তো

এ – যুগের চাঁদ হ’লো কাস্তে! ...”

“কাস্তে” কবিতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অগ্রজ কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এবং বিষ্ণু দে এই কবিতার জনপ্রিয় পঙক্তি “এ – যুগের চাঁদ হল কাস্তে” শিরোনামে বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা পত্রিকা’য় দুটি কবিতা রচনা করেন। একই শিরোনামে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটগল্প লিখলেন ‘অলকা পত্রিকা’য়।

অনুজ কবি কৃষ্ণ ধর কাস্তে” কবিতা প্রসঙ্গে লিখেছেন –

“এই একটি মাত্র কবিতা লিখেই যদি তিনি কলম বন্ধ করতেন তাহলেও বাংলার মানুষ মনে রাখত এই অসামান্য কবিকে”

 

  • ১৩৫০ –এর মন্বন্তরে কবি দিনেশ দাস (Dinesh Das) বেদনাহত। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ মনুষ্যত্ব কে বিসর্জন দিয়ে কীভাবে শেষ লড়াই করে গেছে সেই চিত্র ফুটে উঠেছে তাঁর “ডাস্টবিন” কবিতায় –

“মানুষ এবং কুত্তাতে

আজ সকলে অন্ন চাটি একসাথে

আজ মহাদুর্দিনে

আমরা বৃথা খাদ্য খুঁজি ডাস্টবিনে”



আরও পড়ুন - 

বিদ্যাপতি : বৈষ্ণব পদাবলীর আদি কবি



  • ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে গান্ধীজি কে হত্যার ঘটনা কবি কে উদ্বেলিত করে। সেই উদ্বেলতার পরিচয় পাওয়া যায় কবির “স্বর্ণভস্ম”, “শেষ ক্ষমা”, “পুনর্জন্ম” কবিতাগুলিতে, যেখানে তিনি গান্ধীজি কে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।

  • কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে স্মরণ করে দিনেশ দাস (Dinesh Das) রচনা করেছেন “প্রণমি” শীর্ষক কবিতা। এই কবিতার কয়েকটি পংক্তি সহৃদয় পাঠকদের মুখে ঘুরতে থাকে –

“আকাশে বরুণে দৃঢ় স্ফটিক ফেনায়

ছড়ানো তোমার প্রিয় নাম,

তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা

কোনখানে রাখব প্রণাম”

  • ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস সভাপতি হলে, কলকাতায় আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় দিনেশ দাস (Dinesh Das) তাঁর উদ্দেশ্যে “তোমার তরবারি” কবিতা টি লিখে মানপত্র দেন।

 

দিনেশ দাস (Dinesh Das) –এর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সন্মাননা:

১। ১৯৬১ এবং ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লির জাতীয় কবি সন্মেলনে দিনেশ দাস (Dinesh Das) পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি কবি রূপে আমন্ত্রিত হন।

২। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে “দিনেশ দাসের কবিতা সংকলন” (১৯৫১) ‘উল্টোরথ পুরস্কারে’ ভূষিত হয়।

৩। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে দিনেশ দাস (Dinesh Das) তাঁর “অসংগতি” (১৯৭২) কাব্যগ্রন্থের জন্য নজরুল একাডেমী থেকে কবি কে প্রথম ‘নজরুল পুরস্কারে’ সন্মানিত করা হয়।

৪। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে দিনেশ দাস (Dinesh Das) তাঁর “রাম গেছে বনবাসে” (১৯৮১) কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন।



আরও পড়ুন - 

চর্যাপদ : বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন



          মানবতাবাদী কবি দিনেশ দাস (Dinesh Das) স্বকীয় ভঙ্গিতে শ্রমজীবী মানুষদের জয়গান গেয়ে বাংলা কবিতার ইতিহাসে অনন্য হয়ে রয়েছেন।


আরও  পড়ুন -


To join our FB Page - CLICK HERE.

Post a Comment

1 Comments